একাধারে বঞ্চিত ও আশাভঙ্গের কারণে এদেশের মানুষগুলো 'নগদ যা পাও হাত পেতে নাও' মন ে দীতি হয়ে প্রতি পাঁচ বছর অন র জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রার্থী হয়ে আসা সওদাগড়দের নিকট থেকে দু'পয়সা রোজগারের চেষ্টা করে থাকে। এতে যৌগম লক হিসেবে যুক্ত হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা নেতৃবৃন্দের নিকট থেকে পাওয়া নৈতিক চরিত্র হননের মন - টাকা যত ইচ্ছে দাও, ভোট কিন্তু ......... মার্কাই দেব। এসুযোগে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নৈতিক চরিত্রের মাঝে ঘটে যাচ্ছে এক বিরাট পরিবর্তন (এমনিতেই সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে যে কাজের জন্য সে বেতন পায় সে কাজ শেষে কোন লোক তাকে 10 টাকা বকশিস দিলে সেটি নেয়াটা অনৈতিক - একথা বিশ্বাস করার মত কর্মচারী সরকারী অফিসে আর নেই বললেই চলে)। আর সওদাগড় প্রার্থীরা ভাবেন এসবতো তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ।
জাতীয় রাজনীতিতে এবং নির্বাচনে সওদাগড়দের আনাগোনা বেশ বাড়ন । সকল দলই তাদের দলে ভেড়ানোর জন্য বরং মুখিয়ে থাকে। সেসুযোগে তারাও দলের ফান্ডে, দলের প্রধানকে, আর যদি দলের অন্য কোন প্রধান থেকে থাকে তাকে কিছু ধরিয়ে দিয়ে নেমে পড়েন নির্বাচনে। নির্বাচন শেষে বিগত আমলগুলিতে দেখা গেছে যে, তাদের প েজাতীয় সংসদে কোন আইন পাশ করানো, অধ্যাদেশ জারী করিয়ে কোন পণ্যের ট্যাঙ্ কমানো আবার বন্দর থেকে পণ্য খালাস হয়ে গেলে অধ্যাদেশটি বিলুপ্ত করানো, বিশেষ কোন পণ্যের পারমিট বা লাইসেন্স বাগানো ইত্যাদি অপতৎপরতায় সওদাগড় সাহেবরা লিপ্ত থাকতেন। সেসকল কর্মকান্ড আপামর জনসাধারণের ও দেশের সার্বিক তির কারণ হলেও জনগণের উপর তার প্রভাব সরাসরি পড়তো না। তবে এজামানায় যা শুরু হয়েছে - সে সওদাগড়দের গড়া সিন্ডিকেট দিয়ে সমস বাজার একোয়ার করে ফেলা হয়েছে। সিন্ডিকেটেড বাজারের প্রভাব গত প্রায় পাঁচ বছর ধরেতো বুঝতে পারছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
তাই আসুন আমাদের নিজেদের স্বার্থে 'নগদ যা পাও হাত পেতে নাও' নীতি পরিহার করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সওদাগড়দেরকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি - সে যে দলেরই হোক। পরিবর্তে কোন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কোন স্কুল শিককেও আমরা বেছে নিতে পারি আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য হিসেবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


