-বাবা বল স্বরে অ। স্বরে অ-তে অজগর।
-স্বরে অ। স্বরে অ-তে অজগর।
-স্বরে আ। স্বরে আ-তে আজগর। আজগর ওই আসছে তেড়ে।
-নিলয়!! আজগর বাবুর নানুর নাম। আর বাবুকে এখনই তোমার সাগরেদ বানিও না। পরে তোমার ছেলের বউকে পস্তাতে হবে।
-তার মানে পস্তাচ্ছ তুমি ?
-তাই বলেছি আমি? তোমার অভ্যাস এমনিতেই খুব খারাপ। গায়ে পড়ে ঝগড়া বাঁধাও।
-ঝগড়া আমি বাঁধাই না;ঝগড়া বাঁধাও তুমি। আচ্ছা তুমি কি জন্মগত ভাবে ঝগড়াটে নাকি ট্রেনিং প্রাপ্ত?
-হ্যাঁ আমি ঝগড়াটে। তো পড়ে আছো কেন আমার সাথে? যাও ভালো দেখে আরেকটা বিয়ে কর গে।
-ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যায়।
-আমি চললাম বাপের বাড়ি।
-সাজুগুজু করতে বেশি টাইম নিও না। সিএনজি আনলে বেশিক্ষণ ওয়েট করবে না।
-আমার আর সাজুগুজু! একটা লিপস্টিক কিনে দিয়েছ কোনদিন? হাঁড় কিপটা বর জুটেছে কপালে।
-আজই কিনে দিব। ভূত দেখিনা যে ম্যালা দিন হইছে।
-
-আহা! আহা! কাঁদছ কেন? সরি সরি। এই যে কানে ধরলাম। আর রাগাবো না।
-সবসময়ই বল।
-তোমার কাঁদো কাঁদো মুখটা দেখতে বড় ভালো লাগে। বড় মায়া হয়।
-হইছে হইছে। ঢং নিষ্প্রয়োজন। বাবুকে পড়াও এখন ঠিক মত।
-বলছিলাম কি, পড়ানোর ফাঁকে বিট লবন মাখানো ডাল পুরি হলে মন্দ হতো না।
-আর কিছু?
-নাহ।
বাবা বল, স্বরে অ-তে অজগর। স্বরে আ-তে আজগর।
পরিশিষ্টঃ এক কাপ ভালবাসায় দু’চামচ খুনসুটি নিয়ে ভালো থাকুক ভালবাসা।