somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ অপূর্ণে প্রাপ্তি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মায়ের কথা শুনে ঠিক যেন বিশ্বাস হল না আমার প্রথমে । আরেকবার জিজ্ঞেস করলাম তাকে কথাটা, দেখা করতে চেয়েছে?
মা যেন খানিকটা বিরক্ত হল । তারপর বলল, তোকে আমি মিথ্যা কথা বলছি নাকি? যা যা, জলদি তৈরি হয়ে নে। পাঁচটার সময়ে আসবে ছেলেটা ।

আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম । সাড়ে তিনটার কিছু বেশি বাজে । দুপুরে খেয়ে একটু শুয়েছিলাম । কখন ঘুম চলে এসেছে টের পাই নি । ঘুম ভাঙ্গলো মায়ের ডাকে । শুনে অবাক হলাম যে রাফাত সাহেব আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছে ।
গতদিনই তো তাকে ফোনে সব কথা আমি খুলে বলেছি। তারপরেও আবার কি কথা বলবে সে?

তৈরি হয়ে নির্দিষ্ট রেস্টুরেন্টে পৌঁছাতে পৌঁছাতে পাঁচটার কিছু বেশি বেজে গেল । মা আমাকে আগেই রাফাতের ছবি দেখিয়েছিলো । তাকে খুঁজে পেতে কষ্ট হল না । আকাশী রংয়ের একটা শার্ট পরে এসেছে । চুলগুলো একটু এলোমেলো করা । চোখ চশমা । রোগা পাতলা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ কি যেন মনে হল আমার !
কেন মনে হল আমার জানা নেই ।

আমি সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই আমার দিকে চোখ তুলে তাকালো । চশমার ফাঁক দিয়ে গভীর কালো চোখে আমার দিকে কিছু সময় তাকিয়েই রইলো সে । আমাকে যেমন তার ছবি দেখানো হয়েছে, নিশ্চয়ই তাকেও আমার ছবি দেখানো হয়েছে । সে আমাকে সম্ভবত মেলানোর চেষ্টা করছে । আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো সে । একটু মৃদু হাসি । দাঁত বের হল না তবে চোখ হেসে উঠলো । আমার তখনই আবার সেই অনুভূতিটা হল ।
আমার দিকে তাকিয়েই রাফাত খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বলল, আপনি দেখি ছবির থেকেও বেশি সুন্দর !
আমি কিছু বললাম না । একটু হাসলাম কেবল । সামনের চেয়ারে বসতে বসতে বললাম, অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখেছি কি?
-না । খুব বেশি সময় না । বলুন কি খাবেন?
-তেমন কিছু না । কফি !
-গ্রেইট । আমিও কফি পছন্দ করি বেশ ।

কফির অর্ডার দিয়েই আমরা কিছু সময় নিশ্চুপ হয়ে রইলাম । কি বলবো খুঁজে পেলাম না । আসলে আমি এখনও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না যে সব কিছু জানার পরেও রাফাত আমার সাথে দেখা করতে এসেছে । কেন এসেছে?
আমি যতদূর খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ছেলেটা বেশ কিছুদিন বাইরে ছিল । পড়াশুনা করেছে আমেরিকাতেই । সেখানে কিছু সময় চাকরি করেছে । তারপর হঠাৎ করেই দেশে ফিরে এসেছে । এখানেও একটা ভাল চাকরি করে । রাফাত পাত্র হিসাবে একেবারে ফার্স্ট ক্লাস । দেখতে শুনতেও চমৎকার। সবাই এমন ছেলে পেলে লুফে নেবে । তার সামনে অনেকগুলো অপশন । কিন্তু সে আমার মত একজনকে কেন বিয়ে করতে চাইবে? এর ভেতরে কি কারণ ? যদি আমি আমার ঐ কারণটা তাকে নাও বলতাম তবুও আমার আগে একটা বিয়ে হয়েছিলো । এই ছেলে তো প্রথমেই আমাকে বাতিল করে দেওয়ার কথা !

রাফাত টুকটাক অনেক কথা জানতে চাইল। আমিও জানতে চাইলাম তার ব্যাপারে । এক সময়ে রাফাত বলল, প্রথম বিয়ের অভিজ্ঞতা ভাল না হওয়ার কারণে অনেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায় না । আপনিও তাদের দলে? ফ্যামিলির চাপে বিয়ে করতে হচ্ছে ?
আমি বললাম, আসলে আমাদের সমাজে একটা মেয়ে স্বামী ছাড়া থাকবে এটাকে ঠিক ভাল চোখে দেখা হয় না । একা একা টিকে থাকা কষ্টের । এখন বাবা মা আছে বলে হয়তো কোন সমস্যা হচ্ছে না । কিন্তু আরও কয়েক বছর পরে কথা উঠবে । বাবা মা না থাকলে আরও প্রকটভাবে দেখা দিবে সেই সমস্যা । এই জন্য বাবা মা উঠে পড়ে লেগেছে ।
-তাদের দোষ দেওয়া যায় না । কিন্তু আপনি যেভাবে নিজের ব্যাপারে সব বলে দেন তাহলে তো ...
আমি বললাম, মিথ্যা দিয়ে সংসার শুরু করে কি লাভ ! এটার কারণেই আমার প্রথম সংসারটা ভেঙ্গেছে । আমার প্রথম স্বামী যখন জানতে পারলো যে আমি সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম না, হঠাৎ করেই তার সব ভালোবাসা কেমন করে উবে গেল। চোখের নিমিষে । ওই চোখ আমি কোনদিন ভুলবো না । আসলে তার দিক দিয়ে ভাবলে তাকে দোষও দিতে পারি না । একটা বাজা মেয়েকে কে ঘরে রাখবে !!
-ছিঃ! এই শব্দটা ব্যবহার করবেন না । আর কখনই না !

রাফাতের কন্ঠের উত্তাপ দেখে আমি খানিকটা অবাক হয়ে গেলাম । কি বলবো খুঁজে পেলাম না । রাফাত বলল, সবার মাঝে কিছু না কিছু অপূর্নতা থাকে । যেমন আমি রেগে গেলে আমার মুখ দিয়ে কথাই বের হয় না। এই দেখেন চশমা ছাড়া কিছুই পরিস্কার দেখি না । দয়া করে আর কখনও নিজেকে ছোট করে দেখবেন না । কখনই না ।
কেন জানি কথাটা শুনে খুব বেশি ভাল লাগলো । অনেকদিন পর এই প্রথম মনে হল যে অন্তত একজন মানুষ পেলাম যে আমাকে ছোট করে দেখছে না । আমার ব্যাপারটা জানার পর পরিচিত সবার আচরণ একদম বদলে গেছে । সবাই কেমন একটা করুণার চোখে আমার দিকে তাকায় । আমার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি, সবাই । অসহ্য লাগে সবকিছু । ডিভোর্সের পর মানুষের সাথে মেশা একদম বন্ধ করে দিয়েছি । আগে যত মানুষের সাথে ওঠাবসা ছিল সেগুলো পরিবর্তন করে ফেলেছি । এখন নতুন কিছু বন্ধুবান্ধব হয়েছে যাদের কেউ আমার এই ব্যাপারটা জানে না । হয়তো যেদিন জানবে সেদিন আবার আমাকে করুণা করা শুরু করবে । এটাই আমার পছন্দ না একদম ।

মন ভাল ভাব নিয়ে আমি বাসায় ফিরে এলাম । মা আগ্রহ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো । কি কি হয়েছে সব জানতে চাইলো । মায়ের চিন্তিত হওয়ার কারণ আমি টের পাই । তাকে দোষ দিতে পারি না । কিন্তু আমার হাতে তো আর কিছু নেই । বিয়েতে আমার হ্যা বা না কিছুই নেই । আমার অবস্থাই এমন। ওপাশ থেকে যদি রাজি হয় তবেই সবকিছু ঠিক হবে ।
মায়ের সকল দুঃচিন্তা দূর করে রাত দশটার দিকে রাফাতদের বাসা থেকে ফোন এল । রাফাত বিয়েতে খুব বেশি আগ্রহী । এবং সেটা দ্রুত । অনুষ্ঠান পরে করলেও চলবে কিন্তু তারা চায় যত দ্রুত সম্ভব বিয়েটা হয়ে যাক !
আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম তবে মায়ের আনন্দ দেখে আর কিছু বললাম না । মনের ভেতরে একটা প্রশ্ন রয়েই গেল । বারবার মনে হতে লাগলো যে এর ভেতরে কি অন্য কোন কারণ আছে । রাফাত যেন একটু বেশি তাড়াহুড়া করছে আমার সাথে । এতো তাড়াহুড়ার কারণ কি?

পরের দিনই রাফাত তার বাবা মাকে নিয়ে হাজির হল আমাদের বাসায় । ওর বাবা মাও আমাকে পছন্দ করলো । আংটি পরিয়ে দিলো । সাথে বিয়ের তারিখও ঠিক করে গেল । নিজের চেহারা নিয়ে আমার একটা ধারণা আছে । বিশ্ব সু্ন্দরী না হলেও আমাকে অপছন্দ করবে না কেউ । এটা আমি জানি । আমার পড়াশুনাও বেশ ভাল । চাকরি না পেলেও খুব জলদি আমি চাকরিতে ঢুকে যাবো । যে কোনদিন জয়েনিংয়ের জন্য ডাক চলে আসবে । আগে যে চাকরিটা করতাম সেটা বিয়ের পর ছেড়ে দিয়েছিলাম । ডিভোর্সের পর আবার নতুন করে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য । কিন্তু আমার সব কিছু এক স্থানে এসেই আটকে যেত । এর আগে আমার বাবা আরও কয়েকটা ছেলে খুঁজে নিয়ে এসেছিলো । প্রথম দেখাতে সবাই-ই আমাকে পছন্দ করেছিলো তবে আমি যখনই সত্যটা তাদের বলতাম, তখনই সবাই পিছিয়ে যেত । একমাত্র রাফাতকে সত্যটা বলার পরেও সে পিছিয়ে তো যায়ই নি, বরং আরও বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে ।

বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছে সামনের সপ্তাহে । আপাতত কোন অনুষ্ঠান হবে না । কেবল বিয়ে । সামনের মাসে কিংবা তারপরে কখনও একটা সময়ে অনুষ্ঠান হবে । আমার মনের ভেতরে সেই সংকোচ কিংবা অস্বস্তিটা কাজ করেই গেল । রাফাত এতো তাড়াহুড়া করছে কেন! সেই সত্য আমি জানতে পারলাম আরও দুইদিন পরে । রাফাত নিজ থেকেই আমাকে বলল ।
সেদিনের মতই আমরা একটা রেস্টুরেন্টে দেখা করলাম । ও আমার মুখোমুখি না বসে কেন জানি আমার পাশে বসলো । তারপর আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে আমার হাত ধরলো । তারপর বলল, তুমি খুব অবাক হচ্ছো তাই না?
আমি বললাম,কিছুটা তো হচ্ছিই । আমার কেবল মনে হচ্ছে আমি যেন তোমার আগের জনমে হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকা। আমাকে খুঁজে পেয়েছো তুমি !
রাফাত হাসলো । তারপর বলল, অনেকটা ধরে নাও তাই ।
-এতো তাড়াহুড়ার কারণ কি বলা যাবে?
-হ্যা । সেটা বলার জন্যই আজকে ডেকেছি । সবটা শোনার পরে যদি তুমি চাও এই বিয়ে তুমি করবে না তাহলে নির্দ্বিধায় বলবে । আমি বিয়ে ভেঙ্গে দিবো । ঠিক আছে!
একটু যেন ভয় হল । কি না কি শুনি কে জানে !
রাফাত বলতে শুরু করলো, আমি যখন আমেরিকাতে ছিলাম তখন এলা নামের একটা মেয়ের সাথে আমার ভাব হয় । এলা জাতে ইন্ডিয়ান আমেরিকান । ওর বাবা আমেরিকান আর মা ইন্ডিয়ান । দেখতে অনেকটাই আমাদের মত তবে চোখ ছিল নীল । সেই নীল চোখের প্রেমে পড়েছিলাম । আমাদের প্রেম গভীর হয়ে ওঠে । একসময়ে সেটা এতোই তীব্র হয় যে আমরা একসাথে থাকা শুরু করি । তারপর যা হওয়ার হয় । এলা প্রেগনেন্ট হয়ে পড়ে । আমরা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নেই যে বাচ্চাটা আমরা রাখব। সবার কাছ থেকে লুকিয়ে আমরা বিয়েও করে ফেলি । আস্তে আস্তে এলার ভেতরে আমাদের বেবি বড় হতে থাকে ।
রাফাত কিছু সময় থামলো । আমি ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম । ওর চোখে একটা আশ্চর্য বেদনা দেখতে পাচ্ছি আমি । রাফাত আবার বলতে শুরু করলো, পুরো নয়টা মাস আমি ওর কাছেই ছিলাম । আমি ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি । কি তীব্র কষ্ট পাচ্ছে ও । ওর শরীর সম্ভবত এটা নিতে পারছিলো না, মানিয়ে নিতে পারছিলো না । ডাক্তারও তাই বলল আমাদের । শরীর ফুলে যাওয়া, পানি বেড়ে যাওয়া । ও ঠিক মত হাটতে পারে না, কিছু খেতে পারে না । এতো দীর্ঘ সময় ও কষ্ট পাচ্ছে । আমি কিছু করতে পারছি না ।
-তারপর?
-ডেলিভারির সময় এলা আর আমাদের মেয়ে দুইজনই মারা যায় !
আমি কি বলবো খুঁজে পেলাম না । তাকিয়ে দেখি রাফাতের চোখে পানি । রাফাত সেটা মোছার চেষ্টা করলো না । রাফাত বলল, আমার বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল না । তবে একটা সময় মনে হল একা জীবন হয়তো পার করা সম্ভব না । সঙ্গী দরকার কিন্তু তখনই মনে হল আবার বিয়ে করবো, আবারও কাউকে ভালোবাসবো তারপর বাচ্চা হওয়ার সময় যদি কিছু হয়ে যায় । যদি আবার....

আমি এবার কারণটা বুঝতে পারলাম। আমার কাছে অনেকটাই ব্যাপারটা পরিস্কার হল । রাফাত এবার আমার দিকে তাকালো, ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট পেতে দেখলে, হারিয়ে ফেললে যে কষ্ট হয় সেটা আমি আর পেতে চাই না ।
তারপর আমার হাতটা আরেকটু ভাল করে ধরলো । তারপর বলল, অনু আমি বলছি না যে আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি । তবে একদিন খুব ভালবাসবো এটা নিশ্চিত । দুনিয়ার সবকিছু থেকে তোমাকে বেশি গুরুত্ব দিবো। তাই তোমাকে কষ্ট পেতে দেখতে পারবো না আমি ।
আমি কি বলবো সত্যিই বুঝতে পারলাম না । আমার ঐ অক্ষমতার কারণে যেখানে আমাকে মানুষজন বারবার করুণার পাত্র হিসাবে দেখছিলো, এই ছেলেটা সেটার জন্যই আমাকে বিয়ে করতে চাইছে । কি অদ্ভুত এই মানুষটা !
আমার এতোদিন উপরওয়ালার প্রতি খুব রাগ ছিল । বারবার মনে হত কেন আমার সাথেই এমনটা হল? আমাকেই কেন এই জিনিসটা সহ্য করতে হল? কিন্তু আজকে মনে হচ্ছে যে রাফাতের জন্যই আমাকে এভাবে পাঠানো হয়েছে ।

পরিশিষ্টঃ
বাবুটার বয়স মাত্র এক বছর । শান্ত চোখে আমার কোলে বসে আছে । এইটুকু বয়সেই মাথায় ঘন কালো চুল । আমি ওর ছোট ছোট হাত ধরে আদর করে দিচ্ছি বারবার । মনের ভেতরে যে কি আনন্দ লাগছে কোনভাবেই বুঝাতে পারবো না । আজকে এই বাবুটা আমাদের ছেলে হিসাবে বড় হবে । আমাকে মা বলে ডাকবে ।
রাফাত গাড়ি চালাতে চালাতে বলল, কি ভাবছো এতো?
আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম । তারপর বললাম, থ্যাংঙ্কিউ ফর এভ্রিথিং।
রাফাত বলল, আমি কি করলাম? বরং তোমাকে ধন্যবাদ আমার জীবনের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য !

পরের সপ্তাহেই আমাদের বিয়ে হয়ে যায় । প্রথমে একটু ভয় যে আমার ছিল না সেটা আমি বলবো না । বারবার মনে হত হয়তো রাফাতের মোহ এখনই কেটে যাবে । সে একদিন ঠিকই আমার এই অপারগতাকে সামনে নিয়ে আসবে । কিন্তু গত দুই বছরে আমি কেবল একটা ব্যাপারই অনুভব করতে পেরেছি যে এই ছেলেটা আমাকে জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে শুরু করেছে । সব কিছুতেই সেটা প্রকাশ পেতে দেখেছি আমি । আমি বিশ্বাস করেছি যে রাফাতের মত মানুষের মনে অন্য কিছু কোনদিনই আসবে না ।
আজকে এই ছোট্ট বাবুটাকে আমরা এডোপট নিয়েছি । হয়তো আমি বাচ্চা জন্ম দিতে পারবো না কিন্তু মা হতে পারবো না সেটা তো নয় ! বলা চলে, আমাদের জীবন আগে থেকেই অনেক পরিপূর্ণ ছিল কিন্তু আজ থেকে তা একেবারে পরিপূর্ণ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:০৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×