শুক্রবার ঘুম ভাংলো সকাল পৌনে ছটায়। চেষ্টা করেও আর ঘুম আসলো না। তাই পিঠটান দিলাম মানে ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে বাইরে বের হয়ে গেলাম। সকাল ৭ টার দিকে হাটতে হাটতে চলে আসলাম বিজয় স্বরনীর কাছাকাছি। আর ফিরে যাবার কোন মানে নেই তাই একটা বাসে করে মহাখালি এসে নামলাম। উদ্দেশ্য কাছাকাছি কোন গ্রামে যাওয়া। এক্ষেত্রে কাপাসিয়া যাওয়া যেতে পারে। মহাখালি মোড়ে এসে ভাওয়াল পরিবহনের একটি বাসে দেখলাম সে গাড়ি যায় কাপাসিয়ার পার হয়ে একটি গ্রাম রাণীগন্জ এ। এতএব চল মন রাণীগন্জ। ৬৫ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে সীটে বসলাম।
রানীগন্জের প্রকৃতি এরকমই সবুজ
গাজীপুর ন্যাশনাল পার্ক পার হয়ে ডানে মোড় নিতেই পাল্টে গেলো দৃশ্যপট। সাজানো গোছানো রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট পার হয়ে বাস চলে এলো অবারিত সবুজের দেশে। চারদিকে শুধুই সবুজ।
রাণীগন্জ টু তারাগন্জ
নটার দিকে পৌছলাম রানীগন্জ। শীতলক্ষার তীরে শান্ত একটা গ্রামীন বাজার। সেখানে পরাটা, ডিম আর গরুর দুধের চা দিয়ে নাস্তা সেরে নদীর জলে পা ভিজাতে গেলাম। নদীতে ছোটবড় অনেক নৌকা। আমার একটা স্বপ্ন এ নদীতে একটা বড় নৌকায় করে টানা দুদিন ভ্রমণ করা।
শীতলক্ষা নদী
এবার এক রিক্সাওয়ালার কাছে আলাপ করে রওনা হলাম তাড়াগন্জের দিকে। গ্রামীন মাটির পথে ১ ঘন্টা জার্নির প্রায় পুরোটা সংগ দিয়েছে শীতলক্ষা নদী। তারাগন্জও শীতলক্ষার পাড়ে ছোট একটা বাজার।
আকাশে সূর্যের উকি
তারাগন্জ এ মিনিট দশেক বসে থেকে আবার চলে এলাম রাণীগন্জ। এরপর চিরচেনা ঢাকায় ফিরে যেতে ভাওয়াল পরিবহনের দ্বারস্থ হওয়া।
গরুর দুধের চা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




