মায়ের কথা শুনে ঠিক যেন বিশ্বাস হল না আমার প্রথমে । আরেকবার জিজ্ঞেস করলাম তাকে কথাটা, দেখা করতে চেয়েছে?
মা যেন খানিকটা বিরক্ত হল । তারপর বলল, তোকে আমি মিথ্যা কথা বলছি নাকি? যা যা, জলদি তৈরি হয়ে নে। পাঁচটার সময়ে আসবে ছেলেটা ।
আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম । সাড়ে তিনটার কিছু বেশি বাজে । দুপুরে খেয়ে একটু শুয়েছিলাম । কখন ঘুম চলে এসেছে টের পাই নি । ঘুম ভাঙ্গলো মায়ের ডাকে । শুনে অবাক হলাম যে রাফাত সাহেব আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছে ।
গতদিনই তো তাকে ফোনে সব কথা আমি খুলে বলেছি। তারপরেও আবার কি কথা বলবে সে?
তৈরি হয়ে নির্দিষ্ট রেস্টুরেন্টে পৌঁছাতে পৌঁছাতে পাঁচটার কিছু বেশি বেজে গেল । মা আমাকে আগেই রাফাতের ছবি দেখিয়েছিলো । তাকে খুঁজে পেতে কষ্ট হল না । আকাশী রংয়ের একটা শার্ট পরে এসেছে । চুলগুলো একটু এলোমেলো করা । চোখ চশমা । রোগা পাতলা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ কি যেন মনে হল আমার !
কেন মনে হল আমার জানা নেই ।
আমি সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই আমার দিকে চোখ তুলে তাকালো । চশমার ফাঁক দিয়ে গভীর কালো চোখে আমার দিকে কিছু সময় তাকিয়েই রইলো সে । আমাকে যেমন তার ছবি দেখানো হয়েছে, নিশ্চয়ই তাকেও আমার ছবি দেখানো হয়েছে । সে আমাকে সম্ভবত মেলানোর চেষ্টা করছে । আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো সে । একটু মৃদু হাসি । দাঁত বের হল না তবে চোখ হেসে উঠলো । আমার তখনই আবার সেই অনুভূতিটা হল ।
আমার দিকে তাকিয়েই রাফাত খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বলল, আপনি দেখি ছবির থেকেও বেশি সুন্দর !
আমি কিছু বললাম না । একটু হাসলাম কেবল । সামনের চেয়ারে বসতে বসতে বললাম, অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখেছি কি?
-না । খুব বেশি সময় না । বলুন কি খাবেন?
-তেমন কিছু না । কফি !
-গ্রেইট । আমিও কফি পছন্দ করি বেশ ।
কফির অর্ডার দিয়েই আমরা কিছু সময় নিশ্চুপ হয়ে রইলাম । কি বলবো খুঁজে পেলাম না । আসলে আমি এখনও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না যে সব কিছু জানার পরেও রাফাত আমার সাথে দেখা করতে এসেছে । কেন এসেছে?
আমি যতদূর খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ছেলেটা বেশ কিছুদিন বাইরে ছিল । পড়াশুনা করেছে আমেরিকাতেই । সেখানে কিছু সময় চাকরি করেছে । তারপর হঠাৎ করেই দেশে ফিরে এসেছে । এখানেও একটা ভাল চাকরি করে । রাফাত পাত্র হিসাবে একেবারে ফার্স্ট ক্লাস । দেখতে শুনতেও চমৎকার। সবাই এমন ছেলে পেলে লুফে নেবে । তার সামনে অনেকগুলো অপশন । কিন্তু সে আমার মত একজনকে কেন বিয়ে করতে চাইবে? এর ভেতরে কি কারণ ? যদি আমি আমার ঐ কারণটা তাকে নাও বলতাম তবুও আমার আগে একটা বিয়ে হয়েছিলো । এই ছেলে তো প্রথমেই আমাকে বাতিল করে দেওয়ার কথা !
রাফাত টুকটাক অনেক কথা জানতে চাইল। আমিও জানতে চাইলাম তার ব্যাপারে । এক সময়ে রাফাত বলল, প্রথম বিয়ের অভিজ্ঞতা ভাল না হওয়ার কারণে অনেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায় না । আপনিও তাদের দলে? ফ্যামিলির চাপে বিয়ে করতে হচ্ছে ?
আমি বললাম, আসলে আমাদের সমাজে একটা মেয়ে স্বামী ছাড়া থাকবে এটাকে ঠিক ভাল চোখে দেখা হয় না । একা একা টিকে থাকা কষ্টের । এখন বাবা মা আছে বলে হয়তো কোন সমস্যা হচ্ছে না । কিন্তু আরও কয়েক বছর পরে কথা উঠবে । বাবা মা না থাকলে আরও প্রকটভাবে দেখা দিবে সেই সমস্যা । এই জন্য বাবা মা উঠে পড়ে লেগেছে ।
-তাদের দোষ দেওয়া যায় না । কিন্তু আপনি যেভাবে নিজের ব্যাপারে সব বলে দেন তাহলে তো ...
আমি বললাম, মিথ্যা দিয়ে সংসার শুরু করে কি লাভ ! এটার কারণেই আমার প্রথম সংসারটা ভেঙ্গেছে । আমার প্রথম স্বামী যখন জানতে পারলো যে আমি সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম না, হঠাৎ করেই তার সব ভালোবাসা কেমন করে উবে গেল। চোখের নিমিষে । ওই চোখ আমি কোনদিন ভুলবো না । আসলে তার দিক দিয়ে ভাবলে তাকে দোষও দিতে পারি না । একটা বাজা মেয়েকে কে ঘরে রাখবে !!
-ছিঃ! এই শব্দটা ব্যবহার করবেন না । আর কখনই না !
রাফাতের কন্ঠের উত্তাপ দেখে আমি খানিকটা অবাক হয়ে গেলাম । কি বলবো খুঁজে পেলাম না । রাফাত বলল, সবার মাঝে কিছু না কিছু অপূর্নতা থাকে । যেমন আমি রেগে গেলে আমার মুখ দিয়ে কথাই বের হয় না। এই দেখেন চশমা ছাড়া কিছুই পরিস্কার দেখি না । দয়া করে আর কখনও নিজেকে ছোট করে দেখবেন না । কখনই না ।
কেন জানি কথাটা শুনে খুব বেশি ভাল লাগলো । অনেকদিন পর এই প্রথম মনে হল যে অন্তত একজন মানুষ পেলাম যে আমাকে ছোট করে দেখছে না । আমার ব্যাপারটা জানার পর পরিচিত সবার আচরণ একদম বদলে গেছে । সবাই কেমন একটা করুণার চোখে আমার দিকে তাকায় । আমার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি, সবাই । অসহ্য লাগে সবকিছু । ডিভোর্সের পর মানুষের সাথে মেশা একদম বন্ধ করে দিয়েছি । আগে যত মানুষের সাথে ওঠাবসা ছিল সেগুলো পরিবর্তন করে ফেলেছি । এখন নতুন কিছু বন্ধুবান্ধব হয়েছে যাদের কেউ আমার এই ব্যাপারটা জানে না । হয়তো যেদিন জানবে সেদিন আবার আমাকে করুণা করা শুরু করবে । এটাই আমার পছন্দ না একদম ।
মন ভাল ভাব নিয়ে আমি বাসায় ফিরে এলাম । মা আগ্রহ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । কি কি হয়েছে সব জানতে চাইলো । মায়ের চিন্তিত হওয়ার কারণ আমি টের পাই । তাকে দোষ দিতে পারি না । কিন্তু আমার হাতে তো আর কিছু নেই । বিয়েতে আমার হ্যা বা না কিছুই নেই । আমার অবস্থাই এমন। ওপাশ থেকে যদি রাজি হয় তবেই সবকিছু ঠিক হবে ।
মায়ের সকল দুঃচিন্তা দূর করে রাত দশটার দিকে রাফাতদের বাসা থেকে ফোন এল । রাফাত বিয়েতে খুব বেশি আগ্রহী । এবং সেটা দ্রুত । অনুষ্ঠান পরে করলেও চলবে কিন্তু তারা চায় যত দ্রুত সম্ভব বিয়েটা হয়ে যাক !
আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম তবে মায়ের আনন্দ দেখে আর কিছু বললাম না । মনের ভেতরে একটা প্রশ্ন রয়েই গেল । বারবার মনে হতে লাগলো যে এর ভেতরে কি অন্য কোন কারণ আছে । রাফাত যেন একটু বেশি তাড়াহুড়া করছে আমার সাথে । এতো তাড়াহুড়ার কারণ কি?
পরের দিনই রাফাত তার বাবা মাকে নিয়ে হাজির হল আমাদের বাসায় । ওর বাবা মাও আমাকে পছন্দ করলো । আংটি পরিয়ে দিলো । সাথে বিয়ের তারিখও ঠিক করে গেল । নিজের চেহারা নিয়ে আমার একটা ধারণা আছে । বিশ্ব সু্ন্দরী না হলেও আমাকে অপছন্দ করবে না কেউ । এটা আমি জানি । আমার পড়াশুনাও বেশ ভাল । চাকরি না পেলেও খুব জলদি আমি চাকরিতে ঢুকে যাবো । যে কোনদিন জয়েনিংয়ের জন্য ডাক চলে আসবে । আগে যে চাকরিটা করতাম সেটা বিয়ের পর ছেড়ে দিয়েছিলাম । ডিভোর্সের পর আবার নতুন করে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য । কিন্তু আমার সব কিছু এক স্থানে এসেই আটকে যেত । এর আগে আমার বাবা আরও কয়েকটা ছেলে খুঁজে নিয়ে এসেছিলো । প্রথম দেখাতে সবাই-ই আমাকে পছন্দ করেছিলো তবে আমি যখনই সত্যটা তাদের বলতাম, তখনই সবাই পিছিয়ে যেত । একমাত্র রাফাতকে সত্যটা বলার পরেও সে পিছিয়ে তো যায়ই নি, বরং আরও বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে ।
বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছে সামনের সপ্তাহে । আপাতত কোন অনুষ্ঠান হবে না । কেবল বিয়ে । সামনের মাসে কিংবা তারপরে কখনও একটা সময়ে অনুষ্ঠান হবে । আমার মনের ভেতরে সেই সংকোচ কিংবা অস্বস্তিটা কাজ করেই গেল । রাফাত এতো তাড়াহুড়া করছে কেন! সেই সত্য আমি জানতে পারলাম আরও দুইদিন পরে । রাফাত নিজ থেকেই আমাকে বলল ।
সেদিনের মতই আমরা একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করলাম । ও আমার মুখোমুখি না বসে কেন জানি আমার পাশে বসলো । তারপর আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে আমার হাত ধরলো । তারপর বলল, তুমি খুব অবাক হচ্ছো তাই না?
আমি বললাম,কিছুটা তো হচ্ছিই । আমার কেবল মনে হচ্ছে আমি যেন তোমার আগের জনমে হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা। আমাকে খুঁজে পেয়েছো তুমি !
রাফাত হাসলো । তারপর বলল, অনেকটা ধরে নাও তাই ।
-এতো তাড়াহুড়ার কারণ কি বলা যাবে?
-হ্যা । সেটা বলার জন্যই আজকে ডেকেছি । সবটা শোনার পরে যদি তুমি চাও এই বিয়ে তুমি করবে না তাহলে নির্দ্বিধায় বলবে । আমি বিয়ে ভেঙ্গে দিবো । ঠিক আছে!
একটু যেন ভয় হল । কি না কি শুনি কে জানে !
রাফাত বলতে শুরু করলো, আমি যখন আমেরিকাতে ছিলাম তখন এলা নামের একটা মেয়ের সাথে আমার ভাব হয় । এলা জাতে ইন্ডিয়ান আমেরিকান । ওর বাবা আমেরিকান আর মা ইন্ডিয়ান । দেখতে অনেকটাই আমাদের মত তবে চোখ ছিল নীল । সেই নীল চোখের প্রেমে পড়েছিলাম । আমাদের প্রেম গভীর হয়ে ওঠে । একসময়ে সেটা এতোই তীব্র হয় যে আমরা একসাথে থাকা শুরু করি । তারপর যা হওয়ার হয় । এলা প্রেগনেন্ট হয়ে পড়ে । আমরা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নেই যে বাচ্চাটা আমরা রাখব। সবার কাছ থেকে লুকিয়ে আমরা বিয়েও করে ফেলি । আস্তে আস্তে এলার ভেতরে আমাদের বেবি বড় হতে থাকে ।
রাফাত কিছু সময় থামলো । আমি ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম । ওর চোখে একটা আশ্চর্য বেদনা দেখতে পাচ্ছি আমি । রাফাত আবার বলতে শুরু করলো, পুরো নয়টা মাস আমি ওর কাছেই ছিলাম । আমি ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি । কি তীব্র কষ্ট পাচ্ছে ও । ওর শরীর সম্ভবত এটা নিতে পারছিলো না, মানিয়ে নিতে পারছিলো না । ডাক্তারও তাই বলল আমাদের । শরীর ফুলে যাওয়া, পানি বেড়ে যাওয়া । ও ঠিক মত হাটতে পারে না, কিছু খেতে পারে না । এতো দীর্ঘ সময় ও কষ্ট পাচ্ছে । আমি কিছু করতে পারছি না ।
-তারপর?
-ডেলিভারির সময় এলা আর আমাদের মেয়ে দুইজনই মারা যায় !
আমি কি বলবো খুঁজে পেলাম না । তাকিয়ে দেখি রাফাতের চোখে পানি । রাফাত সেটা মোছার চেষ্টা করলো না । রাফাত বলল, আমার বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না । তবে একটা সময় মনে হল একা জীবন হয়তো পার করা সম্ভব না । সঙ্গী দরকার কিন্তু তখনই মনে হল আবার বিয়ে করবো, আবারও কাউকে ভালোবাসবো তারপর বাচ্চা হওয়ার সময় যদি কিছু হয়ে যায় । যদি আবার....
আমি এবার কারণটা বুঝতে পারলাম। আমার কাছে অনেকটাই ব্যাপারটা পরিস্কার হল । রাফাত এবার আমার দিকে তাকালো, ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট পেতে দেখলে, হারিয়ে ফেললে যে কষ্ট হয় সেটা আমি আর পেতে চাই না ।
তারপর আমার হাতটা আরেকটু ভাল করে ধরলো । তারপর বলল, অনু আমি বলছি না যে আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি । তবে একদিন খুব ভালবাসবো এটা নিশ্চিত । দুনিয়ার সবকিছু থেকে তোমাকে বেশি গুরুত্ব দিবো। তাই তোমাকে কষ্ট পেতে দেখতে পারবো না আমি ।
আমি কি বলবো সত্যিই বুঝতে পারলাম না । আমার ঐ অক্ষমতার কারণে যেখানে আমাকে মানুষজন বারবার করুণার পাত্র হিসাবে দেখছিলো, এই ছেলেটা সেটার জন্যই আমাকে বিয়ে করতে চাইছে । কি অদ্ভুত এই মানুষটা !
আমার এতোদিন উপরওয়ালার প্রতি খুব রাগ ছিল । বারবার মনে হত কেন আমার সাথেই এমনটা হল? আমাকেই কেন এই জিনিসটা সহ্য করতে হল? কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে যে রাফাতের জন্যই আমাকে এভাবে পাঠানো হয়েছে ।
পরিশিষ্টঃ
বাবুটার বয়স মাত্র এক বছর । শান্ত চোখে আমার কোলে বসে আছে । এইটুকু বয়সেই মাথায় ঘন কালো চুল । আমি ওর ছোট ছোট হাত ধরে আদর করে দিচ্ছি বারবার । মনের ভেতরে যে কি আনন্দ লাগছে কোনভাবেই বুঝাতে পারবো না । আজকে এই বাবুটা আমাদের ছেলে হিসাবে বড় হবে । আমাকে মা বলে ডাকবে ।
রাফাত গাড়ি চালাতে চালাতে বলল, কি ভাবছো এতো?
আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম । তারপর বললাম, থ্যাংঙ্কিউ ফর এভ্রিথিং।
রাফাত বলল, আমি কি করলাম? বরং তোমাকে ধন্যবাদ আমার জীবনের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য !
পরের সপ্তাহেই আমাদের বিয়ে হয়ে যায় । প্রথমে একটু ভয় যে আমার ছিল না সেটা আমি বলবো না । বারবার মনে হত হয়তো রাফাতের মোহ এখনই কেটে যাবে । সে একদিন ঠিকই আমার এই অপারগতাকে সামনে নিয়ে আসবে । কিন্তু গত দুই বছরে আমি কেবল একটা ব্যাপারই অনুভব করতে পেরেছি যে এই ছেলেটা আমাকে জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে শুরু করেছে । সব কিছুতেই সেটা প্রকাশ পেতে দেখেছি আমি । আমি বিশ্বাস করেছি যে রাফাতের মত মানুষের মনে অন্য কিছু কোনদিনই আসবে না ।
আজকে এই ছোট্ট বাবুটাকে আমরা এডোপট নিয়েছি । হয়তো আমি বাচ্চা জন্ম দিতে পারবো না কিন্তু মা হতে পারবো না সেটা তো নয় ! বলা চলে, আমাদের জীবন আগে থেকেই অনেক পরিপূর্ণ ছিল কিন্তু আজ থেকে তা একেবারে পরিপূর্ণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:০৬