somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ বিবাহ এবং বিবাহ পূর্ববর্তী ঘটনা সমূহ :D

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনলাইনে একজনের ভিডিও বের হয়েছে । ৩৩ সেকেন্ডের একটা ভিডিও ! তাও আবার যার তার না একেবারে টপ মডেলদের একজন । এই মেয়ে আবার কেবল টপ মডেলই না সাথে গানও গায় ভাল । বেশ কয়েকটা এলবাম বের হয়ে হিট করে ফেলেছে । মেয়ের বাবাও মিডিয়া জগতের একজন বিখ্যাত মানুষ !
অবশ্য ভিডিও বলতে ঠিক যেমন টা বোঝায় ঠিক তেমন কিছু না !
একটা রুমের ভেতরে মডেল মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে । পাশে একজন ছেলে আছে যদিও ছেলেটার চেহারা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে না ! মডেল মেয়েটা শর্টস আর একটা টপ পরে আছে তবুও সেটাকে শালীন পোশাক বলা যাবে না কিছুতেই । ছেলেটার গালে একটা জোড়ে করে চুমু খাওয়া পর্যন্ত এসেই ভিডিও শেষ !

অনলাইনে বলতে গেলে ভিডিও বের হওয়ার পরপরই ঝড় বয়ে গেল । সব থেকে বড় সেলিব্রেটি ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে লাগলো সব নস্ট হয়ে গেল । পৃথিবীতে আর কিছু নাই । কেউ কেউ আবার সিসি করতে লাগলো । অনেকে আবার এটার পক্ষও নিল ! আরও কত কিছু !
সবার মনেই কেবল একটাই প্রশ্ন সাথের এই ছেলেটি কে ? মিডিয়ার কেউ নাকি বাইরের কেউ !
আমি কেবল চুপ দেখতে লাগলাম ! কি করবো কি বলবো ঠিক বুঝতে পারলাম না !

ঠিক এই সময়ে আমার একজন পরিচিত এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল
-দোস্ত দেখছিস ?
যদিও আমি খুব ভাল করেই জানি বন্ধু কি দেখার কথা বলছে তবুও বললাম
-কি দেখবো ?
-আরে সোফিয়া রাহির ভিডিও টা ?
-হুম! দেখলাম !
-ছেলেটা কে হতে পারে বলতো ?
-আরে আমি কিভাবে বলবো ?
-আমার কেন জানি ছেলেটাকে অনেক টাই তোর মত মনে হচ্ছে ! তোর একটা নীল রংয়ের গেঞ্জী আছে না ?
-তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে ?
-না মানে মনে হল তাই বললাম !
-ফোন রাখ তুই ! বেকুব কোথাকার !


ফোন রাখার পরে খানিকটা চিন্তায় পরে গেলাম ! বেকুব মেয়েটা এমন একটা কাজ করবে ভাবতে পারি নি ! বেকুবের বেকুব কোথাকার ! আমার রাগ করে এমন একটা কাজ করার কি দরকার ছিল ? কাল পত্রিকায় কি লিখে কে জানে ! এরা তো এমন খবর গুলোর জন্য একদম মুকিয়ে থাকে !

-----
ছোট বেলা থেকেই আমার ঘোরাঘুরি করার বেশ সখ ! সময় সুযোগ পেলেই আমি বাইরে বেরিয়ে পড়ি । কেউ থাকলে ভাল না থাকলে আরও ভাল ! বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যে সেখানে যাই নি । ছাত্র থাকা অবস্থায় মা বাবা একটু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতো ! কিন্তু চাকরীতে ঢুকার পরে তো আর কেউ বাধা দেওয়ার থাকলো না ! যখনই সময় পেতাম তখনই বের হয়ে যেতাম !

সেইবার যখন ছুটি পেলাম সোজা সেন্টমার্টিন ! এই জায়গাটা আমার বেশ পছন্দের । আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি ! এবার এসেছি একেবারে একা ! সাথে করে গিটার নিয়ে এসেছি ! সমুদ্রে পাড়ে বসে গান চলবে আর হাওয়া খাওয়া !
সন্ধ্যা পার হয়ে রাত নামলেই সীবীচে চলে যাই । গিটার বাজানো চলে আর আর মৃদু স্বরে গান ! মাঝে মাঝে কেউ পাশে এসে বসে আবার কেউ বসে না ! অবশ্য রাতের বেলা লোকজন কম থাকে । আমার অবশ্য একা একা খারাপ লাগে না !
দ্বিতীয় দিন লানা ডেল রে এর সামার ওয়ান গাচ্ছিলাম ! একা একা গুন গুন করেই তখনই পাশ থেকে একটা আওয়াজ পেলাম !

Strawberries cherries and an angel's kiss in spring
My summer wine is really made from all these things

এর পরের টুকু আমার গাওয়ার কথা !
I walked in town on silver spurs that jingled to
A song that I had only sang to just a few
She saw my silver spurs and said lets pass some time
And I will give to you summer wine
Ohh-oh-oh summer wine


সত্যি বলতে কি মেয়েটার কন্ঠ অসম্ভব মিষ্টি ! আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতে লাগলাম !
মেয়েটা আবার শুরু করলো
Strawberries cherries and an angel's kiss in spring
My summer wine is really made from all these things
Take off your silver spurs and help me pass the time
And I will give to you summer wine
Ohhh-oh summer wine


এর পর আবারও আমি
My eyes grew heavy and my lips they could not speak
I tried to get up but I couldn't find my feet
She reassured me with an unfamiliar line
And then she gave to me more summer wine
Mmm-mm summer wine




যখন গিটার বাজানো শেষ করলাম মেয়েটা আমার পাশে এসে বসেছে ! আমি গিটার বাজানো থামিয়ে মেয়েটার দিকে তাকালাম ! যদিও বেশ অন্ধকার হয়ে গেছে । মেয়েটার চেহারা পরিস্কার দেখা যাচ্ছে না ! তবে মেয়েটা যে সুন্দরী সেটা বুঝতে কষ্ট হল না ! আমি বললাম
-আপনি তো অসম্ভব সুন্দর গান !
-আপনিও কম কিসের ?
-আরে কি যে বলেন ! আমি গান গাইতে পারি নাকি ! প্রিয় একটা গান তাই মাঝে মাঝে গুন গুন করি !
-আই মাস্ট সে যে বেশ ভাল গুন গুন করেন ! আমার খুব প্রিয় একটা গান ! আপনার গিটারের আওয়াজ শুনে চলে আসলাম !

এই ভাবে কথা চলতেই থাকে ! মেয়েটা আমার সম্পর্কে অনেক কথাই শুনলো আমি কোথায় থাকি কি করি ! কিন্তু নিজের সম্পর্কে খুব একটা কিছু বলল না ! কেবল নিজের নাম বলল সোফি !

পরের দিন বিকেলে মেয়েরার সাথে আবার দেখা বীচে ! তবে আমি ঠিক মেয়েটাকে চিনতা পরলাম না ! মেয়েটার মুখে স্কার্প পরা ছিল ! চেহারা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না ! কেবল চোখ দুটো দেখা যচ্ছে । আমি গত রাতে অন্ধকারে মেয়েটাকে এমনিতেও খুব ভাল করে দেখিও নাই । মেয়েটাই আমার সাথে আগে কথা বলল !
-এই গিটারিস্ট সাহেব !
কন্ঠে শুনে আমি চিনলাম !
-আরে আপনি ! কি খবর ?
-কোথায় যাচ্ছেন ?
-কোথাও না ! ! এমনি ঘুরে বেড়াচ্ছি ! আপনি কোথায় যাচ্ছেন ! আর এভাবে মুখ ঢেকে রেখেছেন কেন ?

কথাটা বললাম কারন সোফি হিজব পরে নি । একটা টপসের সাথে জিন্স পরেছে । আর মুখ ঢেকে রেখেছে !
সোফি বলল
-একটু কারন তো আছেই !
-ও !

আমি আর কিছু জানতে চাইলাম না ! হাটতে লাগলাম ওর পাশে পাশে । ও টুকটাক কথা বলতে লাগলো ! হাটতে হাটতে বেশ খানিকটা দুরে চলে এলাম যেখানে মানুষজন নেই বললেই চলে ! সোফি একা পাথরের উপরে বসলো ! বসার পরে সোফি বলল
-আমি কেন মুখ ঢেকে রেখেছিলাম জানেন ?
-কেন ?

এই বলে সোফি নিজের স্কার্ফ টা খুলে ফেলল ! রাতেই বেলাই মনে হয়েছিল ও বেশ সুন্দরী কিন্তু এখন দিনের আলোয় দেখে মনে হল আসলেই বেশ সুন্দর ! এই জন্য নিজের চেহারা ঢেকে রাখতে হবে ! সন্দরী মেয়েরা তো নিজের সৌন্দর্য্য এভাবে ঢেকে রাখে না !
সোফি মনে হয় আমার এরকম এক্সপ্রেশন আশা করে নাই ! খানিকটা অবাক হয়ে বলল
-আপনি এখনও ধরতে পারের নি !
-আপনি দেখতে খুব সুন্দরী ! ..... এটাই কি কারন...
এবার সোফি আসলেই বেশ অবাক হল ! তারপর হাসলো একটু ! বলল
-হ্যা ! এটাই কারন ! দাড়িয়ে কেন বসুন !

ঐদিন রাতের বেলাতেও সোফি এসে হাজির ! গান সাথে আড্ডা ! কত রকমের কথা ! আমার কেন জানি মনে হল মেয়েটা অনেক দিন পরে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে তাই নিজের মনে সব কথা বলে ফেলছে । আমি আসলে তখনই সোফিকে চিন্তে পারি নি ! চিনতে পারলাম তারপ পরের দিন !

দিনের বেলা হাটছি তখনই দেখলাম অনেক গুলো মানুষ জড় হয়ে কি যে দেখছে । আরেকটু কাছে যেতে বুঝলাম শ্যুটিং হচ্ছে ! কৌতুহল নিয়ে সামনে যেতেই আমার চোখ পড়লো সোফির উপরে ! তারপরেই বুঝলাম সোফি কেন মুখ ঢেকে এসেছিল আর আমি ওকে চিনতে পারি নি বলে ও কেনইবা অবাক হয়েছিল !

পাশের একজনের কাছে জানতে চাইলেম মেয়েটি কে ! সেই লোক আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন আমি অন্য গ্রহের মানুষ !
সন্ধ্যাবেলা সোফিকে বললাম কথা গুলো ! সোফি হাসতে লাগলো ! তারপর বলল
-ঐদিন আমারও ঠিক একই কথা মনে হয়েছিল ! কিন্ত পরে মনে হল যাক একটা মানুষ অন্তত পাওয়া গেল যে আমার সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলবে ! যে আমার উপরের দিক না বরং আমার ভেতরের আমিকে চিনে কথা বলছে !
আমি ঠিক বঝতে পারলাম না সোফি আসলে কি বলতে চাইছে !
সোফি বলল
-আসলে বিখ্যাত বাবা সন্তান হওয়াটা খুব সহজ কিছু না ! আমি চাইলেই বন্ধুদের সাথে হ্যাং আউট করতে পারি না, টংয়ের দোকানে বসে চা খেতে পারি না ! রাস্তার পাশের ফুচকা খেতে পারি না ! এমন কি স্বাভাবিক ভাবে একটা প্রেমও করতে পারি না ! আমাদের জগৎ টা বড় বেশি মেকি !

কথা গুলো বলতে বলতে সোফির গলাটা কেমন যেন বিষন্ন হয়ে উঠলো ! তারপর বলল
-আপনি যখন আমাকে চিনতে পারলেন সত্যই বেশ অবাক হয়েছিলাম ! সাথে সাথে বেশ ভালও লেগেছিল ! প্লিজ আমার সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলবেন ! অন্তত একজনের কাছে আমি বিখ্যাত কেউ হিসাবে পরিচিত হতে চাই না ! ঠিক আছে ?

ঐদিন গভীর রাত পর্যন্ত গল্প করলাম ! ও কেবল একটা অনুরোধ করলো আমি যেন সাথে সোফির সাথে কথা বলি ! মডেল কিংবা গায়িকা সোফিয়া রাহির সাথে নয় ! পরের দিন চলে এলাম ! কিন্তু যোগাযোগ বন্ধ হল না ! সোফি মাঝে মাঝেই আমার সাথে দেখা করতে আসতো ! বলাই বাহুল্য প্রতিবারই মুখে স্কার্ফ পরা থাকতো ! গাড়ি ছেড়ে ও রিক্সা করেও ঘুরতো আমার সাথে ! আমার হাত ধরে ! অদ্ভুদ একটা আনন্দ কাজ করতো ওর মনে । যদিও ওর ইচ্ছে হত মুখ খুখে তারপর ঘোরাঘুরি করতে কিন্তু সেটার কোন উপায় নেই ! মানুষ জন টের পেলে ওকে ঘিরে ধরবে !

কখন সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে গেল আমরা দুজনের কেউ ঠিক বুঝতে পারলাম না ! খুব বেশিই কাছে চলে এলাম বলতে গেলে ! সোফি আমার সাথে অনেক বেশি কথা বলতো ! সারাদিন শ্যূটিং রেকডিং শেষ করেও রাতে আমার সাথে কথা না বললে নাকি ওর ভাল লাগতো না !
গত পরশু দিন একটু ঝামেলা বেঁধে গেল ! একটা পত্রিকায় নিউজ করলো সোফির সাথে কোন পরিচাকলকের নাকি কি চলছে ! খবর টা শুনে আমার বেশ রাগ হয়ে গেল ! সাথে দুজনের যুগল ছবি ! ওকে ফোন দিয়ে বেশ কঠিন কয়েকটা কথা বললাম ! পরে অবশ্য মনে হল যে কাজ টা ঠিক হয় নাই !
সরি বলার জন্য ফোন দিলেও কাজ হল না !

এর আগেও অবশ্য ও আমার উপর রাগ করেছে । কাজের চাপে ওর সাথে দেখা না করতে পারাতে ও খুব রাগারাগি করতো ! বলতো আমি কাজের ফাকে তোমার জন্য সময় বের করতে পারলে তুমি কেন পারবে না !

তবে আই লাভ ইউ বলে একটা মেসেজেই কাজ হত ! ও ফোন ধরতো !
কিন্তু এইবার আর কোন কাজ হল না ! সন্ধ্যা বেলা কেবল একটা মেসেজ পাঠালো ও ! সেখানে লেখা তোমার যখন এতো সমস্যা, আমার ক্যারিয়ার আমি ধ্বংশ করে দেব ! তখন দেখবা !
আমি তখনও বুঝতে পারি নি ও কি বলতে চেয়েছে ! কিন্তু এই কাজটা করবে আমি বুঝতে পারি নি !

রাতের বেলাতেও কয়েকবার ফোন দিলাম কিন্তু ও ধরলো না ! শেষে সকাল বেলা ওর বাড়ির সামনে হাজির হলাম ! দেখি সেখানে বেশ কয়েক ক্যামেরা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে । সাংবাদিক ! সোফি বের হলেও ওকে চেপে ধরবে ! দারোয়ান কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না তবে আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার এই বাড়িতে এসেছি ! আমার সমস্যা হল না !

আমি বাসায় ঢুকে কলিং বেল বাজালাম ! দরজা খুলে দিলে ওর মা ! আমার দিকে তাকিয়েই তার মুখ গম্ভীর হয়ে গেল ! বলল
-তুমি আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ টা করলে ?
-কি বলছেন আন্টি ? আমি কি করেছি !
পেছন থেকে ওর বাবার কন্ঠ শুনতে লাম !
-কি করেছো তুমি জানো না ! জানো না ?
-বিশ্বাস করেন আমি কিছু করি নি !
-তোমাকে আমি পুলিশে দেব ! তুমি থাকো এখানে !

ঠিক তখনই সোফিকে বসার ঘরে আসতে দেখলাম । আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুটা সময় ! তারপর সোজা আমার কাছে এসে আমার হাত ধরলো ! তারপর ওর নিজের ঘরের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো ! যাওয়ার আগে ওর বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে শান্ত কন্ঠে বলল
-বাব, ও কিছু করে নি !
-তুই কিভাবে জানিস !
-আমি জানি ! কারন ভিডিও টা আমি আপলোড করেছি !

ওর বাবা আর মা কেবল অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো ! সোফি আর দাড়ালো না ! আমাকে এক প্রকার টেনেই ঘরের ভেতরে নিয়ে গেল !

ঘরে এসে খাটের এক পাশেবসিয়ে ও বসলো অন্যপাশে ! আমি বলল
-এই পাগলামোর মানে কি ? কেন করলে এমন টা ?
সোফি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই করেছি ! কি করবা তুমি ? মারবা ? মারো মারো !
আমি সোফির আরেও একটু কাছে গিয়ে বসলাম ! তারপর বললাম
-তুমি পাগল হয়ে গেছো !
-হ্যা ! হয়েছি ! কেন পাগল মেয়েকে বিয়ে করবে না ? তা করবে কেন ? আমি তো খারাপ মেয়ে ! আমি তো যার তার.....
কথাটা আর ওকে শেষ করতে দিলাম না ! হাত দিয়ে ওর ঠোট উপর রাখলাম ! তারপর বললাম
-চল আজকেই বিয়ে করে ফেলি !

মুহুর্তের ভেতরে সোফির গোমরা মুখ উজ্জল হয়ে গেল ! বলল
-সত্যি ?
-হুম !
-সত্যি তো !
-আরে হ্যা বাবা সত্যি ! চল !
-চল ! আজকে শাড়ি পরবো ! ঠিক আছে ?
-আচ্ছা !
-আর রিক্সা করে ঘুরবো ! কোন স্কার্ফ না !
-আচ্ছা !

ঠিক আধা ঘন্টা পরে সোফিদের বাসার সামনে রিক্সা দাড় করালাম ! সাংবাদিকেরা তখনও এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাড়িয়ে আছে ! রিক্সা ঠিক হতেই সোফি বেরিয়ে এল ! সবার সামনে আমার হাত ধরে রিক্সায় উঠলো ! সবাই বেশ খানিকটা ভরকে গেল ওকে এভাবে আসতে দেখে ! ও কখনও নিজের গাড়ি ছাড়া বের হয় না, সামনে কেউ গাড়ি ছাড়া বের হতে দেখে নি ! আজকে আমার সাথে এভাবে শাড়ি পরে বের হতে দেখে কেউ ঠিক মত চিন্তাই করতে পারি নি । রিক্সা যখন চলতে শুরু করেছে তখনও অনেকে অবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে । সোফির অবশ্য সেদিকে লক্ষ্য নেই । ও নিজের মত করে একটা দিন বের হতে পেরেছে এটাতেও ওর চোখ মুখে আনন্দ ধরছে না ! সামনের কাজী অফিস টা কোন দিকে কে জানে !!


(আগের দুইটা ছিল পরবর্তি ঘটনা সমূহ এই হল আগের ঘটনা সমূহ) ;) ;)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×