মন খারাপ থাকলে বিষণ্ম লাগে, নানা কারণে মন খারাপ থাকতে পারে । প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যাথায় মন খারাপ থাকে এটা নিয়ত 'সত্য' সবার জন্য প্রযোজ্য, প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যাথাতে বিষণ্মতা দীর্ঘস্থায়ী হয়না যদি কাঁদেন, কেননা কান্নার সাথে মনবেদনা (বিষণ্মতা) কিছুটা সম্পর্কিত তবে যাদের স্মৃতি প্রখর তাদের স্মৃতিতে মাঝে মাঝে হারানো প্রিয়জন মাঝে মাঝেই এসে জাগরিত হয়, মনটা বিষণ্ম হয়ে উঠে, যারা বেশি আঘাত পান তাঁরা কাঁদতে পারেননা এবং দীর্ঘস্হায়ী মনকস্টে ভুগতে থাকেন। আমি এই কারণটা ছাড়া অন্য প্রসঙ্গগুলি সম্পর্কে একটু আলোচনা করবো ।
অন্য যেসব কারণে মন খারাপ থাকে সেগুলি সাধারণত ঝড়-বৃষ্টি বা বাদলা দিনে মন খারাপ হয় (স্বল্পসময়ের জন্য), সখের জিনিস নষ্ট হলে, কাঙ্খিত ফলাফল না হলে, একা একা থাকলে, কোন বিশেষ খাদ্যের প্রভাবে ইত্যাদি। যদি কেউ বুঝতে পারেন বিষণ্মতার কারন কি তবে তিনি নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, আর যদি না পারেন তখন প্রয়োজন হয় কাউন্সেলিংয়ের । এ ব্যাপারে সাইকোলজিষ্ট, চিকিঃসক, গবেষক গণ নিয়মিত গণমাধ্যম গুলিতে উপদেশ দিয়ে থাকেন, তবে এখানে আমি বিষণ্মতা সম্পর্কে সম্পূর্ন আমার নিজস্ব মতামত (হাইপথেসিস) দিতে চাই, যদি আপনারও এ ব্যাপারে কোন আইডিয়া থাকে শেয়ার করতে পারেন ।
আপনারা সবাই জানেন এবং বোঝেন যে জীবদেহ অনেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে গঠিত । প্রতিটি প্রাণীর দেহে কিছুনা কিছু বিষ সংরক্ষিত থাকে। বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকেও বিষ ব্যবহার করা হয়। তার মানে বিষ আমাদের উপকার করে । অনেক খাদ্যদ্রব্যেও স্বল্পমাত্রার বিষ থাকে । যেমন ভাতের (চাউল) মধ্যে যে বিষ রয়েছে তা নিস্ক্রিয় করার ক্ষমতা রয়েছে মাছের মধ্যে আছে তাই হয়তো আমরা মাছে ভাতে বাঙালী । সাপ ব্যাঙ খায়, এই ব্যাঙের গায়ে যে বিষাক্ত ছত্রাক থাকে তার হয়তো কিছুটা জমা থাকে সাপের থলিতে (অনুমান নির্ভর), তবে সাপ বাকি বিষটুকু কোন খাদ্য থেকে সংগ্রহ করে তা কিন্ত আমি জানিনা। আমাদের শরীরে 'আনটরারেবল' বা অসহনীয় বিষের উপস্থিতিতে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। যেমন পাকস্হলীতে বাশী খাদ্য (ব্যাকটেরিয়া জনিত বা ফুড পয়জনিং) ডায়ারিয়া ঘটায়, নাক দিয়ে বিষাক্ত কিছু প্রবেশ করলে সর্দি হয়, কানে বিষাক্ত কিছু লাগলে ব্যাথা করে, ঠিক তেমনি কিছু খাদ্যের প্রভাবে মস্তিস্কের নার্ভাস সিস্টেমের প্রদাহ বেড়ে মাথাব্যাথা বা হেডাঁচি হয় যা পরবর্ত্তিতে বিষন্নতার কারণ হতে পারে, তাই ছোটখাটো মাথাব্যাথা বা হেডাঁচি হলেই টক-ঝাল জাতীয় মুখরোচক খাদ্য আয়েশ করে খান দেখবেন বেশ ঝরঝরে লাগছে।
কি বুঝলেন ? বুঝাতে পারলাম তো । তবে বলতে চাইছি, লিখতে পারিনা কোন কবিতা কেন ? মনের কথাগুলো লিখতাম পক্তিতে। শুধু পাঠকই বুঝতো আর অন্যরা পাঠ করতো সুন্দর উচ্চারণে । তবে যারা বুঝতে ও পাঠ করতে পারতোনা তারা সেগুলি ব্লগাইতেছিলনা কোনদিন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




