তোমাদের এই ব্যস্ত নগরে, নাগরিক ক্যাফেতে
চায়ের আড্ডায় হাসি-কৌতুকের ভীড়ে কান পেতে শোন
শুনতে পাবে নগরের অন্দরে, চেনা-অচেনা গলিতে, বস্তিতে
কিংবা বহুতল প্যালেসে চাপা পরে আছে হাজারো দীর্ঘশ্বাস।
ভালবাসার শেষ চিঠি কবে এসেছিল এই নগরে, ঠিক কয়টায়
নাগরিক জানালায় জাহাজের সাইরেন ঠিকই বেজে উঠে ভোর পাঁচটায়।
কান পেতে শুন তবে, শুনতে পবে বেকার প্রেমিকের হাহুতাশ,
প্রেমিকার শেষ চিঠি, নগরীর শেষ ট্রেনে এসে মিশে গেছে যুবকের দীর্ঘশ্বাস
কুয়াশার গহীনে, শব্দের ধুম্রজালে, নগরীর কোলাহলে,
সর্বস্ব হারিয়ে ভরসা হারানো জুয়াড়ির দেওলিয়া চাহনিতে,
শুনতে পাবে বেপরোয়া মাতালের একাকীত্বের হাহাকারে,
গুম হওয়া পুত্রশোকে মায়ের দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে আছে চারপাশ।
শেষ কবে মেঘফুল দেখে হেসেছিল, নগরের পথ-শিশুটি নাগরিক রাস্তায়,
নির্ঘুম রাত্রি শেষে ভোরের রোদ্দুরে রোজ ঠিকই ঢং ঢং বেজে উঠে স্কুলের ঘণ্টায়।
ঝিঁঝি পোকার ডাক আর শিশুর কান্না যে দেশে মিশে একাকার; যেন জীবন্ত জাদুঘর
সে দেশে আমিও হতে চেয়েছিলাম হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা; মনোমুগ্ধকর এক জাদুকর।
----------------------------------------------
নাগরিক কবিতা
২০ই ডিসেম্বর ২০১৬
AGD ডরমিটরি, আন্তালিয়া, তুরস্ক।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯