somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্ট মর্টেম : অস্ট্রেলিয়া ট্যুর অফ টিম ইন্ডিয়া...

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


লেখাটি লেখার কথাঃ এ লেখাটির শুরু হয়েছিল ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ'র ফেবু স্ট্যাটাসে। চরম আবেগী এ স্বপ্নভূকের লেখার আমি একনিষ্ট ভক্ত। তৃতীয় টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার নাস্তানাবুদ অবস্থার প্রেক্ষিতে মজার ও হাস্যকর কয়েকটি কাল্পনিক সংবাদ শিরোনাম লিখেছিলেন তিনি। প্রশ্ন করি, শিরোনামতো পড়লাম, বিস্তারিত খবরের লিংক কই ?? হ্যাঁ, বিস্তারিত খবরের লিংক তৈরী করতেই এ অস্থির স্যাটায়ারটির শুরু... তারপর...




এই কন্ডিশন আমাদের ফেবারে না। দর্শক, পিচ, বোলার, ব্যাটসম্যান এমনকি ব্লগ-ফেসবুকও আমাদের ফেবারে ছিল নাঃ বীরেন্দ্র শেবাগ

ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ : সিডনি থেকে :
ক্রিকেটে হোম কন্ডিশন একটা বড় বিষয়। হোম কন্ডিশনে হোম টিম বড় ধরনের সুবিধা পায়, অনেক কিছুই ফেবার করে। নিম্ন সারির দলগুলোও চমক দেখায় হোম কন্ডিশনে। ইন্ডিয়া বরাবরই বিদেশের মাটিতে নাকানিচুবানী খায়। চলতি সিরিজে ব্যাপারটি নাকানিচুবানীর উদ্ধে চলে গেছে। কিন্তু অষ্টেলিয়ার মাটিতে কিন্ঞ্চিত সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল বলে মনে করেন ডেশিং ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ। যদি ইন্ডিয়ার অখুশীর কারনে আলোচিত রেফারেল পদ্ধতি বাতিল করা হয়। তবুও শেবাগ মনে করেন, পিচের অবস্থা সুবিধার নয়। তিনি বলেন, যেখানে আমাদের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান কিন্তু তাদের অসি বোলিং আক্রমণ হাগা হয়ে যাচ্ছে! আমি নিজে ৪০০ রান করবো নিয়ে মাঠে নামি, কিন্তু নামতে নামতেই খুটি মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। বাকিদের অবস্হাও তাই, অন্যদের প্যাড পড়ায় সুযোগই দিচ্ছে না। এমন হওয়ার কথা ছিল না। আবার দেখুন অসি ব্যাটসম্যানরা কিন্তু আমাদের বোলারদের ছাল চামড়া তুলে দিচ্ছে। এমনকি পন্টিংয়ের মত ব্যাটসম্যান সেন্ঞ্চুরী মারছে, ওয়ার্নার কসাইয়ের মত কোপাচ্ছে। এতেই বোঝা যায় পিচ আমাদের ফেবারে না।

আমি হাঁস মেরে সাজঘরে যাওয়ার যাওয়ার সময় এক দর্শক বলে উঠলো, "বাড়িত যা ! বাড়িত যাইয়া খাবলাইয়া খাবলাইয়া গু খা !!" দর্শকের এমন আচরণ আশা করিনি। আবার একদিন ষ্টেডিয়ামে টিপাইমুখী বাঁধের বিপক্ষে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির। এটা কি ঢাকার শাহবাগ নাকি !?
এইসব দর্শকও আমাদের ফেবারে না।

তারপর ভাবুন ব্যাটসম্যান আর বোলার দের কথা। আমাদের ব্যাটসম্যান বেকুব বনে যাচ্ছে আর ওদের ব্যাটসম্যান গরুপেটা করছে। আমাদের বোলার তুলোধোনা হচ্ছে আর ওদের বোলার আমাদের ভোদাই বানাচ্ছে ! এই ধরনের কন্ডিশন আমরা আশা করিনি।"

আশাহত আর ক্ষুদ্ধ শেবাগ ফেসবুক ও ব্লগ নিয়েও তার হতাশার কথা বলেন, "ব্লগ ও ফেসবুকে আমাদের নিয়ে যাচ্ছে তাই লেখা হচ্ছে। সেদিন দেখলাম একজন লিখেছে, ইন্ডিয়ার পায়খানা শুরু হয়েছে...পানির মত পাতলা পায়খানা ! "






২০২০ সাল না, আগামী ১২ বছরে ওদের সাথে টেষ্ট খেলতে চাইনা ! এটা অপমানজনক। আমাদের উচিত্‍ বড় বড় দলের সাথে খেলাঃ তামিম ইকবাল খান

ব্লগার মুশারিয়ার : মিরপুর, ঢাকা থেকে :
ভারতের যেন লজ্জার শেষ নাই। প্রতি ম্যাচে লজ্জা আর ইনিংস পরাজয় তাদের পিছু ছাড়ছে না। ইনিংস পরাজয় রোধে শুরু হয়ে গেছে প্রার্থণা। প্রতি ম্যাচে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়া তাদের চিরচেনা ছবি! ছোট ছোট দল গুলোকে অবহেলা করে এসেছে আজীবন। নিম্নসারির দল গুলোর টেস্ট খেলার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বহুবার। কিন্তু চলতি অসি সিরিজে তারা ফূটো বেলুনের মত চুপশে গেলো। তাদের অহংকারের গ্যাস বেলুনটা ফুটো করে দিলো অস্টেলিয়া। বড় বড় বুলি ছাড়া লোক গুলো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে! বাংলাদেশের সাথে অর্ডিনারী দলের সাথে তারা খেলতে চায় না। অহংকার তাদের অনেক উপড়ে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু আজ তারা বিড়াল হয়ে কোনঠাসা। অস্টেলিয়া তাদের ধোলাইটা ভালোই দিলো, শুধু ধবলধোলাই টা বাকি আছে। তবে এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালো তাই মনে করেন।
তিনি বলেন, "আমি অপেক্ষায় থাকি ভারতের বিদেশ সফর নিয়ে।ওরা বিদেশের মাটিতে সিরিজ নিয়ে বরাবরই ভয় পায়। এমন কি বাংলাদেশেও আসতে নারাজ।বিদেশের মাটিতে তাদের করুন দশা দেখার জন্য আমি অধীর অপেক্ষায় থাকি। গত ইংল্যান্ড সিরিজে ওরা লেজগুটিয়ে বাড়ি ফিরলো আর এইবার মনে হয় ঐ লেজটাও বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবে না। অসিরা ওদের সর্বস্ব নিবে এইবার।শেষ অসি সফরে তুলনামূলকভাবে আমরা ওদের চেয়ে ভালো খেলেছি এসেছি। ওরা তো নিজেদের বিশ্বসেরা ভাবে, তাদের করুন পরিনতি নিজ চোখেই দেখছে তারা।"
ভারত আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাথে খেলবে না, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তামিম বলেন," আমাদের কোন যায় আছে না। আমাদের উচিৎ বড় বড় দলের সাথে ক্রিকেট খেলা। ২০২০ সাল নয় আগামী ১২ বছর বাংলাদেশের উচিৎ ওদের পরিপক্ক হওয়ার সুযোগ দেয়া।এই মুহূর্তে ওদের সাথে খেলা আমাদের কাছে রীতিমত অপমান জনক! আমরা চাই বড় দল গুলোর সাথে খেলতে!!"






ভেবেছিলাম ওরা (ইন্ডিয়া) আমাদের সাথে ডাংগুলি খেলতে চাচ্ছেঃ রিকি পন্টিং

ব্লগার আমি রসি : দুবাই থেকে :
কঠিন প্রতিকুলতা পেড়িয়ে নিজেকে ফিরিয়ে এনেছেন।৩য় টেস্টে রান পাননি তবে ভারতকে ৩-০ তে নাজেহাল করে সতীর্থদের গায়ে শ্যাম্পেন ছিটিয়েছেন ঠিকই!ভারতের এই লেজে-গোবরে পরিস্থিতি নিয়ে খুব একটা কথা বললেন না ছোট খাটো মানুষটা। ভারতকে চুনকাম না করা পর্যন্ত স্বস্তি পাছেন না লিটিল গ্রেট এবং তার দল। "আঘাত নয় পুরোপুরি মিশিয়ে দাও''-এটা অসিদের পুরনো নীতি, এই নীতির ব্যাতিক্রম নয় রিকি পন্টিং।চলতি সিরিজে ভারতের ভগ্নদশা সম্পক্যে জানতে চাইলে তিনি বললেন,
"ওরা সবসময় শচীনকে নিয়ে ব্যাস্ত! ও (শচীন) গ্রেট, ওকে নিয়ে মাতামতি করে কি হবে যদি দলের কোন কাজে না আছে। শচীনের সেন্ঞ্চুরী হলেই যেন সব হয়ে গেলো। ফাইট করার মানসিকতাই ওদের নাই।ওরা এক অর্থে ধরেই নিয়েছে, শচীন খেলবে ক্রিকেট আর ওরা খেলবে ডাংগুলি! আমি তো একসময় ধরেই নিয়ে ছিলাম, ভেবেছিলাম ওরা (ইন্ডিয়া) আমাদের সাথে ডাংগুলি খেলতে চাচ্ছে।"

আমি তো গাম্ভীরকে বিরক্ত হয়ে বলেই বসেছিলাম, "আচ্ছ, তোমরা কি আমাদের সাথে ডাংগুলি খেলতে চাও?" গাম্ভীর আমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকালো। আমি বললাম, "ওভাবে আমার দিকে না তাকিয়ে বলের দিকে তাকাও,কাজে লাগবে আর পরের বার ডাংগুলি প্র্যাকটিস করে এসো তখন না হয় খেলা যাবে!!"






লক্ষণরা ডাব্বা মারলে কারণ হয় পানির মত পাতলা পায়খানা আর আমি মারলে ব্যাটসম্যানের জাত না! ক্রিকেটবোদ্ধাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে দুষলেন মোঃ আশরাফুল।

ব্লগার মুশারিয়ার : কমলাপুর, ঢাকা থেকে :
মোঃ আশরাফুল! বাংলাদেশের একমাত্র আশার ফুল।শ্রীলংকার সাথে ক্ল্যাসিক্যাল সেন্ঞ্চুরী আর অস্টেলিয়ার সাথে অতিমানবীয় ম্যাচ
জেতানো শতরান। বোদ্ধারা বলেই ফেলেছিলেন, এই ছেলেটি আগামীতে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবে! কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে বাজে ব্যাটিংয়ের
নমুনা দেখিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব 'ফুল' বানাচ্ছেন।তবে আশরাফুল অস্টেলিয়া আর ভারতেরচলতি সিরিজে ভারতের ব্যাটসম্যানদের বেহাল দশা তাকে আবার অনুপ্রানিত করছে।

তিনি বলেন, "ব্যাটসম্যানের খারাপ সময় আসতেই পারে।আমি জানি আমি বাংলাদেশকে কতটা দিতে পারি, অতীতের কথা দর্শকরা জলদি ভুলে যান। কি দিয়েছি হয়তো সবার মনে আছে, আমার এখনো অনেক কিছু দেয়ার ক্ষমতা আছে। বাজে পারফর্ম করছি কিন্তু বোদ্ধাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পায়নি। আমাকে জাত ব্যাটসম্যান বলা হচ্ছেনা। কিন্তু দেখুন এই সিরিজে লক্ষণ, দ্রাবিড়, শেবাগদের অবস্হা। ওরা কিন্তু পাতলা পায়খানার দোহায় দিয়ে পাড় পেয়ে যাচ্ছে। বোদ্ধারা বলছে পাতলা পায়খানা জনিত কারণ। আরে পাতলা পায়খানায যদি হয় তবে খেলতে এসেছিস কেন? বদনা হাতে রাস্তার পাশে বসে পড়! আমি কথনো এই সব আজেবাজে দোহাই দেয়নি। বোদ্ধারাও আমার পক্ষ নেয়ার জন্য এই সব আজগুবি কারণ জুড়ে দেননি। বোদ্ধাদের এধরনের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টানো দরকার। তবে আমি আবার ফিরে আসবো আমার সে ক্ষমতা আছে!"

সাক্ষাতকার শেষে আশরাফুল এ প্রতিবেদকের সাথে হাসিমুখে ফটো সেশনে অংশ নেন। আশরাফুলের জন্য শুভকামনা। খাদের কিনারা থেকে যে ফিরে আসতে পারে সেই তো রিয়েল টাইগার!






পানির মত পাতলা পায়খানা জনিত কারণে টানা ডাব্বা মারা লক্ষণ পরের ম্যাচে দলের বাইরে।

ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ : সিডনি থেকে :
ভেরী ভেরী স্পেশাল খ্যাত লক্ষণ টেস্ট ক্রিকেটে অন্যতম ভরসার নাম। দ্বিতীয় ইনিংসে সেরাদের সেরা।কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজের পর থেকে তিনি আকস্মিক পেটের পীড়াই আক্রান্ত।মলের সাথে ডিমের মত সাদা নরম পদার্থ নির্গত হতো।তিনি ব্যাপারটা ব্যক্তিগত চিকিৎসক কে জানালেও, দল থেকে বাদ পড়ার ভয়ে ম্যানেজমেন্টকে জানান নি। চলতি সিরিজে বিষয়টি প্রকপ আকার ধারন করে। টয়লেটে গেলে পানির মত পাতলা মল পিচকিরির মত ফায়ার করে চারিদিকে ছিটিয়ে পরে।চলতি সিরিজে রানখরা তার একটি অন্যতম কারণ। ৩য় টেস্টের ২য় ইনিংসে তিনি যখন ব্যাটিং এ নামতে যান তখন পেটে প্রবল পীড়া অনুভব করেন। পেট থেকে নিন্মগামী চাপ দিতে থাকে। তিনি যখন আউট হয়ে যান তখন শর্টে ফিল্ডিংরত শন মার্শ একটা শব্দ শুনতে পান সাথে বিকট দূগন্ধ।

বিষয়টি তিনি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে অবগত করেন।ক্লার্ক দেখতে পান লক্ষণ যখন সাজঘরে ফিরে যাচ্ছেন তার টাউজারের পেছনের দিকে ভেজা।

পরে ব্যাপারটি আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারী, ইন্ডিয়ান টিম ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক পর্যন্ত গড়ায়।আলোচনার প্রেক্ষিতে টিম ম্যানেজমেন্ট লক্ষণ কে পরের ম্যাচ দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

এক প্রেস কনফারেন্সে লক্ষণ বলেন, আমি দল থেকে কেন বাদ পড়লাম বুঝতে পারছি না! পানির মত পাতলা পায়খানা নাকি বাজে ব্যাটিং?

তবে লক্ষণের সাজা এখানেই শেষ হচ্ছে না। মাঠের পরিবেশ নস্ট করার দায়ে তার ম্যাচ ফি কেটে নিয়েছে ক্ষুদ্ধ আইসিসি।সেই সাথে ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করে দিয়েছে। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা বোধহয় এটাই প্রথম।






আমার সেন্ঞ্চুরী নয় বরং ইনিংস পরাজয় থেকে বাঁচার জন্য প্রার্থনা করুনঃ শচীন টেন্ডুলকার।

ব্লগার আমি রসি : দুবাই থেকে :
ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের শততম সেন্ঞ্চুরী মাতামাতি আর প্রার্থণার শেষ নেই।কিন্তু শচীন নিজের রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামান না। সেন্ঞ্চুরী হলো কি হলো না, তারচেয়ে দলের অবস্থান তার কাছে বেশী জরুরী। বর্ডার গাভাস্কার সিরিজে ভারত প্রায় চুনকাম হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আর হার গুলোও বর্ননাতীত।বড় বড় ইনিংস পরাজয় আর পাচদিনের ম্যাচ তিনদিনে শেষ হয়ে যাওয়ার মত হাস্যকর ঘটনা। এই অবস্থায় শচীনের সেন্ঞ্চুরীর জন্য প্রার্থনা কমেডি সিনেমা ছাড়া কিছুই না, যেখানে দলের রানই ১০০তে পেড়োতে খাবিখায়। বিজ্ঞ শচীন ব্যাপারটা বোঝেন, তিনি জানেন ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা তার সেন্ঞ্চুরী না হবার থেকে অনেক লজ্জা, অপমান আর কলংকময়।
তাই তিনি সবাই কে অনুরোধ করেছেন পরের ম্যাচে ইনিংস পরাজয় থেকে বাঁচার জন্য প্রার্থনা করতে।






ভারতের এই নাজেহাল আর ভরাডুবির জন্য অস্টেলিয়াকেই দায়ী করলেন বিরাট কোহলি।

ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ : সিডনি থেকে :
ভারতের করুন পরিনতিতে ক্রিকেট মিডিয়া সরগরম। নানা চিন্তা ভাবনা আর নানাবিদ রহস্যের কাটাছেড়া, ব্যাটিং ব্যার্থতা, বোলারদের অনিন্ত্রিত বোলিং, ধোনীর অদুরদর্শীতা সব কিছু নিয়েই চরম সমালোচনা চলছে।"পানির মত পাতলা পায়খানা " নামক পীড়ার কথাও উঠছে বারবার। হোম কন্ডিশন নিয়েও কথা উঠেছে, আলোচনা হয়েছে অসি ব্যাটসম্যান আর বোলারদের নিয়ে।তারা নাকি ভারতের ফেবারে ছিলো না!
শেবাগ তো সরাসরি ক্ষুদ্ধ পিচ, দর্শক নিয়ে। ফেসবুকের অপপ্রচারও ছিলো আলোচনার অংশ!

কিন্তু বিরাট কোহলি এসব মানতে নারাজ। তিনি সরাসরি পুরো অস্টেলিয়া টিমকেই দায়ী করলেন! তিনি বলেন, "অস্টেলিয়ার এই ধরনের মনসিকতার ব্যাপারে আমরা অবগত ছিলাম না। তারা প্রথম সারির বোলার দের বাইরে রেখে আমাদের ধোঁকা দিয়েছে।এটা ওদের একটা চাল, প্রথম সারির বোলার দের বসিয়ে নতুনদের অনেক বেশী প্র্যাক্টিস করিয়েছে কিন্তু এটা আমাদের জানায়নি। এটা ধাপ্পাবাজি ছাড়া কিছুই না।
ওদের ব্যাটসম্যানরা আমাদের বোলারদের অমানসিক ভাবে পিটিয়েছে, পিটিয়ে ছাল বাকল তুলে দিয়েছে। বোলারদের লাল সুতো বের করে দিয়েছে!

আর বোলারা সুইং আর পেসে আমাদের রীতিমত মদনা বানিয়ে হাতে বদনাসহ কাঁঠাল পাতা ধরিয়ে দিয়েছে!"

সাংবাদিকদের 'পাতলা পায়খানা' বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে বিরাট কোহলি বলেন,
" মানুষ হয়ে কাঁঠাল পাতা খেলে তো ধেড়িনি** হবেই!"

** (ধেড়িনি- ছাগলের পাতলা পায়খান। এটা কুষ্টিয়া, ভেড়ামারার আঞ্চলিক ভাষা।এটা কোহলি জানলেন কিভাবে জানিনা।উনি হয়তো কাঁঠাল পাতা খেতে খেতে অভ্যস্ত)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১২ রাত ১২:১১
৪৩টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×