somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রক্তবক্ষৃ : ২

৩০ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই তো দিব্য চাঁদের নিচে লোকালয়ে যে রাস্তা ভূতের মতো হারিয়ে গেল, সেই অন্ধস্বাধীনতা দু হাতে হত্যা করে ঘরে ফিরি। অগোচরে চুম্বন জ্বেলে দেয় পড়ার টেবিলে হলুদ আলো। কখনও দমস্রে বেয়ারা, কমাশির্য়াল বেঁচে থাকা, শিল্প সাহিত্যের খুন জখম, ট্রাউজারে ফিলোসফি ঝুলিয়ে ঘোরা ফেরা রাজপথে ও তোমার সকল পথে, ছাপাখানার ডায়নামিক চরকায় ঘুরে ঘুরে, খসড়া কবিতার অপোয় অনন্ত ঘুমে

দেখি বিষন্নতার ধাতব এসিডে
তুমি আমি এক প্রকপ বাতি
ক্যালেন্ডারের দেয়ালে পুরোনো বাতিক
পোশাক বদলাতে বদলাতে
প্রতিদিন এক একটি ফানুষ
দেখি জঙ্গীদের বিপরীতে
তুমি আমি এক আদুরে বোমা
মিছিলের বিপরীতে তুমি আমি
এক অসাধারণ রাজনৈতিক তৈলচিত্র

তুমি আমিই তো মৃত্যুকে যতো পারি ভালোবাসি, তুমি আমিই তো অধিচেতন মনোবিভাগের প্রদাহ, অটো সাটারে অস্তিত্বের প্রোটেট। স্নেহ ও প্রেমের হেতুবাদ। লিবিডো ও কামে, সিনথেটিক হরমোনে জোয়ার ভাটার আজন্ম পারাপার। ভালোবাসার বিপরীতে পড়ে থাকা রিপুর জঞ্জাল।

দেখি অস্তিত্ব, প্রজনন, আর ধ্বংসে
কেটে যায় ঈশ্বরের খসড়া যাপন-জীবন
হিংস্র হয়ে ওঠে হাতের প্রতিটি কর
আশার দাবানলে পোড়ে
প্রতিটি প্রতিবন্ধি মানুষ

দেখি ঘুম-নির্ঘুম ছাড়া
কোন বিকল্প তন্ময় মানুষের নেই
ভেসে ওঠে মৃত্যুর স্মৃতিচিহ্নে
আয়নায় তোমার আমার তমুখ মুখ
দেখি জেগে ওঠে
ঈশ্বরকে দেখার অমতা।

একদিন আমিই আমাকে আবিষ্কার করি, আবারও মহাকালের মৃত্যু হয়ে গেলে জেগে উঠি ঘুমে। সময় ও অসময়ের বহুবার উড়ে যাওয়া দেখি, জন্মের নামে সিলিন্ডার পাইপে নাইট্রোজেন গ্যাসের প্রবাহ আর নগ্ন সত্তাটার দিকে তাকিয়ে মৃত্যুর ট্যুরিজম। আমরা অবয়ব, অনন্ত, নিত্য আর অপার্থিব। আস্তিত্ব তাকিয়ে থাকে মগজের দিকে, ডুরে মটকায় অর্ধেক লাল, অর্ধেক কালো তসরে অসংখ্য জ্যামিতিক ব্লক প্রিন্ট। অথচ জৈবিক ঘুমে জানিনা মগজের যাতায়ত। অন্ধকারে শোয়ানে বিছানায় মগজের ঝি ঝি ভবিষ্যৎ। কড়া রোদের হলুদে রোগাক্রান্ত শহর আর হলুদ সরিষার নষ্টালজিয়া। সারি সারি ল্যাম্পপোষ্টের হলুদ লাবণ্যের বিপরীতে ঝুলে থাকা সোডিয়ামের নগ্ন দেহ।
তুমি আমি এখন দুপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাইপ্যাডেল, জীবন্ত বয়ে যাওয়া ম্যাগজিন-বদলাই আপনার রঙের সাথে ম্যাচ করে মনের রং, রস, গন্ধ আর স্পর্শে।
আসলে মানুষই মানুষকে পারে নীরব করে দিতে। স্বপ্নের কামড়ে-চুমোর ভেতর হঠাৎ একদিন ফুটে ওঠো শতাধিক নাইট কুইন আর আমিতো দেখি অসংখ্য নায়িকা নীল জোনাকির মতো। ঘুম ভেঙে দেখি পড়ে আছে সভ্যতার নিছক সাজগোজ।

আসলে দীর্ঘ ধ্যন থেকে বেরিয়ে আসলে
কেউ কি প্রশ্ন করবে ?
কোন জৈবিক গুহা থেকে এসেছ?
আর ধীরে ধীরে সজ্ঞানে
খুলে যায় সকল রিপুর সুতো।
নৈঃশব্দই পৃথিবীর মহান মিউজিক
কোন কৃত্তিকা বলে না
উল্টো হয়ে ঝুলে থাকা -সময়ের কাটা

আর মরিচীকা ভেবে যতোদিন হামাগুড়ি
ততোদিন বুঝি হাটতে শিখে গেছি


আত্মহত্যার আগমন বয়ে নিয়ে যায় রেলগাড়ি। নিস্পৃহ স্তন আর ধর্ষণের ঝুলে থাকা দৃশ্যে ছুটেছি ভবিষ্যৎ গহ্বরে, পুর্ণিমার গাঢ় হলুদ জলে, যেখানে

প্রতিদিন প্রতিরাত, প্রতিগাঢ় অন্ধকার
বালুর ছেলেমানুষী প্রাসাদ
আর খোলা বুক, খোলা সাঁতার
যেন সব দেয়ালের আড়ালেই
বাসা বাধে রক্তপুজের সিফিলিস ভালোবাসা

আমি এক একাকি দীর্ঘরেখা, স্রোতের মতো তরল, প্রবল সুখ ও দুঃখের কষ্ট ও নষ্টের নীতি। এলোমেলো ভোগবিলাসে অন্ধকারে হলুদ আলোর ছত্রখান, কুকুরের কান্না, ট্রাকের ট্রাকের শব্দস্রোত আর প্রহরীর জেগে থাকা হুইসেল।

জানি ভুলে যাওয়া ভালো পূর্ণতা, সীমা অথবা সমাপ্তি। মানুষতো চন্দ্রগ্রহণের সময় জেনে যায় আবার কতো পূর্ণিমাইতো ভুলে যায় কতোজন। আর কেউ কেউ প্রশ্নের উত্তরে হেটে চলে মৃত্যুর সুতোয়।
তুমি আমি বাঁচতে বাঁচতে শিখি ভাঙার অভিধান। ভেবে দেখ মিছিলের কোরাসে তুমি আমিই হারিয়ে যাওয়া কণ্ঠস্বর, বিষের বিজ্ঞানে বাঁচার বিপরীতে সেইতো কখনও ওষুধ, আমরাই তো রাসায়নিক প্রেম, পেট্রোল গার্ডের হলুদ আলোতে ধরাপড়া তোমার আমার চিহ্নিত মুখ।

দেখি ঈশ্বর সীমিত করে যায়
মানুষের স্বাধীনতা
দেখি ইতিহাস এক শখবাদ
আমার সমাধি এক অক্ষয়বাদ
আমি যেন ভাঙাচোরা মরাবিড
দেখি কবিতা মাত্রই তুমি আর আমি
সমাধিেক্ষেত্রর বাইনারি দর্শন
অস্তিত্ব এক উদ্বেগ
আর আমিতো এখনও ক্রীতদাস
শেকলের ভালোবাসায়।

পুরো পৃথিবীই রেগে আছে অভিমানে। মৃত্তিকা চলে যাচ্ছে নগ্ন পায়ে, অর্ধচন্দ্র চুড়ির কক্ষপথে আর আমার দিনের হলুদ আলোয় শুয়ে আছে সময়, তাকিয়ে আছে আয়নায় বেদনার সদ্যদেখা রূপসীমুখ।


চলো চোখকেই বলি পেছনে তাকাতে
জলকেই বলি গড়িয়ে যেতে ঠিকানায়
গর্ভের নামে জন্মকেই বলি
প্রাণের পেছনে তাকাতে

দেখি ইউটেরাসে ঘুমিয়ে আছে
যতো অজ্ঞাত ভালোবাসা
দেখি তুমি আমিই ছদ্মনামে ঘৃণা
উথাল পাতাল
শেষে ব্যাধির পারপার।

তুমিই তোমাকে বলো
লুকানো শুন্যতাকে বলো
কতোটা বেঁচে থাকো-মাটির কামড়ে
মাটিকেও গর্ত খুঁড়ে বলো
শব সেবনে
কতোটা বেঁচে থাকে কবরের কীট
তুমিই তোমাকে বলো
কার নাম জপে জপে
ফিরে আসো নিজের ফসিলে।
আমিতো দেখি চোখের ভেতর এক অশরীরী পাপ, ঘৃণার রি রি হলুদ জগতে বিপাকের সচেতন অ্যলকোহল। আত্মকামেই তোমার আমার নিশ্চিত সান্ত্বনা, আকারে প্রকারে জীবন নাট্য

তুমি আমিই তো মৃত্যুর বীজ
প্রকৃতির সহজ নিয়মে
একদিন ভালোবাসা মেখে
ফিরে যাবে ঘরে
আসলে কতোবার গঙ্গার জলে গেলে পবিত্র হওয়া যায়, তুমি আমিইতো অবিদিত কাপালিক। শুধু জানি হোঁচট খেতে খেতে নেপথ্যে যেন কিসের ভিখিরী। কি জানি কোন অস্তিত্বের অপরাধেÑখুনি সেজে গন্তব্য বদলে ফেলি। আমিতো ভাবি প্রাণেরও থাকে সহচর আর আপনাই মৃত বনে যায় কতোজন-

যে পথে হাটে না কেউ
সে পথে বন্যার মতো ফিরে যায়
মৃত মানবের ঢল
কেউ চলে যায় স্বাগতিক ফাঁসিতে ঝুলে
কাউকে ঠেলে দেয়
বয়সের বাঁধানো ছক

সে করোটিতে চোখের নামে
কোটরের ভেতর শূন্যতা ভাসে
সে করোটিতে দৃষ্টির মতো
খুলে যায় রাত
তাই চিতার পথে যেতে যেতে
দেখি রাজপথ পুড়ে ছাই।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৪১
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×