somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“অস্পৃষ্ট নস্টালজিয়া”

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দু চোখ ভিজে গেল জলে... শিক্ষা জীবন এর প্রথম ধাপ মানে এস,এস,সি পরীক্ষা শেষ করলাম। Result প্রকাশ হবে। এর ভয়ে আগের ২/৩ দিন ঘুম হয় নি। সকাল থেকে সব বন্ধুরা এক সাথে হয়ে প্রিতিক্ষায় রইলাম result এর। Result প্রকাশ হল দুপুর এর দিকে। দেখলাম দেয়াল এ আমার Registration number এর পাসে 5.00 লিখা। বিশ্বাস হল না। এক বন্ধুকে দিয়ে আবার দেখালাম, সে ও একি দৃশ্য দেখল। আমার মুখ দিয়ে একটাই শব্দ বের হল “YES”। সাথে হাতটাও একটু নড়লো। পিছনে এক uncle ছিলেন যার গায়ে আমার হাতটা লাগে। সে চেচিয়ে উঠল, “কি হল,এসব কি, চোখ নেই???”। ,তার কথা শোনার সময় আমার ছিল না। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছিল তাতে কি; আমি জুত হাতে নিয়ে বাসার দিকে দৌড়। বাসায় যেয়ে; ভিজে শরীর নিয়েই আব্বুকে জড়িয়ে ধরি। আম্মু পাসে দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগল। আব্বু আমায় বুকে নিয়ে জড়িয়ে রাখল অনেকক্ষণ। আমার দু চোখ ভিজার কারন ছিল এটাই। আমি যে GPA-5 পেয়েছি। দিন গুলো খুব ভালই কাটছিল। শিক্ষা জীবন এর দ্বিতীয় ধাপ মানে কলেজ জীবন এ পা রাখলাম। নতুন পরিবেশ, নতুন বন্ধু, সব কিছুই নতুন নতুন। আমাদের কলেজ কম্বাইন্ড ছিল, কিন্তু তাতে কি! মেয়ে:ছেলে ছিল আনুমানিক ১৫:১। আর আমার সেকশনে হাতে গোনা ৬-৭ জন। এর মাঝে দুই জন চলে, এক জন সুন্দর (আমাদের ক্লাসের টপ সুন্দরী), আর বাকিদের কথা...! দেখতে দেখতে ২০-২৫ দিন পার হয়ে গেল। কলেজ কলেজ এর মত আমি আমার মত চলতে থাকি। এক দিন কলেজ এ আইডি কার্ড করার জন্য আমাদের সবার নাম এবং মোবাইল নাম্বার নিল। জীবনের কিছু কাজ আছে যা আমরা কেন করি তা আমরা নিজেরাও জানি না, যেমনটা ছিল আমার সেইদিনের ঐই কাগজ থেকে সুন্দরীর মোবাইল নাম্বার নেয়াটা.........।। ,ভেবেছিলাম মেয়েটার সাথে বন্ধুত্ত করব। যা ভাবলাম তা করাটা আমার জন্য একটু কষ্টসাধ্য ছিল। কারন আমি মেয়েদের সাথে সামনা-সামনি কথা বলতে অনেক ভয় পেতাম। কিন্তু কথা বলতেও ইচ্ছা করছিল। যাই হোক পরে ঐ নাম্বার এ একটা খুদে বার্তা পাঠিয়ে দেই। খুদে বার্তা টা ছিল অনেকটা এরকম...

টিং টং...
ওপেন দ্যা ডোড়;
কে?
আমি এস এম এস।
কি চাও?
একটা কথা বলব!
বল...
আমার না একটা ভাল ব্ন্ধু দরকার। তুমি কি আমার সেই ব্ন্ধুটি হবে???

“অনন্য”

শুধু এতুটুকুই লিখে পাঠিয়েছিলাম। ওপার থেকে কনো সাড়া পাওয়া গেল না। এস এম এস পাঠাবার পর ২৬ নাম্বার দিন; আমার মেজাজ অনেক খারাপ; আমার সব চেয়ে কাছের ব্ন্ধুর সাথে আমার ঝগড়া হয়। ঠিক ঐ সময় ই আমার সেল এ একটা কল আসে। ২-৩ বার রিং বাজল তারপর কল টা ধরলাম। কল ধরেই মেয়ে কন্ঠ শুনতে পেলাম।

মেয়েটাঃ আপনি কি অনন্য?
আমিঃ হ্যা! কিন্তু আপনি কে?

মেয়েটা কিছু না বলে চুপ করে থাকল।

মেয়েটাঃ আপনি কোথায় পড়েন?

আমি আমার কলেজ এর নাম বলি।

মেয়েটাঃ আপনি কোন সেকসন?
আমিঃ সব সেকসন। আর কিছু জিজ্ঞাস করবেন?

এটা বলে আমি কল টা কেটে দেই। একটু পরেই আবার সেই মেয়েটা কল করে। আমার মেজাজ খুবই খারাপ ছিল তাই প্রায় ৩০-৪০ বার সেই মেয়েটা কল দেবার পর একটা কল ধরলাম। আবারো একই প্রশ্ন। আপনি কোথায় থাকেন? কি করেন? সাইন্স না কমার্স? আমি সত্যি সত্যি আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এ পড়ি কিনা? ইত্যাদি!!! আমি এক ঝাড়ি দেই। বললাম আপনার সমস্যা কি? আপনার আর কোন কাজ নাই? এই নাম্বার এ আর কল দিবেন না। এটা বলে কেটে দেই। একটু পরেই আবার কল দেয়। আমি সেল অফ করে দেই। এক ঘন্টা পর সেল অন করি। সাথে সাথেই আবার সেই মেয়ের কল। আমি কল ধরে বললাম আপনাকে না কল দিতে না করলাম। সে বলে আমি কে তা যদি জানতেন তাহলে আর কল কাটতেন না। আমি বলি তুমি এমন কি হয়ে গেছ যে তোমার কল কাটবো না? সে বলে তুমি মনে হয় আমাকে ২০-২৫ দিন আগে একটা এসএমএস করেছিলে। আমার তখন মনে পরল ঐ মেয়ের কথা। আমি বললাম হা। করেছিলাম কিন্তু আমার মন মেজাজ কিছুই ভাল না, আমি এখন তোমার সাথে কথা বলতে পারব না। সে বলে এটা আমার বাবার নাম্বার আমি পরে আর কথা বলতে পারব না। আমি বললাম তাহলে থাক আর কথা বলা লাগবেনা। সে বলে আচ্ছা তুমি তাহলে আমার সাথে কাল কলেজ এ ক্লাস শুরু হবার আগে দেখা করবে। আমি বললাম চেষ্টা করব। তারপর সে কল কাটল। আমার কলেজ ছিল ৮টায়। আমি কোন দিন ই কলেজ এ সময় মত যেতে পারি নি। সেদিন যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেদিন ও যেতে পারি নি। তাই তার সাথে কথা বলা হল না। যেহেতু সে আমাকে দেখে নি; আর আমি আমার ফেইক নাম তাকে বলছি তাই ভাবলাম তার সাথে কথা বলব না। এদিক দিয়ে সে আমাকে পুরো কলেজ এ খোঁজা শুরু করল। অনন্য কে? অনন্য কে? মজার বেপার সে আমাকেও জিজ্ঞাস করছিল অনন্য কে? অনন্য নামে কাউকে চিনি কিনা। আমার এই নাম টা আমার ২-৩ জন বন্ধু ছাড়া কেউ জানত না। ছুটির সময় কলেজ থেকে বের হচ্ছিলাম। ঠিক এমন সময় বাংলা সিনেমার মত; মেয়েটা কমন রুম থেকে “এই ছেলে দাড়াও” “এই ছেলে দাড়াও” বলতে বলতে আমার দিকে দৌড়ে আসতে থাকে। আমি না শোনার ভান করে চলে যেতে লাগি; সে আমার কাছে এসে জিজ্ঞাস করে, “এই ছেলে তোমার নাম কি?” আমি জবাব এ বললাম আমার নাম তো অনেক, কোনটা জানতে চাও? সে বলল, “যা আছে সব বল”। ,আমি বলা শুরু করি... সজীব! অনন্য... এই নাম বলতে না বলতেই সে বলল “থাক আর বলা লাগবেনা”। ,এটা বলেই সে চলে গেল কমন রুম এ। পরদিন কলেজ এ আসার পর ক্লাস শুরুর আগে তার সাথে দেখা হল। আমি জিজ্ঞাস করলাম কাল নাম জেনে কিছু না বলেই চলে গেলা যে! সে বলল তোমার সাথে কথা নাই। তোমার মত কাপুরুষ এর সাথে আমার কোন কথা থাকতে পারে না। আমি বললাম কাপুরুষ কেন? বলল তুমি আগের দিন দেখা না করে লুকিয়ে ছিলে কেন? পরে তাকে সব বুঝিয়ে sorry বললাম। তাকে জিজ্ঞাস করলাম আমার এসএমএস এর উত্তর কি? আমি কি তোমার বন্ধু হতে পারি? সে বলল, “দেখি চিন্তা করে”।, এটা বলে সে ক্লাস এ চলে যায়। আমাদের কলেজ এ প্রতি বৃহস্পতিবার অডিটোরিয়াম এ গান বাজনা হয়। সেদিন বৃহস্পতিবার ছিল। আমিও সেদিন একটা গান গেয়েছিলাম। এটা আমার জীবন এর প্রথম গান। আমি খুব ই নারভাস ছিলাম। আমার পা কাপছিল, সারা শরীর ঘাম ছিল। তার উপর সে খানে ওই মেয়েটাও ছিল। আমি “শ্রাবণ এর মেঘ গুলো জড়ো হল আকাশ এ...” গান টা গাইলাম। গান শেষ করার পর বাইরে আসলাম। মেয়ে টাও একটু পর বের হল। আমার কাছে এসে বলল তোমার গান শুনলাম। ভয়েস টা সুন্দর কিন্তু শুর কিছুই হয় নাই। আমি বললাম আমি গান শিখি না; আর এটা আমার প্রথম গান। তাকে জিজ্ঞাস করলাম তোমার চিন্তা কি শেষ হইছে? সে কোন জবাব না দিয়ে, “bye” বলে চলে যায়। সেদিন থেকে আবার কলেজ বন্ধ। ১ মাস এর জন্য। তার উত্তর না পেয়ে একটু খারাপ লাগতে শুরু হল। খারাপ লাগার কারন টা বুঝতে পারছিলাম না। ২-৩ দিন পর এক রাতে, ১টার দিকে আমার সেল এ কল আসে। কল ধরলাম দেখি সেই মেয়েটা। আমি বললাম, কি খবর? কেমন আছ? কি মনে করে কল দিলা? বন্ধুত্ত করার জন্য রাজী নাকি? সে বলল না! রাজী না। শুনে আমার একটু খারাপ লাগে। আমি বললাম, আচ্ছা তাহলে রাখি। সে বলে, “কল তো আমি দিয়েছি তুমি রাখবা কেন? আমি যখন বলি তখন রাখবা”।, এ কথার পর দুজন ই ১-২ মিনিট নিরবতা পালন করলাম। পরে সে আমাকে বলল, “সজীব! তুমি কি ভাববা আমি জানি না; কিন্তু আমি তোমাকে LOVE করে ফেলছি। এখন তুমি যদি আমাকে ফিরিয়ে দাও আমি কি করব আমি নিজেও জানি না। আমি তোমায় সত্যি ভালবেসে ফেলছি”।, আর এদিক দিয়ে আমি তো আকাশ থেকে পরলাম। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। তাই চুপ করেই ছিলাম। কিছুক্ষণ পর ই শুনলাম সে কাদঁতেছে; আর আমাকে বলছে, “please আমাকে না বোলোনা please”। আমি তাকে বোঝানর চেষ্টা করি; তাকে বলি এখন আমরা দুজনেই student, তুমি আমি প্রায় সম বয়সী, তার উপর আমি তোমাকে ভাল ভাবে জানি না, তুমিও আমার সম্পর্কে কিছুই জান না, হটাৎ করে এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। আমি যতই বোঝাই তার কান্নার শব্দ ততই বাড়ছিল। আমার শরীর এর রক্ত চলাচল বেরে যাচ্ছিল। আমার কি করা উচিত! কি বলা উচিত! কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পরে তাকে বললাম, আমাকে একটু সময় দাও আমি চিন্তা করি। সে বলল, “আচ্ছা, চিন্তা কর। আমি ১ ঘন্টা পর কল দিব। কিন্তু সজীব! Please না বল না”।, আমি মাত্র ১ ঘন্টা সময় পেলাম ছোট এই জীবন এর অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত নেবার জন্য। আমি তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। কিন্তু এই ১ ঘন্টা সময় তাকে আমার কাছে অনেক আপন করে তুল্লো। ভালবাসা কে সংজ্ঞায়িত করা অনেক কঠিন। কিন্তু সে সময় মনে হচ্ছিল এটাই হয়ত ভালবাসা। তাকে চিনি না জানি না তবুও কেমন যেন খারাপ লাগা কাজ করছিল। মনে হচ্ছিল এই মেয়েটাই আমার জন্য। আল্লাহ্‌! তাকে আমার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু এত সহজ এ তাকে পেয়ে যাচ্ছি এটা ভেবে একটা ভয় ও কাজ করছিল। যদি কখন হারিয়ে ফেলি!!!এসব ভাবতে ভাবতেই ১ ঘন্টা হয়ে যায়। সাথে সাথেই তার কল হাজির। কল ধরলাম। আমি কিছু বলার আগেই সে বলা শুরু করল, “তুমি কি ভাবলা এতখন আমি জানি না! কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুমি না করবে”। ,এটা বলেই আবার কান্না। আমি বললাম এই মেয়ে কেঁদো না। তোমার কান্না শুনে আমিই কেঁদে দিব কিন্তু! আমাকে এত ভালবাসলে কি ভাবে? এ কি সত্যি ভালবাসা! নাকি শুধুই মিছে আশা! যাই হোক “I LOVE U TOO…” আমি একবার না বলতেই সে ১০-১২ বলে ফেলল, “I LOVE U, I LOVE U,…….. সজীব তুমি ভয় পেও না আমি শুধুই তোমার, তোমাকেই ভালবাসবো, তোমাকে কখন কষ্ট দিব না, তোমার সব কথা শুনব, believe me!” এসব কথা বলতে না বলতেই আজান দিয়ে দিল। আমি বললাম আজ তাহলে ঘুমিয়ে পরো, কাল কথা হবে। পরদিন তার সাথে দেখা করতে চাই। কারন আমার মনে একটু ভয় ছিল, এটা কি সেই মেয়েই যাকে আমি এসএমএস করেছিলাম। যাই হোক দেখা হবার পর আমার সেই ভয় টা কাটল নিজ চোখে দেখে, তার সামনে দাড়িয়ে কথা বললাম। এভাবেই শুরু হল আমার প্রেম কাহিনী। দেখতে দেখেত কলেজ খুলে গেল। সেই দিনের সেই আমি আর প্রেম এ পরার পর আমার মধ্যে অনেক বড় পরিবর্তন। সেই সাগরের ঢেউ এর মত উম্মাত-উচ্ছল ডানপিটে সজীব রাতারাতি নদীর মত শান্ত হয়ে গেলাম। আগে যেখানে সপ্তাহে ২/৩ দিন ক্লাসে আসতাম। এখন পারলে শুক্রবারও ক্লাস এ আসি। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, দুষ্টোমি অনেক কমে যায়। তখন মনের মাঝে শুধু একটাই গান বাজত, “যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি তোমার সেই প্রতিচ্ছবি...”। ,পুরো জীবনটাই নতুন রূপ ধারন করল। এত কথা যাকে নিয়ে তার নামটাই বলা হল না। তার নাম “দীপা”।, ওর বাসার সবায়-ই আদর করে “টুম্পা” ডাকে। আমি অবশ্য যখন যা ইচ্ছে হত তাই ডাকতাম। ভালোই চলছিল দিন গুলো। ক্লাস বিরতীর সময়, ছুটির পর, রাস্তায়, বাসায়; ঘন্টার পর ঘন্টা ওর সাথেই কথা হত। সময় কি ভাবে কেটে যাচ্ছিল তা বোঝার ও সময় পাচ্ছিলাম না। এক কথায় প্রেমের নদীতে হাবুডুবু খেতে থাকি। দেখতে দেখতে ৭ মাস কেটে যায়। তার সাথে খুবই ভাল একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মজার বেপার ছিল এত ভাল সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও আমি তার হাতটা পর্যন্ত ধরি নি। সেদিন খুব ইচ্ছে করছিল তাকে স্পর্শ করতে। টুম্পা আর আমি দাড়িয়ে ছিলাম মিরপুর-১৪ নাম্বার এর বিখ্যাত রাস্তায় (আনন্দ রোড বা টুকু সরনী); ওকে বললাম দীপা তোমার হাত টা দাও। সে একটু লজ্জা পায়। বলল এখানে?!!! বললাম হ্যা!!! এখানেই। সে হাত টা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল; আমি আমার হাত দিয়ে তার হাত টা ধরলাম। ৫-১০ মিনিট শুধু ধরেই রাখলাম। তারপর হাতে আলত ভাবে একটা চুমু করে ছেড়ে দিলাম। প্রথম বারের মত তার হাত ধরার এই স্মৃতি ভোলার নয়। এভাবে রোমান্টিকতার মাঝে কাটতে থাকে এক একটা দিন। এক দিন গল্প করতে করতে দুজন হাটছিলাম ১৪ নাম্বার এর সেই চির চেনা রাস্তা দিয়ে। হটাৎ সে আমাকে বলে, “সজীব! তোমাকে একটা কথা বলব” এটা বলেই সে রাস্তার মাঝেই কাঁদা শুরু করল। আমি বলি আগে কি হয়েছে বলে তারপর কাঁদ। বলল, “আমার কিছু শারিরীক সমস্যা আছে; আমি তোমাকে ঠকাতে পারবনা; আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালবাস কিন্তু আমাদের যদি বিয়ে হয়; তাহলে আমাদের কখন বাবু হবে না। মানে আমি কখন মা হতে পারব না”।, আমি বলি এসব কি বলতেছ আবলতাবল? সে বলে, “এটা সত্যি! আর এর জন্য হয়ত আমাদের মাঝে, আর আমাদের পরিবার এর মাঝে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করবে। তাই সজীব please আমাকে ভুল বুঝোনা, তুমি আমাকে ভুলে যাও”। ,আমি পুরোই SHOCKED!!! কিছুক্ষণ বুঝতে পারছিলাম না কি বলা উচিৎ। পরে আমি বললাম দীপা তুমি আমার শুধুই আমার। কাজেই আল্লাহ যদি চান সব ই ঠিক হয়ে যাবে; আর তিনি না চাইলে আমার কোন কষ্ট থাকবে না। কিন্তু তোমাকে হারাবো, তোমার সাথে আর কথা হবে না এটা আমি মেনে নিতে পারবনা। সে বলে, “সজীব! এটা তোমার আবেগ এর কথা। বাস্তব অনেক কঠিন তুমি মেনে নিলেও সমাজ, তোমার পরিবার আমাকে মেনে নিবে না। তুমি আরো সময় নাও চিন্তা কর তারপর সিদ্ধান্ত দিয়। তারপর তাকে বিদায় দিয়ে বাসায় আসলাম। অনেক চিন্তাই করলাম কিন্তু তাকে ফিরিয়ে দেবার মত কোন চিন্তা করতে পারছিলাম না। ভাবলাম মানুষ এর তো বিয়ের পরেও এ ধরন এর সমস্যা হয়; আমার ও এটা হতে পারে। পার্থক্য শুধু আমি বিয়ের আগে জানব। আর আমার বা মা হয়ত কষ্ট পাবে কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাদের চেয়ে আমার কষ্ট টা বেশী মনে হচ্ছিল। যাই হোক তাকে পর দিন অনেকক্ষণ বুঝালাম। আবার আগের মত আমাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। দেখতে দেখতে হাসি আনন্দ কিছু কষ্ট আর এলাকার হেডম ছেলে-পেলের থ্রেট এর মধ্য দিয়ে কেটে যায় ১ বছর। সব চেয়ে ভয়াবহ থ্রেট খেয়েছিলাম একবার কলেজ থেকে বাসায় ফেরার সময়। দীপা ও ছিল আমার সাথে। ও র কারনেই এসব হত। সুন্দরী বলে কথা। এলাকার ছেলে-পেলের তো একটু কষ্ট লাগবেই। ৬-৭ টা ছেলে পেলে ব্যাট, স্ট্যাম নিয়ে আসছে আমাকে মারতে। আমি কোথাকার কে, উড়ে এসে জুড়ে বসেছি, অন্য এলাকায় থেকে এই এলাকায় প্রেম করি, আমার কলিজা টা কেটে নিয়ে যাবে আর ও কত কি! আমি শুধু একটা কথাই বলছি, “ দেখেন ভাই এই মেয়ে কে আমি অনেক ভালবাসি, আমার ধারনা মেয়ে টা ও আমাকে অনেক ভালবাসে। আর এর জন্য মেয়েটাই আমাকে propose করেছিল। তাই সে যত খন পর্যন্ত আমাকে ভালবেসে যাবে আপনার আমকে মেরে ফেললেও কোন লাভ নাই। আমাকে তার থেকে আলাদা করতে পারবেন না”।, দীপা অবশ্য এসব কথা শোনে নি। ওকে সামনে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এই দিন টা আমার সব সময় মনে থাকবে। দিপা অনেক সুন্দর গান ও গাইতো। প্রায় প্রতি দিন ই আমাকে দুই চার লাইন শোনাতো। দেখতে দেখতে প্রিটেষ্ট পরীক্ষা এসে যায়। পরীক্ষার ৪-৫ দিন আগে ক্লাস এ, টিফিন এর সময় দেখলাম দিপা একা একা বসে কাদঁতেছে। কাছে গিয়ে বোসলাম। জিজ্ঞাস করলাম কাঁদো কেন? কিছু বলল না শুধু কাঁদতেই থাকে। পরে তার এক বন্ধু এসে বলল, ওর কাল রাতে বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে বাহিরে থাকে তাই হটাৎ করেই ওর বাবা মা জোড় করে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমার বিশ্বাস হল না। আগের দিন বিকাল এ ও তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তখন ও সে কিছু বলে নি এ বেপার এ। তাকে জিজ্ঞাস করলাম আমাকে জানাও নি কেন? বলল সব এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে বলার ও সময় দেয় নি ওর বাবা-মা। মুহূর্তেই আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায়। কাল-বৈশাখী ঝড়ে ডানা ভেঙে যাওয়া পাখির মত ছটফট করতে থাকলাম। আমার অবস্থা; চোখ থাকতেও অন্ধ, মুখ থাকতেও বোবা, হাত-পা থাকতেও পঙ্গুর মত হয়ে যায়। আমার ভালবাসাটাকে কেউ একজন আটকে দিল স্বচ্ছ কাঁচের দেয়াল দিয়ে। সব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কিন্তু তাকে স্পর্শ করতে পারছি না, দুজন ই কথা বলছি তবুও কেউ কার কথা শুনতে পারছিলাম না। আমি আর কথা বলতে পারি নাই। আমার ওর সামনে বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি শেষ বারের মত তার হাত ধরে বললাম আরে কেঁদো না। যা হবার তো হয়েই গেছে। আমি তোমাকে অনেক অনেক অনেক ভালবাসি তো, তাই এমন হয়েছে। যাই হোক সুখী হোও ভাল থেকো” বলে আমি কলেজ থেকে বের হয়ে যাই। আমার মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। হাটতে ও কষ্ট হচ্ছিল। একা একাই কলেজ থেকে হাটতে হাটতে মিরপুর-২ এ এসে পরি। যে সজীব একদিন সিগারেট খাওয়া নিয়ে তার বন্ধুর সাথে ঝগড়া করেছিল। বলেছিল যারা সিগারেট খায় সবাই খারাপ। সেই সজীব নিজ হাতে ৮টা সিগারেট কিনে সেই ঝগড়ার জায়গাটাতেই বসে সব গুলো শেষ করল। আমি কি করছিলাম, কেন করছিলাম তা বুঝতে পারছিলাম না। সব কিছু নিজে নিজেই হচ্ছিল। পরে আমার কিছু বন্ধু সেখানে আসে। আমাকে পানি খাওয়ায়। মাথায় পানি দিয়ে সাথে কিছু সান্তোনা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। আমি বাসায় ঢোকার সাথে সাথেই আম্মু বুঝতে পারে যে আমার কিছু একটা হয়েছে। বার বার জিজ্ঞাস করতে থাকে, “তোর কি হয়েছে”। ,আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। কারন আম্মু ও দীপার কথা জানত এবং ওকে অনেক পছন্দ ও করত। আমার চোখ দিয়ে পানি বের হতে থাকে। আমার কান্না দেখে আম্মু ও কাঁদা শুরু করে। পরে বলি দীপার বিয়ে হয়ে গেছে। আম্মু আর বেশি করে কাঁদতে থাকে। আমাকে কি সান্তোনা দিবে উলটো আম্মুকে আমার সান্তোনা দিতে হয়। আম্মু বলে, “চল ওই মেয়ের বাসায় যাই এখন। আমি নিজে কথা বলব”। ,আমি বললাম কথা বলে কি হবে ওর তো বিয়ে হয়েই গেছে। আম্মু বলে থাক তুই আর কলেজে যাবার দরকার নাই। একেবারে পরীক্ষা দিতে যাস। ৫ দিন পর পরীক্ষা দিতে যাই। তাকে দেখতাম দূর থেকে। কাছে যেতাম না ভাবতাম ও হয়ত কষ্ট পাবে। আর এদিক দিয়ে কি যে পরীক্ষা দিয়েছি তা স্যার-রাই ভাল জানেন। আমি খাতাও ফেরত নেই নাই। পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। আবার কলেজ বন্ধ। কলেজ প্রায় ১ মাস বন্ধ। সামনে আবার টেষ্ট পরীক্ষা। এই বন্ধের মাঝে একদিন দীপার কল আসে। আমি ধরলাম জিজ্ঞাস করলাম কি অবস্থা কেমন আছো? তোমার সংসার জীবন কেমন কাটছে? সব ঠিক আছে তো? সে কিছু ক্ষণ চুপ করে থাকে। পরে বলে “সজীব আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারলাম না। আমি যা বলছি সব ই মিথ্যা ছিল। আমার বিয়ে হয় নি। আমি তো তোমার থেকে দূরে থাকার জন্য এমন করেছি। please আমাকে মাফ করে দাও। আমি জানি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আর আমার শারীরিক সমস্যা টাও মনে হয় ঠিক হয়ে যাবে। এক ডাক্তার বলেছেন”। ,এত ভাল খবর শুনেও আমি খুশি হতে পারছিলাম না। আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। আমি বললাম তুমি অনেক lucky কারন তুমি এ কথা গুলো আমাকে সেল এ বলেছ। সামনা সামনি বললে হয়ত তোমাকে মেরে ফেলতাম। এর পর সেল টা কেটে বন্ধ করে দেই। মোবাইল অন করে দেখি ৩০/৪০ টার মত এসএমএস। সব গুলোর main কথা ছিল sorry. যাই হোক আস্তে আস্তে সব ঠিক হল। দূরে যাবার কষ্ট গুলো দুজনকে আর ভাল ভাবে কাছে আনল। ভালবাসার মানুষ টাকে হারাবার পর ই বুঝতে পেরেছিলাম তাকে আমি কি পরিমান ভালবাসতাম। আবার শুরু হল হাতে হাত রেখে আমাদের পথ চলা। আবার কলেজ যাওয়া শুরু হয়। কলেজ ছুটির পর ওর জন্য প্রতি দিন ই ১/২ ঘণ্টার মত দাঁড়িয়ে থাকতাম একা। সে কলেজে এক স্যার এর কাছে পড়ত। পড়া শেষ করে আবার কমন রুম এ যেয়ে বোরকা পরত। তারপর এক সাথে কলেজ থেকে বের হয়ে ১৪ নং পর্যন্ত আসতাম। তারপর সে তার বাসার দিকে আমি আমার বাসার দিকে যেতাম। এ ছিল আমাদের প্রতিদিন এর রুটিন। ১৪ নং থেকে সে যখন চলে যেত অনেক খারাপ লাগত। দাঁড়িয়ে দেখতাম তাকে যতখন দেখা যেত। বিলিয়ার্ড আমার একটা প্রিয় খেলা। সময় পেলেই খেলতে যেতাম। ভালই পারতাম। মাঝে মাঝে ওর জন্য খেলার মাঝেই চলে আসতে হত। এভাবেই টেষ্ট পার হয়ে এই,এস,সি, পরীক্ষা এসে পরে। আর মাত্র ২০-২৫ দিন বাকি ছিল। এক দিন রাতে কথা বলার সময় দীপা কে বললাম সামনে পরীক্ষা আম্মুর সাথে দেখা করে দোয়া নিয়ে যাও। তোমাকে তো আগেই আসতে বলছি তুমি তো আসো না। এবার আসতেই হবে। সে বলে না এখন আসব না। পরে অন্য কোন সময়। আমি রেগে যাই বলি তোমার কাল ই আসতে হবে আমার বাসায়। আমি তোমাকে ১৪ নং থেকে নিয়ে আসব সকাল এ। সে বলে না পরে আসব এখন আসতে পারবোনা। ইত্যাদি ... আমি বলি তোমার কাল আসতেই হবে যেভাবেই হোক। না হয় তোমার বাসায় যেয়ে তোমাকে নিয়ে আসব। এটা বলে আমি কল কেটে দেই। ১/২ ঘন্টা পর এক টা unknown নাম্বার থেকে কল আসে। আমি ধরলাম। একটা ছেলে কণ্ঠ। বলে সজীব তুমি দীপাকে কি বলছ যে ও কাদতেছে। আমি বললাম ভাই আপনি কে? আর আপনার কাছে কি আমার বলতে হবে আমি ওকে কি বলছি। ছেলেটা বলে আমি “রাসেদ” দীপার boy friend. আমি রাসেদ কে চিনি সে আমাদের কলেজ এর মাস্টার্স এর এক বড় ভাই। সেই প্রথম দিকে আমাদের কে সাহায্য করেছিল কলেজের বিভিন্ন ঝামেলায়। কিন্তু দীপার boy friend!!! আমি হেসে বললাম দীপার boy friend আপনি। বলে হা বিশ্বাস না হলে ওকে জিজ্ঞাস করতে পার। কিন্তু এখন বল তুমি ওকে কি বলছ যে ও কাঁদছে। আমি বললাম ভাই আপনার সাথে কথা বলার আগ পর্যন্ত জানতাম দীপা শুধুই আমার। এখন দেখছি আপনার ও। সে রেগে যায়, বলে তার মানে কি বলতে চাও তোমাদের সম্পর্ক তো আর ১ বছর আগেই ভেঙে গিয়েছে। আবার কি বলতে চাও। আমি বললাম আচ্ছা যা বলার দীপা-ই বলবে। পরে দীপাকে কল দিলাম সে ধরল না। অনেক বার-ই কল দিলাম ধরে না। পরে রাসেদ কে কল দিয়ে বলি ভাইয়া আমি কাল কলেজ এর সামনে থাকব আপনি ওকে নিয়ে হাজির থাকবেন। সামনা সামনি কথা বলব। বলল আচ্ছা। আমি সকালে আমার ২-৩ জন বন্ধু নিয়ে যাই। দীপা আর রাসেদ আসে। আমি দীপাকে জিজ্ঞাস করি ভাইয়া যা বলতেছে তা কি সত্যি? বলে হ্যা। আমি বললাম তোমার সাথে তো আমার কাল সন্ধায় ও কথা হল। তুমি আমাকে বুঝালা সজীব ভাল ভাবে পড় ভাল result না করতে পারলে আমাদের কপালে খারাপি আছে। আরো কত কি। দীপা ব্রু কুচকিয়ে অবাক শুরে বলল কি বলছ আবল তাবল। তোমার সাথে তো আমার ১ বছর আগেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এখন আবার কি বলতে চাও। আমি again SHOCKED. What is happening with me!!! আমি এসব কি দেখছি!!! কি শুনছি!!! আমি তাকে থাপ্পর মারতে যেয়েও পাড়ি নাই। আমার মানি ব্যাগ থেকে ওর একটা ছবি বের করে ছেলেটার মানি ব্যাগ এ ডুকিয়ে দিয়ে বললাম, ভাইয়া আপনি জিতে গেছেন ও আপনার ই ভাল থাকবেন দুজনে কিন্তু একটু সাবধান আমার মত অবস্থা যেন না হয়। পরে তারা দুজন চলে যায় কলেজে এর ভিতরে। আমি চলে আসি। হারিয়ে খুজে পেলাম পেয়ে আবার হারিয়ে ফেললাম। এর পর থেকে আজ ২ বছর হয়ে গেল আমি তার চেহারাও দেখি নি তার সাথে কথাও বলি নি। সে আমাকে কল ও দেয় নি। আমি বেশী মনে পরলে unknown নাম্বার থেকে কল দিয়ে তার ভয়েস শুনে রেখে দেই। সব কষ্ট তও একবারে শেষ হয় না। ধীরে ধীরে ২ বছর এ অনেকটাই ঠিক হয়েছে। আজ আমি AIUB (American International University of Bangladesh) এ “Electrical and Electronic Engineering” পড়ছি। Varsity র নাম দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে যে আমার এইচ, এস, সি, পরীক্ষা কেমন হয়েছিল। হা হা হা!!! কিন্তু একটা আফসোস আজীবন থেকে যাবে তা হল দীপা এমন কেন করল আমার সাথে তার কারন টা আমি জানতে পারি নি। অনেক বার অনেক ভাবে অন্যান্য বন্ধুদের দিয়ে কল করিয়েও চেষ্টা করেছি শুধু কারনটা বের করার। কিন্তু আজ ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১১ বিশ্ব ভালবাসা দিবস এর আগের দিন এখন পর্যন্ত আমার ভালবাসা ভেঙে যাবার কারনটাই জানতে পারলাম না। এটাই আমার ভালবাসা। কত মজার, তাই না???

আমার জীবন এর টক মিষ্টি ঝাল এ পরিপূর্ণ দুটি বছর এর কিছু অংশ উপরে তুলে ধরা হয়েছে। হয়ত কারো ভাল লেগেছে, কারো হাসি পেয়েছে, কারো সুপ্ত কষ্ট নতুন করে জেগে উঠেছে, কারো হয়ত আমার প্রতি সহানুভুতি জন্ম নিয়েছে, কারো হয়ত দীপার প্রতি ঘৃণা জন্মিয়েছে, কেউ বা আবার বলছে, “আজাইরা সব জিনিস এসব লিখার কি আছে”। ,যে যা ই বলুক আমার তাতে কিছু আসে যায় না। যা হবার হয়ে গেছে। ১৪ ফেব্রুয়ারী সবার জীবনে বয়ে আনুক অনেক অনেক ভালবাসা। আমার ভালবাসা আমি পেয়ে গেছি। আমার মা আমাকে অনেক বেশি ভালবাসে। আম্মু তোমাকে কখন সরাসরি বলা হয় নি কিন্তু আমিও তোমায় অনেক ভালবাসি। তুমি যদি কখন লিখাটা পর please আমাকে ভুল বুঝনা। আর আব্বুকে ও কিছু বলনা। আর আমার ছোট ভাই “সাকিব” সে অনেক ভাল। সাকিব এবং আমার সব বন্ধুরা যারা সব সময় আমার পাশে ছিল যারা এখনও আছো এবং যারা ধৈর্য্য ধরে পুরো লিখটা পড়লেন সবার প্রতি রইল আমার অন্তর এর অন্তরস্থল থেকে গভীর ভালবাসা।

ধন্যবাদ!!!




১৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×