কিচির-মিচির পাখির ডাকে
সকাল যখন আসবে নেমে,
বুকের মাঝে তুমি এসে
কানের কাছে ফিসফিসিয়ে
ঘুম ভাঙিয়ো আদর সোহাগে।
সকালে বসে নাস্তার টেবিলে
একটি প্লেট রেখো দুজনের,
একটি ডিমের অর্ধেকটা দিয়ে
পরোটা খাওয়াবা অতি যতনে।
অফিসের জন্য আমাকে সাজিয়ে
শুধু টাই টা দিও বেধে ,
গভীর প্রেমে কপালে চুমো একে
যাবার সময় বিদায় দেবে।
দুপুরে আমার জন্য কিছু লাগবে না
নিজের জন্য সব নিও গুছিয়ে,
আমাকে একবার ফোন দিয়ে বলো
ভরদুপুরে চলো লাঞ্চ করি দুজনে।
আমরা দুজন যোজন যোজন দূরে
তবুও ভালোবাসার রঙে নেবো রাঙিয়ে।
ক্লান্তিহীন বিকেলে বেলকুনিতে বসে
কফিতে চুমুক দেবো একসাথে,
হাতে থাকবে রবীন্দ্র বা নজরুল
কবিতা পড়বো দুজনে গলা মিলিয়ে,
আমার কন্ঠ নয় কবিতা বা গানের
তুমি ঐ বাজখাঁই কন্ঠ নিও মানিয়ে।
সন্ধ্যাটা কাটবে দুজনে একসাথে
আমাদের লাইব্রেরির বইয়ের স্তুপে,
লাইব্রেরি রুমটায় আমাদের দুজনের
প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত উঠবে বেজে
তুমিও সেই সাথে কন্ঠ মিলিয়ে
গাইবে গান প্রিয় স্মরণে।
রাত দশটা খাবার টেবিলে
প্লেট থাকবে একটা দুজনের,
আমি নিজে পারবো না খেতে
তুমি আমায় দিও খাওয়ায়ে।
আমিও তোমাকে খাইয়ে দেবো
এরপর একসাথে টিভি রুমে যাবো ।
গভীর রাত সবাই যখন ঘুমাবে
আমরা দুজনে জেগে রবো ছাদে,
মোমবাতি জ্বালিয়ে হাতে হাত রেখে
মুখোমুখি বসে মাতবো গল্পে।
শেষমেশ ঘুমাবো একসাথে
আমাদের ছোট্ট বেড রুমে,
তুমি আর আমি দুজনে মিলে
একটি বালিশে মাথা রেখে।
বাতিটা নিভিয়ে অন্ধকারে
একে অন্যকে নেবো আপন করে।
এমন একটি অর্ধাঙ্গিনী কবে এসে?
জীবন ভরাবে ভালোবাসা আর সুখে,
গভীর চুম্বনে বুদ না করেও
আলতো ছোয়ায় আমায় রাঙাবে?
(শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া :-)