somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাবনার পাঁচালীঃ পাগলাগারদ,ঋত্বিক ঘটক এবং একটা দিন

২৩ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

*এই লিখার কোন শব্দই মানসিকভাবে অসুস্থ্য মানুষদেরকে হেয় করবার জন্য ব্যবহৃত হয়নি । কেউ এই ধরনের ভুল অর্থ বের করলে সেটা আমার প্রতি অন্যায় করা হবে । আশা করব সবাই “নন-জাজমেন্টাল” দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখবেন ।



পাবনা মানসিক হাসপাতাল ঘুরে এলাম । মানসিক হাসপাতালের কথা শুনলে আমার প্রথমেই মনে পড়ে ঋত্বিক ঘটকের জীবনের ছায়া অবলম্বনে বানানো “মেঘে ঢাকা তারা” ছবিটির কথা ।
মেধাবী মানুষরা খুব বেশি ক্ষ্যাপাটে কিসিমের হয় । আর ক্ষ্যাপাটে মানুষদের জায়গা হয় কিনা মানসিক হাসপাতালগুলোতে ! হোক সেটা অসুস্থ্য মানুষদের গারদ কিন্তু একই সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্দোষ, নিপাট নিষ্কলুষ মানুষদেরও বাস সেখানে । এখানকার মানুষরা ছলচাতুরী বোঝে না,দুর্নীতি বোঝে না,কারো বিশ্বাস নিয়ে টানাহেঁচড়া করে না,মানুষের উপর বিশ্বাস হারানোর পাপ এঁরা করে না,সেই অর্থে তাই এটা নিরঙ্কুশ নিষ্পাপ নিবাস । কোথাও এতুটুকু কলুষতা নেই । এখানকার মানুষরা একেকজন শরৎকালের মত,সবসময় শিশু অথচ সর্বদা গম্ভীর । এই গাম্ভীর্যই এঁদের সৌন্দর্য । এই সৌন্দর্যের মূর্তিগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেরে আমার ভাল লাগছে,খুব ভাল লাগছে,এঁদেরকে হিংসেও করছি !

হাঁটতে হাঁটতে এক পাগলের কাছে এসে পৌঁছলাম । শীর্ণ চেহেরা,চোখে-মুখে বিশাল বিরক্তি । আপন মনে কথা বলছেন তো-বলেই যাচ্ছেন । আমি দাঁড়িয়ে গেলাম তাঁর সামনে । খুব আগ্রহ নিয়ে তাঁকে দেখছি দেখে তিনি কথা থামিয়ে দিলেন । জিজ্ঞেস করলাম, “ভাল আছেন?” জবাব পেলাম, “জ্বি,ভাল ।আপনি কেমন আছেন?” আমি হেসে উত্তর দিলাম । জিজ্ঞেস করলাম কতদিন ধরে এখানে আছেন । বললেন, “অনেক দিন” । এখানে থাকতে কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করাতে তাঁর মুখটা কুঁচকে গেল । অনেক অনেক ব্যথা বেরুচ্ছিল চোখ ঠিকরে । জানালেন এখানে তাঁর থাকতে একটুও ভালো লাগছে না । তাঁর পরিচয়টা যখন শুনলাম তখন অনেক ব্যথার ভেতরও প্রচন্ড হাসি পাচ্ছিল । দাঁতে দাঁত কামড়ে হাসি সামাল দিচ্ছিলাম । উনি নাকি বাংলার সুলতান ফকরুদ্দিন মুবারক শাহের চাচা ! এরপর অস্পষ্ট ভাষায় অনেক কিছু বলে গেলেন। তাঁর সাথে আল্লাহ্‌র নিয়মিত যোগাযোগের কথা,দাঁড়িপাল্লার একপাশে কুরআন শরীফ আর অন্যপাশে তাঁকে রাখলে তাঁর দিকের পাল্লাই বেশি ভারি হবে বলে নিশ্চিত জানালেন তিনি ! একেই বলে গ্র্যান্ডিওসিটি ! যেখানে অনায়াসেই অনেক কিছুই হওয়া যায় ! জানতে চাইলাম তাঁর সাথে এখানে কেমন ব্যবহার করা হয় । জানালেন,ভাল না । সবাই খুব কষ্ট দেয় । বলেই শার্টের বামদিকটা তুলে আঘাতের চিহ্ন দেখালেন । তাঁর ধারণা তাঁর রাজত্ব দখল করার জন্য তাঁকে এখানে আঁটকে নির্যাতন করা হচ্ছে । কালো দাগটি আমি দেখতে পেলাম,বেশ বড়সড় একটা দাগ। সম্ভবত ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে । আমাকে এমনভাবে দেখালেন যেমন করে অকস্মাৎ আঘাত পাওয়া একটি শিশু গাঢ় অভিমানের সুরে মায়ের কাছে অভিযোগ করে । লোকটির চেহেরায় ব্যথাগুলো ফুটে উঠল । আমার চোখগুলো টনটন করছে । তিরতির করে কাঁপছে পা’দুটো । অন্য এক পাগল মুঠোভর্তি বাদাম নিয়ে বললেন, “লেকচার অনেক হইসে,ইবার বাদাম খা” বলেই মাথায় মারলেন একটা চাঁটি । সম্রাট ফকরুদ্দিনের চাচা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন । বিশ্রী,অশ্লীল ভাষায় গালি দিলেন । দর্শনার্থীরা সম্ভবত মজা পেলেন এবার । খিলখিল করে হেসে উঠল তাঁরা । পাগলের মুখের গালি যেন অমৃত,কানে গেলেই মুখে স্বাদ ! বাবার বন্ধু আমাকে তাড়া দিলেন সামনে এগিয়ে যেতে । যাবার সময় বললাম আপনি ভাল থাকবেন,কেমন? লোকটির চোখে কাতরতা । এত মনযোগী শ্রোতাটি এখন মিলিয়ে যাবে দেখে সম্ভবত । আমি হাত বাড়ালাম । লোকটি তাঁর হাতের কিছু বাদাম দিলেন আমার হাতে । আমি বাদামগুলো নিলাম । তাঁর দেখাদেখি পাশের মুঠো ভর্তি বাদামঅলাও হাত বাড়িয়ে দিলেন । পাশ থেকে অনেকেই বলল,হাত বাড়িয়ে দিলে পাগলরা নাকি হাতে থুথু ছিটিয়ে দেয়,কিংবা হাত ধরে হেঁচকা টান মারে ।আমি ভয় পাচ্ছিলাম ।খুব সম্ভবত এই পাগল আমার হাতে বাদামের নামে খোসাগুলো দিয়ে মজা করবে । আমার হাত বাড়াতে কিছুটা সময় লাগল । তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছি আশঙ্কার সকল সম্ভাবনার কথা । শেষমেশ হাতটা বাড়ালাম । অনেকগুলো বাদাম দিলেন তিনিও । সাথে একটা ছেলেমানুষি হাসি । স্বাভাবিক মানুষের বোধেই যত জটিলতা,অপ্রকৃতিস্থ মানুষের ভেতর কোন প্রকার জটিলতা থাকেনা । বাদাম খাচ্ছি দেখে মানুষগুলো বলতে লাগল আমি নাকি পাগল হয়ে যাব,পাগলের দেওয়া বাদাম খাচ্ছি দেখে ! আর এমনভাবে তাকাতে লাগল যেন আমিও এক খাঁচাছাড়া পাগল !

করিডোর জুড়ে হাঁটছি । সামনে পড়ল সুন্দর চেহেরার এক যুবক । কথাবার্তা খুব স্বাভাবিক । জানাল সে একটি প্রাইভেট মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্র । হঠাৎ পড়ালেখার চাপে তাঁর মাথা আওলা-ঝাওলা হয়ে গেছে । এখানে বেশ কিছু মাস ধরে আছে সে । জানাল,সে এখন সুস্থ্যতার দিকে । এপ্রিলের ৪ তারিখে তাঁকে রিলিজ দেওয়া হবে । টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ যে আফগানিস্থানকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে,খবরটা শুনলাম তাঁর কাছেই । মোটাতাজা শরীরের বলে অন্য পাগলরা হয়তো তাঁকে কর্তাস্থানীয় কেউ ভেবে বসেছে । কারণ তাঁর একটা ধমকে সবাই প্রায় চুপচাপ হয়ে গেল । ওঁকে শুভকামনা জানিয়ে আমি সামনে এগুলাম ।

হ্যাংলা-পাতলা কমবয়েসী একটা ছোকরার সামনে এসে দাঁড়ালাম । মিঃ ম্যাংগো চকলেটটার খালি প্যাকেট দেখিয়ে শুধু একটা কথাই বলে গেল,সে মিঃ ম্যাংগো খেতে চায় । আমি তাঁকে আশ্বস্ত করলাম । জানালাম এখুনি তাকে এনে দিচ্ছি । একটা মৃদু হাসি ছড়িয়ে গেল তার হ্যাংলা শরীরটাতে ।

সামনে আরো এগিয়ে গেলাম । একজনকে দেখলাম বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছে । খুব সম্ভবত তাঁর সেলের ছাদটাকে আকাশ ভেবে তারা গুনছেন । তাঁর গণনায় ব্যাঘাত ঘটালাম দেখে আমার দিকে একটু কটাক্ষ করলেন । একটুপর উঠে এসে জিজ্ঞেস করলেন “শার্টটার দাম কত?” আমি উত্তর দিলাম । পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম তাঁর পছন্দ হয়েছে কিনা ।বললাম, “পড়বেন,খুলে দেব?’’লোকটার মুখ কঠিন হয়ে গেল । বদখত আঞ্চলিক ভাষায় কি যেন বলে গেলেন একনাগাড়ে...বলতেই থাকলেন অনবরত । খালি বুঝতে পারলাম “তুই পড়,তোর বাপকে পড়া,সব শালারা চোর” কথাগুলো । আমি সটকে এলাম । হাঁটতে হাঁটতে একেবারে সেলের শেষ দিকে এসে গেলাম । পেছনে ফেলে আসা একটা কামরা থেকে ভরাট কন্ঠের আওয়াজ শুনে আবার ফিরে গেলাম । একটা মধ্যবয়স্ক লোক দুর্বোধ্য,জড়ানো ভঙ্গিতে কি যেন আওড়াচ্ছেন । আমি তাঁর ঠিক সামনে গ্রিলের এপারে । তিনি আমাকে দেখছেন,কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন না । অনেকক্ষণ পর একটা-দুটা কথা উদ্ধার করতে পারলাম । লোকটি রবার্ট ফ্রস্টের একটা কবিতা বলছেন । “And miles to go before I sleep, and miles to go before I sleep” ধারণা করলাম এই মানুষটা আত্মোপব্ধির চূড়ান্তে পৌঁছেছিলেন । যে মানুষ রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা আওড়াতে পারে তাঁকে স্রেফ পাগল ভাবতে আমার খুব খারাপ লাগছে । বরং পাগল তো আমিই,অবাক বিস্ময় নিয়ে যে তামাশা দেখছে !

বাবার বন্ধু একজন পাগলের কাছে নিয়ে গেলেন । যার হাত-পা শিকল দিয়ে বাঁধা,গলার মাঝখানটায় বিশাল একটা চোঙা । ফুটবল বিশ্বকাপের ভুভুজেলার মতন । শুনতে পেলাম এই মানুষটা ধারালো কিছু দিয়ে শুধু নিজের গলা কেটে ফেলে,যখনই সুযোগ পায় !আমি গভীর বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছি । অনেকক্ষণ খেয়াল করার পর যখন পেটের উঠানাম দেখলাম তখন আশ্বস্ত হলাম ভেবে যে মানুষটা বেঁচে আছে । মনে হল একবার ডাক্তারকে বলি খুলে দিন তালাটা,আমি ওঁর মাথার একটু হাত বুলিয়ে দেই !

পাগলা-গারদে ভাঙা বালতিতে পানি উঠা নিয়ে একটা মজার কৌতুক আছে । চিকিৎসা শেষে এক পাগল প্রায় সুস্থ্যতার দিকে । ডাক্তার শেষবারের মত পরীক্ষা করতে এলেন । ভাঙা বালতি দিয়ে একটা কুঁয়া থেকে পানি তুলতে বললেন । অনেক চেষ্টাচরিত্র করেও পাগলটা পানি তুলতে পারছে না।
ডাক্তার বললেন, “কিরে,হলটা কি ? পানি তুলতে পারছিস না কেন,বাপু?
পাগলটা উত্তর দিল, “ধুর পাগল,ভাঙা বালতিতে কি পানি উঠে ?”

ভাঙা বালতিতে পানি তোলার কোন দৃশ্য চোখে পড়ল না । খুব ইচ্ছা ছিল কৌতুকটা যেন সত্যিই দেখতে পাই । কিন্তু বিধিবাম !


সারাটা দিন হাসপাতালেই কাটালাম । কত কিছু যে দেখলাম,বলে শেষ করতে পারব না । মন খারাপ করা অনেক অনেক ঘটনার কথা এড়িয়ে যাচ্ছি । থাকুক না,কি হবে সে সব জেনে ! আমি শুধু ভাবছিলাম,অসুস্থ্যতা কত বিচিত্র ধরনের হতে পারে, কত বিচিত্রই না অসুস্থ্যতার প্রকাশ । এসব ভাবতে ভাবতে মাথাটা ধরে আসে ।

আমার দেখার জন্য নির্ধারিত সময় শেষ । হাসপাতাল থেকে বাইরে যখন বেরোলাম তখন দিনের আলো মিলিয়ে গেছে ।বিদ্যুতের আলোয় ঝকমক করছে সামনের প্রাঙ্গণ । একটা অব্যক্ত,অপ্রকাশ্য জ্বালা নিয়ে ফিরে আসছি নিজের ডেরার দিকে । একবার মনে হল এঁদের মাঝে থেকে যেতে পারলেই বোধ হয় ভাল হত,কি হবে সেই সুস্থ্য পাগলগুলোর ভিড়ে ফিরে গিয়ে !

শেষ করছি ঋত্বিক ঘটকের কাছে ফিরেই । ভাবনার জগতে একদিনও বেঈমানি করেনি,আদর্শের সাথে একদিনও আপোষ করেনি,ব্যথার ভেতর দিয়ে চিরে চিরে নিয়ে এসেছে জন্ম,ঘোর কলিতে বসে দ্বাপর ত্রাতার বানী শুনিয়েছে...সেই মানুষগুলোই কিনা হয় পাগল,কোথাও আর তাঁদের ঠাই হয় না,শুধু বুক পেতে থাকে পাগলাগারদগুলো ! মানসিক কারাগারে বহু শতাব্দি শতাব্দি পরের জন্য সমসাময়িক হবার অত্যুজ্জ্বল প্রতিভাপ্রাপ্ত এই পুরোধাদের সুস্থ্য করার বিধান রচনা করা হয় ! কি সেলুকাস,কি বিচিত্র তাঁদের পরিনতি !
শিল্পের কাছে মানুষ এত অসহায়? শিল্পের প্রতি মানুষের এতটা দায়বদ্ধতা আসে কোথ থেকে ?

মেঘের চাদরে ঢাকা তারাগুলোকে যে সমাজ চিনতে ভুল করে কোন তারাই সে সমাজের দিক নির্দেশক হতে পারেনা । চকচক করা পদার্থগুলোও সোনার মত কিন্তু সোনা নয় । যারা এই ভুলটা করে জেনেশুনেও,অবহেলা করে,তারাই মূলত পাগল,অন্ধ,পঙ্গু,বিকলাঙ্গ শারীরিকভাবেও,মানসিকভাবেও ।

বেশিরভাগ মানুষ সেই জায়গাটাকেই স্বীকৃতি দেয় সাফল্য যেখানে ইতিমধ্যেই সুপ্রতিষ্ঠিত । সাফল্যের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেবার মত মানুষ খুব কমই আছে । এটা জাতিগত,চেতনাগত ঔদার্যয়ের ব্যাপার । এইখানেই রয়েছে আমাদের শুভংকরের ফাঁকি । তাই-ই হয়ত বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রটিতে আমাদের এতই দুরাশা ! বাইরেরটা দেখতে ফিটফাট কিন্তু ভেতরটা সদরঘাটের বুড়িগঙ্গার মতই স্যাঁতস্যাঁতে,নোংরা,পুতিঃগন্ধময়,মৃতপ্রায় !


কচিকচি সবুজ ধানগাছের বুক চিরে আমার ট্রেনটা পাবনা ছাড়ছে ঢাকার উদ্দেশ্যে । আমিও ছেড়ে আসছি হঠাৎ পেয়ে বসা সংবেদশীলতা,সহানুভূতি আর মর্মযাতনাকে...একটু একটু করে আলিঙ্গন করছি নিঃস্পৃহতাকে,যান্ত্রিকতাকে,উদাসীনতাকে ! ঢাকায় এসে ভুলে যাব সবকিছু । ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুমের ঘোরে হঠাৎ সঙ্গতিহীন,অপ্রাসঙ্গিক স্বপ্নের(দুঃস্বপ্নের) মত ভুলে যেতে চাইব ওই দিনটাকে । কিন্তু কোন এক মুহূর্তে,সামান্য সময়ের জন্য হলেও যদি ওই হ্যাংলা ছেলেটার স্মৃতি ফিরে আসে,তাঁর মনটা যদি আশাহত হয় এই ভেবে যে কেউ একজন তাঁকে মিঃ ম্যাংগো খাওয়াবে বলে কথা দিয়েছিল ; যদি ক্ষণিকের জন্যও তাঁর চেতনা জাগ্রত হয়,যদি তাঁর ধারণা হয় যে পাবনা মানসিক হাসপাতালের চৌহদ্দির বাইরের সুস্থ্য,অ-পাগল মানুষগুলো কথা দিয়ে কথা রাখে না,তখন?

এই লজ্জাবোধ থেকে আমার মুক্তি মিলবে কি করে? কোন দুঃস্বপ্নের অজুহাত দিয়ে এই অপরাধবোধকে ভুলে যাব ?
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×