ঐ বিশেষ একটি দিন ছাড়া সাধারণ জনতা কিংবা বুদ্ধিজীবী কেউ ই ঐ বস্তুর খোঁজ রাখেন না। তাই অবহেলায় পড়ে থাকে আমাদের এই জাতীয় গর্ব। আগামীকাল সকাল-বিকাল যেকোন সময় অমর একুশে শহীদ মিনারে গেলে আপনি যে চিত্রটি পাবেন তা হলো-
১. কয়েক ইঞ্চি পুরু হয়ে ধুলো পড়ে আছে, বোঝা যাবে গত এক মাসে কেউ এ জায়গাটি ঝাড়ু দেবার প্রয়োজন মনে করেনি
২. পুরো লাল সিঁড়িগুলো জুড়ে কাকের বিষ্ঠা ছড়ানো
৩. গোটা শহীদ মিনার এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা জুড়ে পড়ে আছে বাদামের খোসা, চিপ্সের প্যাকেট, কাগজের ঠোঙ্গা, হরেক রকম লিফলেটের ছেঁড়া অংশ, কলার খোসা, সিগারেটের ধ্বংসাবশেষ, বিস্কুটের প্যাকেট, ওয়ান-টাইম ইউজ কফি গ্লাস ইত্যাদি
৪. কয়েকজন মানুষ পাবেন (আপনার আমার মতোই) যারা জুতা পড়ে শহীদ মিনারের বেদীতে উঠে গেছে
৫. শহীদ মিনারের স্মৃতি স্তম্ভের পিছনে উলটো হয়ে ঘুরে বসে প্রেমিক-পেমিকারা আড্ডা মারছে
৬. কিছু উলংগ শিশু দোড়াদোড়ি করছে বা বেদীতে বসে ভাত খাচ্ছে
৭. পথশিশু আর ভিক্ষুকরা বিশ্রাম নিচ্ছে বা ঘুমাচ্ছে
৮. এবং একদল আগ্রহী বিদেশী-বিদেশিনী এসবের ছবি তুলছে
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, দোষ দেবার কোন অধিকার নেই আমাদের, কারন আমরাও ওদেরই দলে। হয়তো কোনদিন ওসব কাজ আমরাও করেছি বা করবো। ভুলে যাবো শহীদদের অমর আত্মত্যাগের কথা। কারন এসব কথা দিয়ে আর্টিকেল লিখতে বা বক্তব্য দিতেই ভালো লাগে। বাস্তবে তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরী শহীদ মিনার আমাদের কাছে মূল্যহীন। ঐ একটি দিনে ফুল দিতে যাই আমরা ফ্যাশন করে বা রাজনৈতিক কারনে। আমরা একে অপমান আর অবহেলা করেই বেশী আনন্দ পাই।
১. আমরা কী পারিনা জুতাটা খুলে হাতে নিয়ে শহীদ বেদীতে হাটঁতে?
২. আমরা কী পারিনা আমাদের নিত্যব্যবহার্য জিনিস পত্র শহীদ মিনারে না ফেলে অন্য কোথাও ফেলতে? অন্ততঃ এই শহীদ মিনারকে সামান্য সম্মান করি
৩. বন্ধুদের আর ছোটদের শহীদ মিনারকে সম্মান করার কথা বলতে পারিনা?
আজ বাংলা নিয়ে আমরা গর্ব করি, বাংলায় ইন্টারনেটে লেখালিখি করি, বাংলা সফটয়্যার ডেভেলপ করি, অথচ যদি শহীদ মিনারকে ভুলে যাই, তবে কী বাংলাকে সত্যিকারের ভালোবাসা হলো??
আসুন বাংলাকে ভালোবাসি।
শুধু মুখে নয়, আমাদের প্রতিটি কাজে থাকুক বাংলার প্রতি ভালোবাসা ...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


