ঈদের আগের দিন কজন বন্ধু গিয়েছিলেন আব্দুর রশিদের বাড়ি।একচালা মাটির ঘর আব্দুর রশিদের। নিজেদের পত্রিকায় রিপোর্টের জন্য। তারা কিছু ছবি পাঠিয়ে ছিল আমার খোঁজ নেয়া দেখে।ওগুলো আমার কাছে গভীর মনো কষ্টের কারণ হয়ে পরে ছিল। মানবীর পোস্টটা দেখে মনে হলো এগুলো ব্লগে দিয়ে দেই।
একটা গ্র“প ছবিতে দেখলাম আব্দুর রশিদের শিশু সন্তান ও তার স্ত্রীকে।দরিদ্র রিক্সা চালকের পরিবারের ছবি। অতি স্বাভাবিক ভাবেই ঈদের মাত্র ৬ দিন আগের এই ঘটনা দরিদ্র রিক্সা চালকের পরিবারে কোন আনন্দ ঢুকতে দেয়নি।
রশিদের অবুজ শিশুগুলো কি ভাবছিল এই বড় বড় খেলার নিষ্ঠুরতায় ছবি দেখে বোঝার চেষ্টা করলাম। এই চোখের ভাষা পড়া মুষ্কিল ।
স্ত্রী মোমেনা আক্তারের নেয়া ঋনের টাকা আদায় করতে ধরে নেয়ার পর ব্র্যাক অফিসের পেছনে নারকেল গাছে ঝুলতে[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/onrinnoblog_1223737649_12-manobiblog_1223353977_1-Gruesome.[1].jpg] দেখা যায় রিক্সা চালক আবদুর রশিদের লাশ।
নিহত স্বামীর কথা মনে করে একা একা ডুকরে কেঁেদ ওঠেন মোমেনা আক্তার । আর অভাবকে অভিশাপ দেন।তার বিলাপ আশে পাশের বাড়ির মানুষদের চোখের পানি শুকাতে দেয় না।
দায়দেনা থেকে মুক্তি পেতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ব্র্যাক অফিস থেকে নেয়া ৩৫ হাজার টাকা ঋন যে প্রিয় স্বামীর বিনিময়ে শোধ করতে হবে তা কল্পনাও করেন নি।
ঘটনার পর থেকে ব্র্যাক অফিসে তালা ঝুলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ রিক্সা চালক আব্দুর রশিদের মৃত্যুর কারণ তদন্তে পুলিশ খুব একটা গা করছে না।আত্মহত্যা ধরে নিয়েই ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
মোস্তাফিজুর রহমান,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,চৌদ্দগ্রাম থানা,কুমিল্লা।
স্থানীয় সংবাদ দাতারা তাদের পত্রিকায় খবর পাঠিয়েছেন,এই মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে সমঝোতার চেষ্টাসহ নানা তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের ।
আব্দুর রশিদের খুন নিয়ে মানবীর মূল লেখাটি এখানে
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:১৪