আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে আগে বিয়ে করে রুশো। আই.ইউ.টি থেকে পাশ করে বের হয়ে একটা জবে ঢুকে সে তার n তম (যেখানে n এর মান ইনফিনিটিএর কাছাকাছি) প্রেমিকাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। আর আমরাও হাঁপ ছেড়ে বাঁচি।
এরপর দুই বছর আগে আগস্টে বিয়ে করে আমার আরেক বন্ধু রুবাই। এর বিবাহ সংক্রান্ত দুইটি পোস্ট আছে আমার যা না পড়লে পড়ে দেখতে পারেন। প্রেম, বিয়ে ও অতঃপর-১ এবং প্রেম, বিয়ে ও অতঃপর-২ । রুবাই এর বিয়ে করার কথা ছিল ২০১২ সালের পরে। কিন্তু কেন জানি সে ২০০৭ সালেই বিয়ে করে এখন এক পূত্রসন্তানের গর্বিত পিতা। এই পিতা হবার ব্যাপারে সে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে এক্কেবারে ফার্স্ট।
এরপর আমার আরেক বন্ধু আশিক। আশিকের প্রেমের ইতিহাস অবশ্য সুদীর্ঘ- সেই ক্লাস ফোরে প্রেমের প্রস্তাব করেছিল একমেয়েকে। বেরসিক মেয়ে ক্লাশটিচারের হাতে দিয়ে দিয়েছিল সেই প্রেম-পত্র। তারপরের ঘটনা সহজেই অনুমেয়। তারপর ইন্টারে সেই মেয়েটার সাথেই তার প্রেম হয়। সাত আট বছর পর আজ সেই মেয়েটা আজ আশিকের ঘরনী।
তবে বিয়ে না করলেই যে সবাই ভাল থাকে তাও কিন্তু না। আমার আরেক বন্ধু প্রধী, তার ‘গার্লফ্রেন্ড’ থাকে আর পড়ে কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর এ। প্রধী কে প্রতি শনিবার যেতে হয় কিশোরগঞ্জ, না গেলে হয়ে যায় কিয়ামত। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, আমাদের যেকোন গেটটুগেদারে প্রধী আসেনা। কেন? গার্লফ্রেন্ড এর কাছে অনুমতি মেলে না, তাই। শুনেছি বাথরুমে যাবার সময়ও অনুমতি নিয়ে যেতেহয়। বাসার বাইরে যাবার জন্যও গার্লফ্রেন্ডের অনুমতি নিয়ে তারপর যেতে হয়। বোঝেন অবস্থা। বিয়ের আগেই এই অবস্থা তাহলে বিয়ের পরে কী হতে পারে?
অবশ্য যারা বিয়ে করেছেন, আর বউদের সাথে নিয়মিত তর্কাতর্কি করেন এবং এর ফলে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটান সেই সব ভুক্তভোগীরা কি করে স্ট্রাটেজি চেঞ্জ করে বউকে সাইজ করতে পারবেন সে নিয়ে আমার একটা ব্লগ আছে পড়ে দেখতে পারেন। এই পদ্ধতি কাজ করতে বাধ্য কারন আমার এক বিবাহিত বন্ধুর অভিজ্ঞতা থেকে এই ব্লগ লেখা হয়েছে।
যাই হোক এসব দেখে মনেহয় একলা আছি, ভালই আছি। মনের সুখে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াই। নিজের টাকা যেভাবে ইচ্ছে খরচ করি। আর গান গাই- “আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে…………”
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৪