১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা, তাই বাংলা আমদের গর্ব। কিন্তু ৫৫ হাজার বাংলা শব্দে এখন মনে হয় সুমধুর শব্দের চাইতে কুশব্দের-ই সমাহার বেশি,যা আমদের জন্য গর্বের বৈকি !!!!! এখন আমরা কথায় কথায় সেই কু-শব্দেরই প্রয়োগ বেশি করি আর তাই ভালভাবে কথা বলার চাইতে গালি গালাজ ই বেশি পছন্দ করি । অবাক বেপারটা হল এই যে এই শব্দ গুলো ছাড়াই কিন্তু আমরা আগে কথা বলেছি এবং ভালভাবেই বলেছি, তাহলে আমরা এই শব্দ গুলো এখন ব্যবহার করছি কেন?
কারণ,
আমরা এখন আর একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নই,একে আপরের প্রতি এখন আমাদের প্রচন্ড ইর্ষা আর ক্রোধ,তারচেয়েও বড় কথা এখন আমরা অন্যের সুখ দেখলে নিজেরা কষ্ট পাই,তাই তো যখন তখন আমরা কথায় কথায় ঝগড়া লাগিয়ে বসি,আর তা থেকে পরে শুরু হয় হাতাহাতি আর মারামারি। অবশ্য এর মাঝে অবিরাম চলতে থাকে সেই গালাগালি।দোষটা কাদের যারা বাংলা ভাষার জন্ম দিয়েছেন তাদের নাকি আমদের, যারা কিনা বাংলার সাথে অহেতুক ইংরেজি শব্দ জুড়ে দেই এবং সবাইকে দেখিয়ে বেড়াই আমরা কত আধুনিক !!যারা কিনা সুমধুর ভাষার সাথে গালি জুড়ে দেওয়াকে নিজেদের ভাষাজ্ঞান দক্ষতার পরিচায়ক বপ্লে মনে করি আর গালিগালাজকে ভাষারই একটা অংশ বলে মনে করি।
এর সমাধান কি!!!!!!!
সমাধান কি তা মনে হয় পাঠকরাই ভাল বলতে পারবেন,তবে আমার যতটুকু মনে হয় বাংলা ভাষা থেকে গালি উঠিয়ে দেওয়ার বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হল সংবিধান করে গালি বন্ধ করে দেওয়া। এতে লাভ হবে দুটো; এক-দেশের আমলা মন্ত্রিরা গালিকে আর তাদের জন্মগত অধিকার মনে করবেন না এবং তার যত্রতত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন,কারন তারা ভুলে গেছেন লোকালয় আর তাদের বাসাবাড়ি এক কথা নয়। দুই-আমরা সচেতন হব,তা হতে না পারলে শাস্তি পাব। আর শাস্তি পেলে তো গাধাও মানুষ হয়,আমরা তো মানুষই।আর অন্য ব্যাপারটা হল এটা জগতবিখ্যাত সত্য যে বাঙ্গালি যখনি মার খেয়েছে তখনি কিছু শিখেছে।
সবচেয়ে বড় কথা যতক্ষন পর্যন্ত নিজের ভাল নিজেরা না বুঝব ততক্ষন পর্যন্ত আমদের চোখ কান কিছুই খুলবে না,এখন যে যা ভাবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




