somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই দিন বদলের মুখে প্রশ্রাব করুন, কারন সরকারব্যবস্থা এখন গণশৌচাগার। দানবের জন্মাদাত্রীর বিচার সময়ের দাবী হবেনা কেন?

২২ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যখন রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হোটেলে যখন পতিতার আনাগোনা, দেহব্যবসায় লিপ্ত থাকে মন্ত্রীর ভাই-গ্রেফতার হয়েও আড়ালে থাকেন সদর্পে-

যখন রাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রপাতি মন্ত্রীর ভাতিজা যখন সাংবাদিককে হত্যা উদ্দেশ্যে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়ে সদর্পে ঘুরতে পারে।


যখন রাষ্ট্রের একজন এমপি যখন নিজ অস্ত্রের দ্বারা গুলি করে পিএসকে খুন করে সদর্পে কন্ট্রাক্টরী চালিয়ে যেতে পারে নির্বিগ্নে,

যখন রাষ্ট্রের একজন এমপি যখন প্রকাশ্যে নিজের অস্ত্র দিয়ে জনতার উপর গুলি বর্ষন করেও বহাল থাকতে পারে মধ্যযুগের সামন্তদের মতোই,

যখন মহান সংসদের ভিতর যখন বেওয়ারিশ নারীর গলিত লাশ পাওয়া যায়, রাষ্ট্র বেমালুম আড়াল করে এই নামহীন নারীর পরিচয়,


যখন টাকার বস্তা নিয়ে আটক মন্ত্রীর পিএস যখন সদর্পে দেশব্যাপী ঘুরে বেড়ান, চোরমন্ত্রী বড় গলায় সাটিফিকেট পান তার অধীনস্ত তারই জন্মদেওয়া তদন্ত কমিটির সঙরিপোর্টের দ্বারা,

যখন দেশের স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিটি নখদস্তহীন হয়ে কেবল চারিত্রিক সার্টিফিকেট প্রদানের ভারবাহী জন্ততে পরিনত হন,

যখন কেবল গরুছাগল চেনা মন্ত্রীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় হত্যাকারী ঘাতক ড্রাইভাররা যখন নিরাপদ সড়ক দাবীকে জুতা নিক্ষেপ করে,

যখন নিজ বেডরুমে খুন হওয়া সাংবাদিক দম্পতির ভিসেরা ছাড়াই কবর রচিত হয়, সিআইডি-র ভিসেরা যখন গায়েব হয় রাষ্ট্রীয় নথি থেকে,


যখন আদালতে প্রকাশ্যে নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে অপরাগতা প্রকাশ করেও সেই পুলিশ বিভাগের কর্তারা যখন বীরবিক্রমে গলাচেপে ধরে জনতার,

যখন শতাধিক নিখোঁজের/গুমের পরও নির্লজ্জ থাকে রাষ্ট্রের শাসক, মানবাধিকারের নামে এখানে তামাশা করা সরকারী আইনজীবীদের আজ আর মুখে ফেনা উঠেনা,

যখন সাবেক সাংসদকে গুমকারী বাহিনী যখন গুম করেও আবারো সরকারী নির্দের্শে বার বার হানাদেয় অসহায় পরিবারকে হুমকি দিতে,

যখন সাক্ষাতদেওয়া প্রধানমন্ত্রী যখন অর্ডারী কান্নার চেষ্টা করেও প্রতিশোধের খেলায় নিয়োজিত রাখে তার রাষ্ট্রীয় বাহিনী,



----------------তখন রাষ্ট্রকে মানবিক, গনতান্ত্রিক বলতে চায় যে জানোয়ার, তার মুখকেও গনশৌচাগার করে দেওয়া সময়ের দাবী। বাংলাদেশের মানুষের দিন বদলের যে প্রতিশ্রুতি, তার মুখে ঝাড়ু মারা, যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তাদের মুখে ঝাড়ুমারা কি সচেতন নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব নয়?

একটি জিজ্ঞাসা, জানা থাকলে বলুন-
স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো সরকারের আমলে ৪৩ জন প্রথম সারির নেতাকর্মী কখনোই গ্রেফতার হয়নি একদিনে। এটা যখন সারাদেশে প্রতিটি ফোরামে আলোচিত হচ্ছে-তখন সেই দুর্নাম থেকে ব্যর্থ রেহাই পেতে আমাদের সরস প্রধানমন্ত্রী ইতিহাসের পাতা থেকে উল্লেখ করেছেন এই বলে যে, ১৯৮৩ সালে এরশাদের আমলে তারা গ্রেফতার হয়েছিলেন, যদি তিনি মাত্র ৩ জনের নাম বলতে পেরেছেন। এই মূল্যায়নে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে স্বৈরাচারী এরশাদের চেয়েও নিজেকে, নিজের শাসনকে গণতান্ত্রিক বলতে পারেননি। তাকে উদাহরণ দিতে স্বৈরাচারের সাথে নিজেকে মেলাতে হয়েছে। তিনি বুঝতে পারেননি, তার সরকার আর এরশাদের সরকার এক ছিলোনা। তাহলে জনগণ নিশ্চিত হতে পারেন শেখ হাসিনা এরশাদকেও ক্রস করে ফেলেছেন কুশাসনের দিক থেকে। অবশ্য আমরা বহুবার শুনেছি এরশাদ শেখ হাসিনাকে বোন বলে থাকেন। স্বৈরাচারী ভাই-বোন এক সাথে একই জোটে জনগণকে দিনবদলের দাওয়া দিতে ঘুমপাড়িয়ে রাখতে চান।

সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দানবের শাসন বলেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা, এই দানবের জন্মদাত্রী কে? সচেতন ব্লগারগণ দানবের জননী হিসাবে যার পরিচয়, তার ব্যাপারে আমাদের কি সিদ্ধান্ত হতে পারে? দানবজননীকে প্রতিরোধ করা ছাড়া, রাস্তায় নামা ছাড়া জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তির আর কি উপায় থাকতে পারে বলে মনে করেন?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৫১
৯৪টি মন্তব্য ৮৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×