দেখো বনে বনে এই ফাগুনে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া
শিমুল পলাশে রাঙা উচ্ছ্বাসে জেগেছে মনের সারা
কোকিলের সুরে নিঝুম দুপুরে পরান উঠেছে দুলি
কে জানে এমন পলাশের বন লাল হয় ফুলগুলি?
পরে কি মনে? কোনো একদিনে এমন ফাগুন মাসে
রফিকের খুন ঝরিল দ্বিগুন মিশে গেল ঘাসে ঘাসে
সে মাটি ফুঁড়ে উঠিল পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়া
শহিদের রক্তে লাল হয়ে ফুল ফুটে আছে জোড়া জোড়া।
কোকিল কেন যে ফাগুন মাসে এমন মধুর ডাকে?
কি ব্যাথা তাহার বুকের ভিতর গোপনে লুকিয়ে রখে?
শফিক যখন মা- মা- বলে কেঁদে উঠেছিল হাঁকি,
সেই কান্নার বেদনার সুর কন্ঠে নিয়েছে পাখি।
সেই হতে পাখি ডেকে ডেকে ফেড়ে ফাগুনের ডালে ডালে
কান্নার সুর মিশে যায় ঐ থোকা থোকা রক্ত লালে।
মায়ের মুখের স্নেহের সুধায় মধুমাখা যত বুলি
শহীদদের রক্তে তাজা হয়ে ফোটে রাঙা রাঙা ফুল গুলি।
কে পারে কাড়িতে মা'য়ের মধুর সুধামাখা ভালবাসা
কে পারে কাড়িতে স্নেহ বিগলিত মা'য়ের কন্ঠের ভাষা।
আজও ভোলে নাই বঙ্গজননী সন্তান হারা ব্যাথা
চারিদিকে তাই ফুলে, ফলে, জলে, পাখি কয় সেই কথা।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




