somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাপ রফিকের বোন আদিবা এবং তার সাথে আমার সম্ভাব্য প্রেমের গল্প :D

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি রাতে একেবারে খাওয়া করেই তারপর বাসায় উঠি । বারবার নামতে ভাল লাগে না ! একটু অবশ্য আগে আগে খাওয়া হয়ে যায়, যাক ! রান্না অবশ্য করা যায় কিন্তু ঝামেলা ভাল লাগে না । এর থেকে একে বারে হোটেল থেকে খেয়ে উঠাই ভাল । সাথে কিছু শুকনা খাবার নিয়ে নেই রাতে ক্ষুধা পেলে খাওয়ার জন্য ।

আজকেও খেয়ে আসছি হঠাৎই মাথার উপরে একটা কিছু পরলো । ঢাকা শহরের লোকজন খুব একটা সুবিধার না । জানলা দিয়ে ছ্যাপ, থুথু ফেলে । আর রাতের বেলা হলে তো কথাই নাই । মাথায় আগে হাত দিয়ে দেখলাম ।
না কেউ থুথু ফেলে নি ! তাহলে অন্য কিছু !

নিচে তাকিয়ে দেখি আমার পায়ের কাছে একটা চিঠির খাম পড়ে আছে । হাত দিয়ে তুলে নামটার দিকে তাকিয়েই অবাক হয়ে গেলাম । সেখানে আমার নাম লেখা রয়েছে । তাড়াতাড়ি উপরের দিকে তাকালাম । যা দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না তাই দেখলাম ! আদিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে হাসি মুখে ! হাত দিয়ে কিছু একটা ইশারা করলো ! চিঠিটা নেওয়ার জন্য বলছে বুঝতে আমার মোটেই কষ্ট হল না ।

আমার ইচ্ছে হল তখনই সেখান থেকে দৌড় দেই । হাতের খামটাও ফেলে দেই । কিন্তু ফেলে দেওয়ার উপায় নেই । সেখানে আমার নাম লেখা আছে । আমি মাথা নিচু করে আমার বাড়ির দিকে হাটা দিলাম । হাতের খামটা বারবার ছুড়ে ফেলতে চাইলেও ফেলতে পারলাম না। না জানি সামনে কি বিপদ আমার জন্য অপেক্ষা করছে কে জানে ।
এলাকায় প্রথম আসার সাথে সাথেই আমাকে বেশ ভাল করেই সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল যাতে আমি ঐ মেয়ের থেকে দুরে থাকি কিন্তু আজকে এই মেয়ে আমার দিকে খাম ছুড়ে দিল কেন ?
আর এই ইন্টারনেটের যুগে এই চিঠি কেন ?
আমি চিঠি হাতে নিয়েই গেট দিয়ে ঢুকে গেলাম । ঢুকার আগে আরেকবার ২১ নাম্বার বাড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখি আদিবা তখনও আমার দিকে তাকিয়ে আছে । অন্ধকার হলেও ওর বারান্দায় আলোতে ওর চেহারাটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ।



আমাদের এলাকায় ২১ নাম্বার বাড়িটা সবাই চেনে । আমি যেদিন প্রথম এই এলাকায় আসি সেদিনই আমাদের বাড়ির দারোয়ান আমাকে সাবধান করে দেয় যে রাস্তার মাথায় ২১ নাম্বার বাড়ির সামনে যেন ভুল করেও না দাড়াই । আমি খানিকটা কৌতুহল নিয়ে বললাম
-কেন ? সমস্যা কি ?
দারোয়ান চাচা বলল
-সমস্যা আছে । এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী চাপ রফিকের বাসা ঐ টা ।
-চাপ রফিক !
-হুম ! মানুষকে চাপাতি দিয়ে কুপায় তো তাই চাপ রফিক ! সে আবার এই এলাকার কমিশনারও ।
-আচ্ছা ।
আমার অবশ্য তখনই ধারনা ছিল না আসলে কেন তার বাড়ির সামনে কিংবা আসেপাশে দাড়ানো যাবে না । তিনি এলাকার কমিশনার তার উপরে কুখ্যাত গুন্ডা, মানুষজন তার কাছে আসবে তো দাড়ালে সমস্যা কি । অবশ্য তার কদিন পরেই আমি আসল ঘটনা জানতে পারলাম ।
ক্লাস শেষ করে বাসায় আসছিলাম তখনই দেখলাম ২১ বাড়ির সামনে জটলা । কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম । গিয়ে দেখি ১০/১২ মিলে একজন একজনকে সেই পেদানী দিচ্ছে । দারোয়ান দাড়িয়ে ছিল । সে আমাকে ডেকে নিয়ে এল । জানতে পারলাম যে এই ছেলে নাকি এখানে দাড়িয়ে চাপ রফিকের বোনের সাথে টাংকি মারার চেষ্টা করছিল । মেয়েটা নাকি তখনই তার ভাইকে বলে দিয়েছে । তারপরই এই মাইর শুরু !
আমি বুঝলাম যে কেন ঐ খানে দাড়ানোটা বিপদজনক ! তরপর থেকে আমি ভুলেও ঐ বাড়ির সামনে দাড়ানোর চেষ্টা করতাম না ! কিন্তু ঐ বাড়ির মেয়ে, মানে চাপ রফিকের বোনের সাথে আমার বেশ কয়েক বারই দেখা হয়েছে । সত্যি বলতে কি মেয়েটা কিন্তু দেখতে সুন্দর আছে । কিন্তু এই সুন্দর চেহারা দেখার জন্য আমি ওর ভাইয়ের হাতে মাইর খাইতে প্রস্তুত ছিলাম না । কিন্তু আজকে কি হইলো এইটা ।

আমি বাসায় এসে চিঠিটা খুললাম ! গোটা গোটা অক্ষরে কয়েকটা লাইন লেখা । আমার আসলে তখনই বিশ্বাস হচ্ছিলো না । পাড়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসীর বোন আমাকে প্রেম পত্র দিয়েছে । যদিও জানি না সেটা এখনও প্রেম পত্র কি না !
আমি চিঠি পড়তে শুরু করলাম !

সুমন,
তুমি এমন করে মাথা নিচু করে হাটো কেন বল তো ! আমার বান্ধবীরা এটা নিয়ে কত হাসাহাসি করে জানো ? আমাকে খোঁচা দিয়ে বলে তোর বয়ফ্রেন্ড এমন কুজো কেন রে ! এটা কোন কথা বল ? তুমি এবার থেকে সিনা টান টান করে হাটবে কেমন ! সেই সাথে আমাকে দেখে খবরদার মাথা নিচু করবে না ! ঠিক আছে ? আমার দিকে তাকাবে আমি হাসবো তুমিও উত্তরে হাসবে । মনে থাকে যেন ! আর কালকে এই চিঠির জবাব চাই !
কি চমৎকার না এই ব্যাপার টা ? চিঠি লেখা ! এই যুগে যদিও কেউ চিঠি লেখে না আমি কিন্তু লিখবো আর তোমাকেও লিখতে হবে !
বাই
আদিবা !



আমি চিঠি পড়ার পর কোন আগা মাথা বুঝলাম না ! আমি আবার কবে কুজো হয়ে হাটলাম ! আর তার থেকেও বড় প্রশ্ন আমি ঐ মেয়ের বয়ফ্রেন্ড হলাম কবে থেকে ? এই চিঠি যদি ওর ভাইয়ের হাতে পড়ে তাহলে আমাকে একে বারে আস্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে ! কি করবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না ! এলাকা ছেলে চলে যাবো নাকি ?

দুইদিন আমি ঐ দিকে গেলামই না ! বাসায়ই রান্না করে নিলাম ! কিন্তু তৃতীয় দিন আদিবাকে এড়াতে পারলাম না ! রিক্সা নিয়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলাম । রিক্সা ঠিক করে উঠতে যাবো ঠিক তখনই আদিবা পেছন থেকে আমার রিক্সায় উঠে বসলো !
তাড়াতাড়ি হুড তুলে দিলাম তবুও ভয়ে বুকের ভেতরটা ঢিপ ঢিপ করতে লাগলো । যদি কেউ দেখে ফেলে । এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে যেতে লাগলাম । এলাকা ছেড়ে যখন রিক্সা বের হল তখন একটু জানে পানি এল ! আমি কেবল আদিবাকে বললাম
-এসবের মানে কি ? তুমি কি আমাকে মার খাওয়াবে ?
আদিবা আমার দিকে তাকালো একটু হাসি দিল ! কিছু বলল না ।
সত্যি বলতে কি ভয় পেলেও আদিবার হাসিটা কিন্তু বেশ লাগলো । কেন লাগলো আমি নিজেই জানি না !

১৫ নাম্বারে আসতেই আদিবা রিক্সা থামাতে বলল । সেই সাথে আমাকেও নামতে বলল । যদিও বললাম যে আমার ক্লাস আছে সেদিকে আদিবা কোন কান দিল না ! লেক পাড়ের দিকে হাটা দিল ! আমাকে বাধ্য হয়ে রিক্সা ছেড়ে দিলাম ! তারপর ওর পেছন পেছন হাটতে লাগলাম ! দেখলাম ও একটা সিমেন্টের বেঞ্চের উপরে বসলো ! সকাল বেলা বলে বোধই এখন ভীড় অনেকটা কম ।
এক পাশে বসে বললাম
-কি চাও তুমি আমার কাছে ?
-চিঠির জবাব !
-দেখো আমি .....
-কি তুমি ? লিখতে পারো না ? হুম ?
আমি কি বলবো ঠিক বুঝলাম না !
-আসলে .....
-শুনো আমি দুই দিন অপেক্ষা করেছি আর না ! কালকে তুমি আমার চিঠির জবাব দিবে । নয়তো আমি ভাইয়াকে বলবো যে তুমি আমাকে ডিস্টার্ব করছো । ঠিক আছে ?
আমার তখনই সেদিনের ঘটনা মনে পরে গেল । আমি নিজেকে সেই ছেলেটার জায়গায় কল্পনার করতেই শিউরে উঠলাম !
কি ভয়ানক মেয়েরে বাবা !
এই মেয়ের হাত থেকে আমাক কে বাঁচাবে !
আমি বললাম
-চিঠিই কেন ? ইমেইল পাঠাই ! চিঠিতে রিস্ক আছে !
-চিঠিই চাই আমার । আর কোন কথা না। তোমার ক্লাসের দেরী হয়ে যাচ্ছে না ? তোমাকে আর আটকাবো না ! কিন্তু কাল আমার চিঠির জবাব চাই ।

বিকেলে ক্যাম্পাস থেকে আসার পথে চিন্তায় অস্থির হয়ে গেলাম কিভাবে লিখবো চিঠি । আর সেই চিঠি যদি কোন ভাবে চাপ রফিকের হাতে পড়ে তাহলে ? আমাকে স্রেফ কচু কাটা করে ছেড়ে দিবে ! এলাকায় ঢুকে আমি কেবল এই চিন্তাই করছিলাম ! কি করবো ভাবতে ভাবতে এগুচ্ছি তখনই দেখলাম চাপ রফিক আমাকে হাতের ইশারায় ডাকছে । প্রথমে মনে হল আমি না আমার পেছনের কেউ । কিন্তু একটু পরেই সেই ভুল ভাঙ্গলো । রমিজের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলো সে ! আমাকে দেখে ডাক দিয়েছে ।
কেন ?
হুয়াই মি ?
ইচ্ছে হল তখনই পেছন দিকে ঘুরে দৌড় দেই । নিশ্চয়ই আজকে আদিবাকে আমার সাথে রিক্সায় উঠতে দেখেছে । কিংবা কেউ দেখেছে ওনাকে বলেছে । আজকে আমার সত্যি সত্যিই খবর আছে ! ইয়া আল্লাহ আমাকে বাঁচাও !

আমি অনুভব করলাম যে আমার পা কাঁপছে । কাঁপা পা নিয়ে আমি আস্তে আস্তে চাপ রফিকের দিকে এগিয়ে গেলাম !
আমি আরও এগিয়ে যেতেই চাপ রফিক বলল
-কি নাম ?
আমি কিছু বলতে যাবো পেছনে দাড়িয়ে থাকা একটা চামচা মত ছোকড়া বলল
-সালাম কই ? সালাম দ্যাস না ক্যা ?
আমি তাড়াতাড়ি বললাম
-স্লামুলাইকুম !
-ঠিক আছে ! কি নাম ?
নাম বললাম
-কার বাড়ি থাকো ?
বাড়িওয়ালার নাম বললাম ।
-ভাল ! কদিন থেকে তোমাকে দেখতেছি । আমার বাড়ির সামনে প্রায়ই দেখি ।
খাইছে এইবার সেরেছে । আমি তখনও দৌড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছি । যদি মারতে আসে কোন কথা হবে না ঝেড়ে দৌড় মারবো । স্কুলে থাকলে আমি দুই দুই বার দৌড়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলাম । এখনও এক টানা দৌড়াতে পারি আপন মনে । আমি ঢোক গিলে বললাম
-আসলে আমি আপনার বাসার একটু পেছনে যে বকতিয়ার মামার হোটেল আছে না, সেখানে খাওয়া দাওয়া করি । তিন বেলা !
-কেন ? বাসায় ?
-আসলে বাসায় মানে সাবলেট থাকি তো তাই । রান্নার ঝামেলায় যাই না ।
-ও আচ্ছা ! তা কোথায় পড়া লেখা কর ?
বললাম কোথায় পড়ি । সাথে কোন বিষয়ে পড়ি সেটাও ।
-ভাল ভাল ! আচ্ছা যাও । ভাল ভাবে থাকবা । ঠিক আছে ?
-জি আচ্ছা !

আমি যখন চাপ রফিকের কাছ থেকে দুরে চলে আসলাম তখনও আমার বুকের ভেতরে কেমন জানি ধক-ধক করছিল । ঠিক মত পা ফেলতে পারছিলাম না, পা কাঁপার জন্য । বারবার মনে হচ্ছিলো আমার প্রথমে ফাঁসির আদেশ হয়েছিল ঠিক আগ মুহুর্তে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে এসেছি । জানে যখন একটু পানি আসা শুরু হয়েছে তখনই ফোন বেজে উঠলো । একটু ভয়েই যেন লাগিয়ে উঠলাম । তারপর মনে হল আমার নিজের ফোন বাজছে !
মোবাইল বের করে তাকিয়ে দেখি অপরিচিত নাম্বার । কিন্তু কেন জানি মনে হল আমি জানি কে ফোন দিয়েছে !
-হুম। হ্যালো।
যা ভেবেছিলাম তাই ! আদিবা !
-ভাইয়া কি বলল ?
-কিছু না ! আমার ব্যাপারে জনাতে চাইলো । কোথায় পড়ি, কার বাসায় থাকি ।
-ভয় পেয়েছিলে ?
-পাবো না ?
-হুম । পাওয়ারই কথা । শুনো আজকে রাতে চিঠির উত্তর লিখবে । ঠিক আছে ? আমি প্রতিদিন খুব সকালে হাটতে যাই ! তুমি তখন নিয়ে আসবা চিঠিটা ।
-মানে চিঠি লেখা লাগবেই ? মেইল পাঠালে হবে না ?
-না ! যা বলছি করবা। বেশি কথা শুনতে চাই না ।

রাতের বেলা চিঠি লিখতে বসে গেলাম । কি লিখবো না লিখবও করেও পৃষ্ঠা খানেক লিখে ফেললাম ! হাবিজাবি সব ! খামে ভরার সময় একটা চকলেটও ঢুকিয়ে দিলাম সাথে । শুনেছি মেয়েরা চকলেট বেশ পছন্দ করে । আমার ছাত্রী তো চকলেট বলতে অজ্ঞান ।

পরদিন খুব সকালেই আদিবার ফোন এসে হাজির । আমি বের হতেই দেখি ওদের বাসার সামনে দাড়িয়ে আছে । মর্নিংওয়াকের পোষাকে!
সত্যি বলতে কি আমি কিছুটা সময় চোখ সরাতে পারলাম না । টাইট ফিটিং পোষাকে ওকে আসলেই চমৎকার মানিয়েছে ।
আমার কেবল মনে হল যে এতো সকালে স্বর্গের কোন অপ্সরা আমার সামনে এসে হাজির হয়েছে । ও আস্তে আস্তে আমার দিকে হাটতে লাগলো । আমি দাড়িয়েই রইলাম । আমার যখন কাছে এসে হাজির তখন আরেকবার চারিদিকে চোখ বুলিয়ে নিল । যদিও এতো সকালে ঢাকার মানুষ ঘুম থেকে ওঠে না । ওঠার কথাও না । তবুও সাবধানের মার নেই । আমাকে ঠিক ক্রস করার সময় ওর হাত টা বাড়ালো আমি ওর হাতের ভেতরে খাম টা দিয়ে দিলাম । ও মনে হয় কেবল কাগজ আশা করেছিল । চকলেটের জন্য খামটা একটু মোটা মোটা লাগছে । সেটা ধরে আমার দিকে একটু অর্থপূর্ণ চোখে তাকালো !
আমি কেবল হাসলাম ! ও নিজেও হাসলো ।

আর দাড়ালো না সে ! দৌড় শুরু করলো ! আমি যতদুর সম্ভব চোখ যায় ওকে দেখতে লাগলাম ! খুব ইচ্ছে করছিল আদিবার পেছন পেছন যাই কিংবা ওর সাথেই জগিং করি কিন্তু চাপ রফিক ! মাফ চাই গুরু !
আবার গেটের ভেরতে ঢুকে গেলাম । এরপর থেকেই আদিবাকে প্রায়ই চিঠি লিখতে হত । চিঠি লেখা তো ব্যাপার না কিন্তু ঝামেলা হচ্ছে ওর হাতে দেওয়া । ভয়-ভয় করতো । তবে আস্তে আস্তে সে ভয় কমে এল ।

আস্তে আস্তে ওর আর আমার প্রেম জমে উঠলো । আমরা ফোনে কথা বলতাম ! সকালে এবং মাঝে মাঝে বাইরে দেখা করতাম । বলা চলে খারাপ যাচ্ছিলো না দিন গুলো । তবে ভয়টা যে একেবারে ছিল সেটা না । ছিল তবে কম ।
একদিন এমনই কমে এল যে সন্ধ্যাবেলা ওকে বললাম
-তোমাকে কেন জানি খুব দেখতে ইচ্ছে করছে ।
আদিবা বলল
-বাহ ! খুব সাহস হয়ে গেছে দেখছি ! ভাইয়া বাসায় আছে । আসবে বাসার সামনে ? আসো ? আসবা ?
-থাক ! দেখা করতে হবে না ! এতো জলদি মরার শখ নেই আমার ।

আমি ভেবেছিলাম সকালে ছাড়া আর হয়তো দেখা হবে না । আমাদের দুজনের দেখা কেবল ঐ সকাল বেলাতেই হত । মাঝে মাঝে অবশ্য আমরা অন্য খানে দেখা করতাম কিন্তু সেখানে একটু ভয় লাগলো । বলা তো যায় না কোথায় কোন পরিচিত মানুষের চোখে পড়ে যাই । সে তুলনায় সকালটা ছিল বেশ নিরাপদ । তখন মানুষজন ঘুম থেকে উঠতোই না ।
কিন্তু ঐ দিন রাত ১০ টার দিকে আদিবার ফোন এসে হাজির ।
-কি হল ?
-আমাদের বাসায় এস ।
আমার প্রথমে মনে হল যেন আমি একটু ভুল শুনলাম ! আদিবা বলল
-কি হল শুনতে পাও নাই ?
-তোমার মাথা ঠিক আছে তো ? তোমাদের বাসায় যাবো মানে ?
-মানে হচ্ছে ভাইয়া এইমাত্র বের হল । আসতে দেরি আছে । এদিকে মায়ের মাথা ধরেছে অনেকক্ষন ধরে শুয়ে আছে । তুমি চট করে চলে এস ! আমার ঘরে ঢুকে পরবে !
-তারপর ?
-এতো প্রশ্ন করে কেন ? তখনই তো দেখতে চাইলে এখন আবার এতো প্রশ্ন করছো কেন ? জলদি এস !

বারবার মনে হচ্ছে যাওয়া মোটেই ঠিক হবে না । মনকে বারবার সাবধান করছিলাম এই বলে যে বাবা সুমন, এক পলকের একটু দেখার জন্য নিজের জীবনকে বিপন্ন করার কোন মানে হয় না ! কিন্তু মন কি আর মাথার কথা শোনে । আর আগেই বলেছিলাম যে আগের মত আর ভয়টা কাজ করছে না । কিন্তু করা উচিৎ ছিল !
আমি ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলাম ওদের বাসার দিকে । বাসার সামনে দাড়িয়ে একটুও তাকালাম এদিক ওদিক । কাউকে দেখা যাচ্ছে না । চট করে ঢুকে পড়লাম গেট দিয়ে । কমিশনার বাড়ি বলে চাপ রফিক দারোয়ানও রাখে নি ! এতো গুলো চ্যালা-প্যালা থাকতে টাকা খচর করে কে রাখে দারোয়ান ।

আমি আস্তে করে দুই তলায়ঔঠে গেলাম ! দরজা খোলাই ছিল । ভেতরে ঢুকে দেখি আদিবা টিভি দেখছে । আসলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি ঢুকতেই আমাকে নিয়ে গেল ওর রুমে ! দরজা আটকে দিল না । একটু খোলা রাখলো ।
আমি ওকে দেখলাম কিছুক্ষন ! কি হলে চট করেই ওর ঠোটে চুমু খেলাম । ও হয়তো এতোটা আশা করে নি তবে আপত্তি করলো না ! এতো রিস্ক নিয়ে এলাম একটা চুূমুতো খেতেই পারি । তবে বারবার মনে হচ্ছিলো যে এখান থেকে বের হওয়া দরকার যত দ্রুত সম্ভব । যত দেরি করবো তত আমি ঝামেলায় পড়বো ।
আমি বললাম
-আচ্ছা এবার আমার যাওয়া দরকার । ঠিক আছে ?
-আচ্ছা
আমি ওকে নিয়ে যেই না পা বাড়াবো তখনই কলিং বেল বেজে উঠলো । বাইরে অনেক গুলো মানুষের আওয়াজও শুনতে পেলাম । বুঝতে মোটেই অসুবিধা হল না যে চাপ রফিক এসে পরেছে । এতো জলদি তো আসার কথা ছিল না । তাহলে এল কেন ?
এখন উপায় !
আদিবার দিকে তাকিয়ে দেখি ও নিজেও খানিকটা চিন্তিত মুখে আমার দিকে তাকালো !
এখন উপায় ....


আমার কেবল মনে হল আজকেই মনে হয় আমার জীবনের শেষ দিন । যদি চাপ রফিক কোন ভাবে আমাকে এখানে আবিষ্কার করে তাহলে কোন কিছু জানতে চাইবে না কোন ব্যাখ্যা শুনতে চাইবে না । তার চাপাতি দিয়ে সোজাসুজি আমাকে কুপিয়েই শেষ করে দিবে । আমার অবস্থা তখন আসলেই খারাপ হয়ে গেছে । আদিবা আমাকে নিয়ে ওর বাধরুমে চলে গেল । বলল
-এখানে চুপ করে বসে থাকো ! মোবাইল সাইলেন্ট কর ! ঠিক আছে ? আর কোন চিন্তা কর না ! আমি আছি না ?
যদিও বলল যে আমি আছি না, তবে আমি ঠিক ভরশা করতে পারলাম না । যদি চাপ রফিক আমাকে এখানে দেখে ফেলে তাহলে কোন থাকাতেই কোন কাজ হবে না !
আদিবা বলল
-ভাইয়া আমার ঘরে আসে না । আর আমি আসলেও সেটা ঠেকাবো !
আমাকে বাধরুমে রেখেই দেখলাম আদিবা চলে গেল । লাইট জ্বালালাম না ! অন্ধকারে মোবাইল টিপতে লাগলাম । বারবার কেবল মনে হচ্ছিলো যে আজকে আসলেই আমার শেষ দিন । কখন যে এখান থেকে বের হব কে জানে । আদৌও এখান থেকে বের পারবো তো ?


-এই দাড়া ! কই যাস !
তাকিয়ে দেখি চাপ রফিক আমার পেছনে আস্ত রাম দা নিয়ে তেড়ে আসছে । আমি দৌড়াতে চাচ্ছি কিন্তু কোন ভাবেই দরজা খুলতে পারছি না ! এদিকে আমার কাছ থেকে আরও কাছে চলে আসছে সে । যখন কোপ মারবে তখনই ঘুম ভেঙ্গে গেল । বসে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুম চলে এসেছিল বুঝতে পারি নি ।

ঘুম ভাঙ্গায় আদিবার আওয়াজ শুনতে পেলাম । ও মৃদু স্বরে ডাকছে আমাকে । আমি দরজা খুলে বের হতেই ও আমাকে কথা বলতে মানা করলো ! তারপর ফিস ফিস করে বলল
-আজ রাতে বের হতে পারবে না !
-কি ? তাহলে ?
-মানে আজ রাতে না । ভাইয়া মনে হয় বাসার সামনেই থাকবে । তাই তো বলল ! রাত পর্যন্ত নাকি কাজ আছে কি । পুরো এলাকায় সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে ।
-এখন উপায় ?
-রাত টা এখানে থাকো । সকাল বেলা খুব ভোরে সবাই ঘুমিয়ে থাকবে তখন চলে যাবা ।
-যদি না ঘুমায় ?
-আরে বাবা, ভয় পাচ্ছো কেন ? জানো না ঢাকা শহরের মানুষ সকাল বেলা কি রকম ভাবে ঘুমায় ?
তা অবশ্য ঠিক । যত রাতই জেগে থাকুক না কেন সবাই ভোর হলেই ঘুমিয়ে পরে ।
কোথায় ঘুমাবো ?
এই প্রশ্নের জবাবে আদিবা কিছু বলল না ! চোখের ইশারায় বিছানা টা দেখালো ! আমি আবারও একটু ঢোক গিলে বললাম
-তুমি ?
-বাইরে যাবো ঘুমাতে ? আমার ঘর আমিও এখানে ঘুমাবো ।
-এক সাথে শুবো ?
-কেন তুমি গোসল কর নাই ? সমস্যা আছে ?
এবার আমি আসলেই ভড়কে গেলাম । আদিবাকে জড়িয়ে ঘুমাবো ভাবতেই বুকের ভেতরে তোলপাড় শুরু হল । বাইরে যে ওর ভাই চাপাতি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে সেটা আমার মনে রইলো না ! আমি ওর দিক থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না ! এরকম ভাবে সব কিছু হয়ে যাবে আমি কোন ভাবেই ভাবতে পারি নি ।
দুরু দুরু বুকে নিয়ে আসলেই ওর পাশে শুয়ে পড়লাম ! ওর আমার বুকের কাছে সরে এল । এতো কাছে ওকে এর আগে অনুভুত করি নি । ওর চুল গুলো আস্তে নাড়তে লাগলাম । আদিবা যেন আমার বুকের ভেতরে আরও সরে আস্তে লাগলো । আমি ওর শরীরের উজ্ঞতা খুব ভাল ভাবেই টের পাচ্ছিলাম । -------------

যখন ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো তাকিয়ে দেখি আদিবা আমার সাথে লেপ্টে শুয়ে আছে । একে বারে সাপের মত জড়িয়ে আছে আমাকে । আমি ওকে ডাকতেই ও উঠে পরলো ! নিজেকে গুছিয়ে নিলো চট করেই । আমার দিকে আই কন্ট্যাক্ট করলো না প্রথমে । আমার যেমন ওর দিকে তাকাতে অস্বস্তি লাগছিল ওরও নিশ্চয়ই তেমনই মনে হচ্ছিলো !

আমাকে রেখে আগে ও বাইরে বের হল । সব দেখে তারপর আমাকে ডাক দিলো ! যদিও ভয় পাচ্ছিলাম তবে নিরাপদেই বেরিয়ে গেলাম । ওর আমার গেট পর্যন্ত এল । যখন আমি গেট দিয়ে ঢুকতে যাবো দেখি ও আমাকে এসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো ! বেশ শক্ত করেই ! বলল
-আই লাভ ইউ !
-আই লাভ ইউ টু !
-আমাকে ছেড়ে যাবে না তো কোন দিন ?
-উপায় আছে আমার ? তোমার ভাই আছে না ?
আদিবা এবার আমার চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো গভীর চোখে কিছুক্ষন ! তারপর বলল
-কেবল কি আমার ভাইয়ের জন্য ?
আমি হাসলাম । তারপর বেশ সাহস নিয়েই ওর ঠোটে একটা ছোট চুমু খেয়ে বললাম
-নাহ । তোমার ভাইয়ের জন্য না । চাইলেও তোমাকে ছেড়ে আমি থাকতে পারবো না । তোমার ভাই যদি জেনেও যায় তবুও না । বুঝেছো ?
-আই নো । আমাকে ছেড়ে অন্য কারো দিকে গেলে দেখো কি করি ।
আর কথা হল না । আজকে আদিবা অবশ্য আর জগিং করতে গেল না । বাসার দিকেই হাটা দিল ।


এর পর থেকে ওর সাথে সম্পর্ক টা আরও গভীর হয়ে গেল । বলা চলে প্রায়ই প্রতিদিনই ওকে চিঠি লিখলাম । ও নিজেও লিখতো । দেখা হত । সকালে ওর সাথেই হাটতাম । দিন গুলো খারাপ যাচ্ছিলো না ।
কিন্তু কপালে কেন লম্বা সময় ধরে সুখ সহ্য হবে । একদিন ওর ভাইয়ের কাছে সত্যিই ধরা পরে গেলাম । যদিও আমি তখনও কিছু জানি না । ক্যাম্পাস থেকে আসছি তখনই কয়েক জন আমাকে ঘিরে ধরলো । আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার কলার চেপে ধরে নিয়ে গেল চাপ রফিকের বাসার দিকে । আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ! আর বেশি বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলাম না কারন এরা সবাই মিলে তাহলে রাস্তার উপরেই আমার প্যাদানী দেওয়া শুরু করবে ।

ওদের বাসার নীচ তলায় একটা রুমে নিয়ে গেল আমাকে । তারপর চারিদিক থেকে ঘিরে ধরলো । সেদিনের সেই চামচা মত ছোকড়া যে কিনা আমাকে সালাম দেওয়ার কথা বলেছিলো আমাকে পেছন থেকে আমার মাথায় একটা থাপ্পড় মারলো ! তারপর বলল
-বাঞ্চুদের সাহস দেখছোস ? ভাইয়ের বোইনের দিকে চোখ দেয় ! আজকা তোর খবর আছে । ভাই আইতাছে । সেই তোর খবর করবে ।
আমার আসলেই আজকে খবর আছে । আরেকটা চড় খেতে যাবো তখনই দরজার ধাক্কা পরলো । বুঝলাম যে চাপ রফিক চলে এসেছে । এবারই আমার দিন শেষ । আচ্ছা প্রথম কোপটা কোন জায়গায় মারবে । এখান দিয়ে যে দৌড় মারবো সেটার উপায়ও নেই। কি হবে তাহলে ?
মায়ের মুখটা মনে পড়লো !
আদিবাকে কেন জানি খুব দেখতে ইচ্ছে হল ! দরজা খুলে আমি চাপ রফিক কে দেখার জন্য অপেক্ষা করছি । মনে মনে কল্পনা করার চেষ্টা করছি কিন্তু আমাকে এবং রুমের আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে দরজা ঠেলে আদিবাকে দেখতে পেলাম ! ঘরটা একটু অন্ধকার ছিল কিন্তু দরজার কাছের আলোতে আদিবার চেহারাটাতে আমি স্পষ্ট রাগ দেখতে পারছিলাম । সোজা আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার হাত ধরলো ।
-তোমার গায়ে এরা হাত দিয়েছে ?

এতো দিন আদিবার যে কন্ঠ স্বর শুনে আসছিলাম সেটার সাথে এই কন্ঠের কোন মিলই খুজে পাচ্ছিলাম না ! মনে হচ্ছিল ওর কন্ঠ দিয়েই সামনের সবাই কে ধ্বংশ করে দিবে ! আমি কিছু বললাম না । কেবল যে আমার মাথায় থাপ্পর মেরেছিল তার দিকে তাকালাম ।
আদিবার বুঝতে কষ্ট হল না । ও চোখ দুটো দেখলাম যেন জ্বলে উঠলো ! আমর হাত ছেড়ে দিল । ওর চোখের তাকিয়ে দেখি ওর চোখ কি যেন খুজছে । পেয়েও গেল মনে হল । নিচে একটা এক লিটারের টিনের বোয়াম ছিল । সেটা তুলে নিল ছোঁ মেরে । আমরা সবাই কিছু বোঝার আগেই সজোরে সেটা ঐ চামচা গোছের ছেলের মাথা বরাবর মারলো !
-এত্তো বড় সাহস তোর ? তুই কার গায়ে হাত দিয়েছিস !!

সত্যি বলতে কি আদিবার এই রাগান্বিত কন্ঠ শুনে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম ! এই মেয়ের মধ্যে এতো রাগ কোথায় ছিল !
সামনের ঐ ছেলে ততক্ষনে মাটিতে পরে গেছে । আর যারা ছিল সবাই একটু পিছিয়ে গেল ! আদিবা আবারও টিনের বোয়াম তুলে নিয়েছে মারার জন্য ! কিন্তু মারার আগেই আমি ওকে আটকালাম !
-আরে কি করছো ?
-ছাড়ো আমাকে ! ছাড়ো বলছি ! ওর এত্তো বড় সাহস ও তোমার গায়ে হাত দিয়েছে । আমি ওকে খুন .....
-প্লিজ থামো ! আমার কিছু হয় নি !
ওর হাত থেকে যখন টিনের বোয়ামটা কেড়ে নিলাম তখনও ও রাগে ফুসছে । আমি বললাম
-শান্ত হও ! আমি ঠিক আছি !

ঠিক তখনই দরজায় সামনে আরেকটা ছায়া দেখতে পেলাম !
চাপ রফিক !
খানিকটা অবাক হয়ে আমার আর আদিবার দিকে তাকিয়ে আছে । তারপর মাটিতে পরে থাকা চ্যালার দিকে তাকালো ! আমার কেন এবার চাপ রফিক কে খুব বেশি ভয় লাগলো না ! আদিবা ওর ভাইয়ের সামনেই আমার হাত ধরলো ! তারপর ওর ভাইয়ের দিকে তকািয়ে রইলো কিছু সময় !
-তুমি বলে একে ধরে আনতে বলেছো ?
এই প্রথম বার আমি চাপ রফিকের চোখে দ্বিধা দেখতে পেলাম ! চাপ রফিক বলল
-না মানে ..... আমি ভাবলাম যে
-কি ভাবলে তুমি ? আমার কাছে শুনেছো একবার ?
-না !
-শুনো ভাইয়া সুমনের যদি সত্যি কিছু হয় তাহলে তুমি জানো আমি কি করতে পারি !
দেখলাম আসলেও ওনার চেহারাটা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেল ! তাড়াতাড়ি বলল
-না না ! কিছু হবে না ! আমি দেখবো ! তুই যা ! ওকে নিয়ে যা !
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-সুমন তুমি কিছু মনে কর না ! ঠিক আছে ? ছেলেরা ঠিক বুঝতে পারে নি ।
আদিবাকে নিয়ে যখন রুম থেকে বের হয়ে এলাম তখনও আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না ! চাপ রফিকও বা আদিবাকে দেখে এমন ফ্যাঁকাশে হয়ে গেল কেন ?

আমি বাইরে যেতে চাইলে আদিবা আমাকে যেতে দিলো না ! জোর করে ওদের বাসায় নিয়ে গেল । আগের বার ভয়ে ভয়ে লুকিয়ে এসেছিলাম এবার সবার সামনে এলাম ! আদিবা ওর মায়ের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিল ! নাস্তা খেয়ে যখন বের হলাম তখনও মনের ভেতরে একটা প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছিলো ! চাপ রফিক আদিবাকে কেন ভয় পায় ! আদিবা কি করতে পারে ?

থাক ! নিশ্চয় কোন কারন আছে । থাকুক সেটা পরে কোন সময় জানা যাবে ! বাইরে বের হয়েই দেখলাম সেই ছোকড়া গুলো দাড়িয়ে আছে । তবে আগের সেই দৃষ্টি নেই ওদের চোখে । সেখানে কেবল একটা সমীহের দৃষ্টি ! আমি কেবল হাসলাম !


পুরো একালা যাকে দেখে ভয় পায়, সে ভয় পায় তার বোন কে ! আর আমি সেই মেয়েটার জান-প্রান বলা চলে ! আমার জন্য মেয়েটা কি না করলো !
মাই গড !


এলাকার ডন মনে হতে লাগলো নিজেকে !
মুহাআআআআআ !!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×