প্রেমিকারা বড্ড অবুঝ হয়। তারা সব কিছু বুঝেনা।
একজন প্রেমিক বড্ড অসহায় হয় মাঝে মাঝে। তারা প্রেমিকাদের সব বুঝাতে পারেনা। এই এখানে, এই সময়টাতে একজন প্রেমিক চিন্তা করে আগামী এক সপ্তাহ অথবা একবছর অথবা কয়েকবছর পরের চিন্তাভাবনা। ভেবে টেবে যখন দেখে যোগফল শূণ্য, তখন হতাশ হয় একজন প্রেমিক।
মুখে বয়সের ছাপ পড়া কোন প্রেমিকের পড়ালেখার প্রতি অনীহা চলে আসায় যখন দিনকে দিন রেজাল্ট খারাপ হয়,তখন প্রেমিক ছেলেটি বেশ বুঝে যায়, আমার হারানোর সময় হয়েছে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রেমিককে প্রতি মাসে যখন লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে হাত খরচের টাকা নিতে হয়, তখনও খুব হতাশ হয় একজন প্রেমিক।
‘কয়দিন পর আমাকেও ধরতে হবে সংসারের হাল’, এসব চিন্তাও পেছনের সারির একজন ছাত্রকে(পড়ুন প্রেমিককে) হতাশ করে খুব।
এসব হতাশা হাজার চেষ্টা করেও প্রেমিকারা বুঝবে না। যদি বলে, ‘আমি বুঝি তোমার মনের অবস্থা’, তাহলে আমি বলব সে মিথ্যেবাদী। প্রেমিকারা বুঝবে, ‘বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব আসছে। কিছু একটা কর তুমি জলদি’।
একজন প্রেমিককে একজন ভালো ছাত্র হতে হয়। ভালো ছাত্র হলে ভালো রেজাল্ট হয়। ভালো রেজাল্ট হলে ভালো চাকরী হয়। ভালো চাকরী হলে প্রেমিকের বাসায় অফিসিয়ালি প্রস্তাব পাঠানো যায়।
আশা করা ভালো। বেঁচে থাকতে হলে আশার প্রয়োজন আছে। আশা করতে টাকা পয়সা লাগে না। সমস্যা হল ছেঁড়া কাঁথার ফাঁকে আকাশ দেখে আকাশ ছোঁওয়ার স্বপ্ন দেখেতে দেখেতে ঘুণপোকা খেয়ে ফেলে খাটের দুটো পায়া।
এইসব প্রেমিকরা প্রেমিকাদের এসব বলে না। প্রেমিকারা এতে অভিমান করে।
তবু আশা দেখে এইসব প্রেমিকরা। ফোনের এপ্রান্তে থেকে সিগেরেটের ধোঁয়া ভোঁস ভোঁস করে ছেড়ে প্রেমিকাদের স্বপ্ন দেখায়। প্রেমিকার অভিমান ভাঙ্গায়।
এইসব দিন রাত্রিতে আমি বেশ ভালো আছি।