কখনও কখনও চুপচাপ বসে থাকতে হয়।
অন্ধকারে।
ঘ্রাণ নিতে হয় আলোর।
কখনও কখনও সুনসান নীরবতায় বিলীন হয়ে যেতে হয়। নিজেকে খুঁজে পেতে হয়। খুঁজতে হয় অন্ধকার নিস্তব্ধতার কোণে কোণে।
অন্ধকার জিনিসটা মায়ের আদরের মতো। কখনও ছেড়ে যায় না, অদৃশ্য পরশ বুলিয়ে দেয় সবসময়ই। আশা একসময় হারিয়ে যায় আলোর কণারা ফিরে আসে না, আঁধার তখন ঘিরে ধরে তোমার চারপাশে যেন তুমিও হারিয়ে না যাও প্রাচীর ভেঙে।
আর তুমি আমি হচ্ছি অবুঝ টিনেজার সন্তানের মতো।
মায়ের আঁচল থেকে পালাতে চাই সর্বদাই। মায়ের চোখে নিজেদের সর্বনাশ দেখি। তুমি আমি আমরা অভিমানের পর নিজেতে হারিয়ে যাই। চোখ বন্ধ করে অসীম অন্ধকারে তলিয়ে যেতে দিই। তাতেই শান্তি পাই। আঁধার কখনও অভিযোগ করে না যে কেন তাকে দূর দূর করে আবার তার কাছেই ফিরি। সে জানে তার কাছে ফিরতে হবে, সেই জানে উজ্জ্বলতার দিশা। মায়ের মতো। আম্মুরা সব জানে।
কখনও কখনও একা একা তারা গুনতে হয়।
অমাবস্যার রাতে লুকিয়ে থাকা চাঁদকে দেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়।
হাতড়ে বেড়াতে হয়। তোমাকে।
নিঃসঙ্গতা তখন মুচকি হাসে। শব্দ করে হাসে না যেন তাকে কেন্দ্রে রেখে পরিধিতে আমি নেচে যাই তবু ছুঁতে না পারি খুঁজেই না পাই। সেও জানে তার কাছে যেতেই হবে আমার। তবু খুঁজে পেতে দেরি করে দেয়, কারণ সবচেয়ে আপনদের সময় নিয়ে বুঝতে হয়, এ যেন নিজেকে আবিষ্কার করার মতো।
নিঃসঙ্গতার খোঁজে তাই নিঃসঙ্গ হতে হয়। সে অনুভব করায় তোমার অনুপস্থিতি।
মাঝে মাঝে দু'হাত মেলে ভেসে থাকার অভিনয় করতে হয়। বাতাসে।
রঙ নিয়ে খেলা করতে চাইতে হয়। ভালোবাসার রঙ।
সীমাহীন অনিচ্ছাতেও তাকিয়ে দেখতে হয় প্রচন্ড শক্তিতে।
বিশ্বাস করতে হয় যে আমি সত্যি, তোমার ছায়া নই।
তবুও অবিশ্বাসের দোলাচল, আমি তোমার ছায়া।
হ্যাঁ, আমি ছায়া।
আঁধার আসুক, নিভে যাক ল্যাম্প পোস্টের বাতি।
একাকীত্ব ভর করুক তোমাতেও।
এসো একসাথে বিলীন হয়ে যাই। মিলেমিশে একাকার হয়ে যাই। দ্বিতীয় সত্ত্বার অবসান হোক।
তারপর আবার একদিন বলি, কখনও কখনও হাসতে হয়।
হাসতে হাসতে চোখ থেকে জল গড়িয়ে ফেলতে হয়। সেই হাসিতে মুক্তো ঝরে, শুধু দেখতে হয় মুগ্ধ হয়ে।
...
ছবির উৎসঃ গুগোল
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০০