somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেডিকেলের প্রশ্ন ফাস (কিঞ্চিৎ রম্য)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেডিকেলের প্রশ্ন ফাস নিয়ে আপনার এত মাথাব্যথা ক্যান? আপনার ট্যাকা দিয়া তারা মেডিকেলে ভর্তি হইছে? তারা তাদের বাপের টাকা দিয়া হইছে। আর যেদিন প্রশ্ন ফাস হইছে সেদিন আপনি আছিলেন কই? সারা দেশ তো প্রশ্নে ছয়লাভ ছিল? দেশের তো খোজ খবর রাখেন না। তাইলে ক্যামনে কি! আর যদি জানতেনই তাইলে প্রশ্ন কিনেন নাই ক্যা? এত সততা দেখাইতে কইছে কিডা? আপনার ব্যাটা দশ বার বছর পড়াশুনা করছে তো কি হইছে? তারা পড়ে নাই? পরীক্ষার আগের রাতে সারারাত পড়তে হইছে। তাও আবার একশটা প্রশ্ন ও তার উত্তর!!! একে তো প্রশ্নের সেট সত্যি না ভুয়া তার উপর আবার মেডিকেলের প্রশ্ন। কোনটার দুইটা তিনটা সব সঠিক উত্তর কোনটা আবার খালি। ভেবে দেখেছেন যারা সারা জীবনে বই খাতার মুখ দেখে নাই তাদের কি অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে একরাতেই। আর জানেনই তো ওস্তাদের মাইর শ্যাষ রাইতে। তা জানেন যখন মানেন না ক্যান। ফেসবুক টুইটার পেপার পত্রিকায় লেখালেখি করে ফাটাইতাছেন। আপনার ছেলেমেয়ে যদি এতই মেধাবি হয়ে থাকে তাইলে আপনি বরং আন্দোলন করুণ এরপর থেকে সরকার যেন ভর্তি পরীক্ষায় "অবহেলিত মেধাবী" নামে একটা কোটা চালু করে। অযোগ্য বলে তাদের মেডিকেলে পড়ার কি কোন অধিকার থাকবে না!! সারাজীবন কি এভাবেই মেধাবীদের হাতে মার খেতে হবে!! তাই এবার দেখিয়ে দিয়েছে তারা। আমারাও মানুষ, আমরাও পারি। খালি সুযোগের অপেক্ষা। তাই আমার সাজেশন পোলা মাইয়াদের পড়াশুনার জন্য চাপাচাপি কইরেন না। তাদেরকে তাদের মত থাকতে দেন। গেমস খেলুক, ঘুরে বেড়াক। যাতে ভবিষ্যতে "give me another chance" গাইতে না পারে। এতে তারা অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ হওয়ার সুযোগ পাবে। আর আপনার কাজ হবে পরীক্ষা আগে ঘাপটি মেরে বসে থাকা। রাতের আধারে প্রশ্ন কিনে নেয়া। ব্যস। এতে সারা বছর আপনার টেনশন থেকে আপনি বেচে যাবেন। শরীর সুস্থ থাকবে মন ভাল থাকবে। ছেলেমেয়েও সারা বছর পড়ার চাপ থেকে বেচে যাবে। আর ভাই কে চান্স পাইল না পাইল তা নিয়ে আপনার আমার এত মাথাব্যথা দেখানোর কি দরকার। আপনার আমার বড়ি থেকে তো কেউ পরীক্ষা দেই নাই। তাই বাড়ির খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কি দরকার। মনে রাখবেন নিজের উন্নতি মানে পরিবারের উন্নতি, পরিবারের উন্নতি মানে সমাজের উন্নতি, সমাজের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। তাই দেশের উন্নতি করতে হলে আগে নিজের উন্নতি করতে হবে।

বি.দ্র. ব্যাকরণগত ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×