নিশ্চয় নামাজ মানুষকে সৎপথে আনয়ন করে এবং সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। - এ বাণীটি সত্য
এখন কথা হচেছ - কেউ নামাজও পড়লো আবার মন্দ কাজও করলো এবং একাধারে সে এমনটা করে যাচ্ছে। তাহলে তার বেলায় কি হবে? তার বেলায় যেটি হচ্ছে - তা'হল - তার নামাজ সত্যিকার অর্থে নামাজ হচ্ছে না। যদি নামাজ হতো তা'হলে সে লোক মন্দ কাজ করতে পারতো না। ফলে তার নামাজ লোক দেখানো এবাদত'এ পরিণত হচ্ছে। লোক দেখানো এবাদত করার কারণে সে এবাদত একটা সময়ে শির্ক-এ পরিণত হচ্ছে।
বর্তমানে আমাদের দেশে নামাজ পড়ছে এমন লোকের সংখ্যা নিতান্তকম নয়। কিন্তু সৎ লোকের সংখ্যা এত কম কেন? আমরা সাধারণত স্বভাবগতভাবেই অন্যের দোষত্রুটির প্রতি খুব ভালভাবে নজর রাখি এবং সমালোচনা করি। কিন্তু নিজের দোষগুলি আমরা একেবারে স্বীকার করতেই রাজি নই। আর নামাজ পড়লেতো কথাই নেই। তখন অজুহাত হয়ে দাঁড়ায় - আমিতো আল্লাহ্র নিকট মা চাইছি। এভাবে অন্যায় কাজ থেকে বিরত না থেকে নামাজ পড়া আর ক্ষমা প্রার্থনা করাটা আল্লাহ্র সাথে প্রতারণা নয়কি?
এমন অনেক লোক আছেন - যাদের বাসার সবাই নামাজ পড়েন, আবার তাদের বাসার বিদ্যুৎ সংযোগের মিটার রিডার-এর সাথে মাসিক চুক্তি আছে, যত টাকাই বিল হোক (ফ্রিজ, এয়ারকুলার, আয়রণ যত কিছুই বাসায় থাকুক না কেন) 450/- থেকে 500/- টাকার বেশী বিল কোন মাসেই হবে না। এমনটা যে শুধু নামাজিরা করে থাকেন তা নয়, এটা দেশের বড় বড় শহরগুলোতে একটা সাধারণ চিত্র। তবে নামাজিরা করলে সেটি বেশী চোখে পড়ে। তাছাড়া কেউ একজন নামাজ পড়লে তার সাথে যদি কোন ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকেন তা'লেতো সবাইকে নামাজ পড়ানোর এবং বেহেশতে নেয়ার সোল এজেনসিটা যেন তিনিই পেয়ে যান। কিন্তু তার নিজের সাড়ে তিন হাত দেহে ও মনে ইসলাম ও নামাজ কতটুকু কায়েম করেছেন - সে খবর তিনি কখনো রাখেন না।
তাই আসুন, যে কয়জন নামাজী রয়েছেন তাঁরা তাঁদের নামাজের পবিত্রতা রক্ষা করুন। নতুবা সৈয়দ ওয়ালিউল্যাহ্ লাল সালু'র সর্ষের চেয়ে টুপি বাড়িয়ে কোন লাভ নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


