১০ বছর আগে এখানে যখন লেখা শুরু করেছিলাম, তখন ব্লগের স্বর্ণযুগ ছিল। আমিও ছিলাম বর্তমানের মতো বেকার। দিনে একটা করে লেখা দিতাম। ছিল ক্লাস সিক্স থেকে লেখা কবিতাগুলো। এছাড়া রাজনীতিমুলক লেখা। মতামত প্রকাশবিমুখ শোষকের ভয়ে ওসব লেখা ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগেই। দেশ রসের তলে গেলে কারো কিছু আসে যায় না, কারণ রস তো সবাই খাচ্ছে। বর্ণমালা, সোনার বাংলা সহ আরো অনেক ব্লগে লেখতাম। প্রথম আলো ব্লগে আমার কবিতাগুলো খুব পছন্দ করতো। যেদিন সেটা বন্ধ হলো খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। পত্রিকায় নিজে থেকে কখনো লেখা দেই নাই। আব্বার নিজ হাতে তৈরি বেক্সিমকো মিডিয়া থেকে প্রকাশিত শৈলীতে আমার একটা কবিতা নিয়ে গেছিলো। কবি কায়সুল হক বলেছিলেন, আরো পক্ত হতে হবে। ইত্তেফাকে একটা দিয়েছিল, সেটা প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত কাগজের স্তূপে কোথায় হারিয়ে গেছে। আমার প্রথম সমালোচক ছিল, মোহাম্মদ মোবারক হোসেন সুমন। সে যেদিন বলেছিল কবিতাটা এইবার হয়েছে, খুশিতে একবছর আর কবিতা বের হয় নাই। আব্বু এতো লেখক-প্রকাশক-সম্পাদককে চিনতো বা আব্বাকে চিনতো। অথচ, সবাই জানে আব্বার একটাই মেয়ে। নাম তাঁর ফারহানা শারমিন তিথি। বাংলার অন্যতম কনিষ্ঠ ঔপন্যাসিক। আমাদের পারিবারিক একটা নিয়ম আছে, তা হচ্ছে তারা তাদের মেয়েদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, ছেলেদের নিজেই এগিয়ে যেতে হয়। আমিও শহীদ বুদ্ধিজীবি ঠসা ডাক্তারের নাতি, আমি এই পরিবারের অন্যতম হয়ে ছাড়বো। (আমিন)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৭