somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের ক্রিকেটে ওরা ১১ জন আর জাতীয় নেতৃত্ব যখন একই মাঠে, তখন আমাদের সমবেত প্রার্থনা-আমরা একদিন পারবোই।

২২ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দুঃখ পেয়েছি, কিন্তু দুঃখ স্থায়ী হবেনা, আমরা জিতবোই একদিন, আমাদের সমবেত চাওয়া সত্যি একদিন হবেই হবে।

ক্রিকেট কে ধন্যবাদ। ক্রিকেট আর আমাদের ১১ জন খেলোয়ারকে ধন্যবাদ। ওরা মাত্র ১১ জন খেলোয়ার একটি জাতিকে উজ্জীবিত করলো। দেশ ভাসছে আনন্দ আর প্রত্যাশার জোয়ারে। ওরা ১১জন খেলোয়ার, কেবলতাদের দক্ষতায়, দাওয়াত না দিয়েই মাঠে নিয়ে গিয়েছে আমাদের রাজনীতির অন্যতম তিন প্রধান ব্যক্তিত্বকে। মাঠে উপস্থিত ছিলেন-

>>আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

>> আমাদের মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

>> আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ।

>>আমাদের ক্রিকেট পাগল সব বয়সের হাজার হাজার দর্শক।

বিগত বছর গুলোতে এমন কোনো উপলক্ষ্য আমাদের জীবনে আসেনি, যেখানে দাওয়াত ছাড়াই আমাদের বিভিন্ন দলের জাতীয় নেতৃত্ব এক সাথে, এভাবে একই সাথে, একই দলের জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমাদের চোখে পড়েনি তারা একসাথে কোনো বিষয়ে এভাবে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন। খেলায় জয় পরাজয় থাকলেও আমাদের বহু অর্জন আছে এই খেলায়।

আমরা এটাই চেয়েছি, এই রাজনীতিই চেয়েছি। এই দেশপ্রেমই আপনাদের কাছ থেকে আশা করেছি বছর বছর। দেশের সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমরা কখনোই যোগ্যতাহীন ভাবে আপনাদের কাছে কিছুই চাইনি। অন্যায় আব্দারও করিনি। কেবল চেয়েছি, আপনারা বাংলাদেশের জন্য এমন কিছু করবেন-যার সুফলভোগী হবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। আপনাদের এমন একটি কাজও থাকবেনা যেখানে কোনো একক বা গোষ্ঠিকে লাভবান হওয়ার জন্য করবেন। আমাদের ভরসার জায়গা কম, আনন্দের উপলক্ষ্যও কম। তাই আপনাদের উচ্ছাস যখন জনতার কাতারে এসে মিশে-তখন অনুভব করি আমরা সবাই এক, একই আমাদের প্রার্থনা। এই সমবেত প্রার্থনা ঐশ্বর না শুনে পারেনা। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের আন্তরিক উপস্থিতি, সমর্থন আর সমবেত প্রার্থনা আমাদের উজ্জীবিত করে। আমরা নতুন করে প্রেরণা পাই, কোথাও আমরা হারবো না, আমাদের সন্তানরা হারতে পারেনা। কেবল দরকার আপনাদের আন্তরিক সমর্থন আর ভালবাসা।



ওরা ১১জন, ওদের জন্য অপেক্ষা আর সমবেত প্রার্থনায় একটি জাতি-দেশে ও দেশের বাইরে। ইতিহাসের অংশ হোক আমাদের আজকের বিজয় অর্জন-এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দল-এটাও কম নয় কোনো ভাবেই।।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১১:০৬
১৬টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×