"February mei 28 days kyu hote hai" - বোর্নভিটার এই বিজ্ঞাপন টিভি খুললেই যখন তখন চোখে পড়ে। পিচ্চিটা কিঊট, তার বিজ্ঞাপনের মা আরো কিউট, প্রশ্নটা তার চেয়েও কিঊট। ফেব্রুয়ারিতে কেন মাত্র ২৮ দিন! কেন?
.................................................
হিসাবের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত হচ্ছে ডেসিমাল পদ্ধতি। সবকিছুতেই দশ দশ করে গণনা। প্রাচীন সময়ে বছরে মাসের সংখ্যাও দশ ছিলো। মার্চ থেকে ডিসেম্বর। মার্চ থেকে অগাস্ট - এই ছয় মাসের নাম কিছু দেবতা আর কজন সম্রাটের নামে করা হয়। যেমন জুলাই হয়েছে জুলিয়াস সিজার থেকে। আর বাকি চার মাসের নাম এসেছে ল্যাটিন সংখ্যার নামে।
সেপ্টেম্বর - septem - সাত
অক্টোবর - octo - আট
নভেম্বর - novem - নয়
ডিসেম্বর - decem - দশ
হিসেবে ভুল হলো না? জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এরা তবে কারা তাইতো?
মাস ঠিকঠাক মেনেও ঋতু পরিবর্তনের সাথে সময় মেলানো যাচ্ছিলো না। পৃথিবী ৩৬৫ দিনে একবার ঘুরে আসে, এটা এখন আমরা জানি। কিন্তু সেসময় বছরে দিনের সংখ্যা ৩০০ থাকায় বাকি প্রায় ৬০ দিনের জন্য হিসেব গরমিল হয়ে যেত। কখনো শীত আগে চলে আসতো, কখনো বীজ বপনের সময় ঝড় বা বর্ষা হতো। তখনকার পুরোহিতরা হিসেব করে আরো একটা মাস তৈরি করলেন - জানুয়ারি। তবুও মেলে না, আরো কদিন যোগ করলেন। কোনো মাস এখন ৩১ দিনে, কোনোটা ৩০ দিনে। তবুও মেলে না! আরো ২৮ দিনের গরমিল। তখন দ্বাদশ মাস হিসেবে ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন। ২৮ দিনের মাস।
ডেসিমাল হিসেবের দশম/শেষ মাস ডিসেম্বরের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতেই হয়ত নতুন দুটোকে সামনে নিয়ে বছর শুরু করা হয়। এই কারণটি আমার মনে নাই।
তো এই হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে ২৮ দিন হবার ইতিহাস।
*******
এভাবে ভালোই চলছিলো, তবু কিছু গরমিল রয়ে যায়, যা অনেক অনেক দিনের ব্যবধানে ধরা পড়ে। এখান থেকে আসে লিপ ইয়ার। প্রতি চার বছর পরপর এক দিন অসম্পূর্ণ ফেব্রুয়ারির সাথে জুড়ে দেয়া হয়।
সম্ভবত তবুও গরমিল রয়ে গেছে। ২০০০ সালকে যে কারণে ৩৬৭ দিনে করতে বলা হয়েছিলো, কিন্তু পৃথিবীবাসী মেনে নেয়নি।
(ছেলেবেলার অর্জিত জ্ঞান। দুঃখিত রেফারেন্স দিতে পারছি না। মিলিয়ে নিন।)
শুভ নববর্ষ ২০১৬!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৩