Picture
প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে জানার ব্যাকুলতা। যার মাধ্যমে বিকশিত হয় প্রতিভা। ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভের ‘ওয়ান ডিগ্রি অব লার্নিং’ উদ্যোগটি ছিল নতুনকে জানার আগ্রহ তৈরিকে কেন্দ্র করে। এর আওতায় রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা, ধানমণ্ডি এবং মিরপুর এলাকার ১০টি সরকারি এবং বেসরকারি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুলে ৩টি ধাপে জানার আগ্রহ বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয়। শিক্ষক-ছাত্রদের পরিচিত হওয়ার প্রথম পর্বটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ও আনন্দঘন। খেলাধুলা, কৌতুক, হাসি, নাচ-গানের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নাম, ঠিকানা, জীবনের লক্ষ্যসহ অনেক চাওয়া-পাওয়ার গল্প। দ্বিতীয় পর্বটি এ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে। স্কুলকেন্দ্রিক টিম লিডাররা স্কুলে বাংলাদেশের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। জানার আকুল আগ্রহ জানান দিয়েছিল ওয়ার্কশপ চলাকালীন শিশু মনের প্রশ্নজাগা থেকে। শুরুতে সিনিয়র গ্রুপ ৪র্থ শ্রেণী এবং জুনিয়র গ্রুপ ৩য় শ্রেণীর নিজ ক্লাসে ইন্টার স্কুল কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিটি পর্বে সর্বোচ্চ স্কোরার চূড়ান্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অন্যান্য স্কুল থেকে আসা নতুন বন্ধুদের সঙ্গে। পুরো দিনটি সাজানো হয়েছিল সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের জন্যেই। নতুন বন্ধুদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে শিশুরা খেলাধুলা, নাচ-গান, কৌতুক, অভিনয়, আবৃত্তি আর হ্যারিপটার-মিকিমাউসের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় উত্সবমুখর পরিবেশ হয়ে ওঠে আসাদগেটের সেন্ট জোসেফ স্কুল ক্যাম্পাস।
জুনিয়র-সিনিয়র দুই গ্রুপে হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য প্রতীক্ষা এবং চটজলদি উত্তর-মনে হচ্ছিল তাদের জানার কিছু বাকি নেই। যেন কী জানে না, শুধু তাই জানে না! অন্যদিকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হয় কিন্ডারগার্টেন শিশুদের নিয়ে। কোমল হাতে রং-তুলির ছোঁয়ায় প্রিয় মাতৃভূমিকে ফুটিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা। জানার প্রতিযোগিতায় জুনিয়র গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় স্কুল অব হোপ, বাড্ডা। প্রথম রানারআপ হয় আলি হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ২য় রানারআপ হয় আজমপুর সর. প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরা। সিনিয়র গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় লোটাস কিন্ডারগার্টেন। প্রথম রানারআপ হয় আলি হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। দ্বিতীয় রানারআপ হয় ধানমণ্ডি ১নং প্রাইমারি স্কুল, কলাবাগান। ফল ঘোষণা, সদনপত্র এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শিক্ষক রিক ডেবিস। দু’মাসব্যাপী এ উদ্যোগে কুইজ পরিচালনা করেন ঢাবির ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শিক্ষার্থী সৈয়দ ইব্রাহিম সাজিদ। পুরো উদ্যোগটির সফলতার পেছনে ছিল দলপতি ফারিয়া নূরসহ ৫৬ তরুণ স্বেচ্ছাসেবক কর্মী।
ami picture add korte parina! keo ki ama k sikhaben?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





