আশঙ্কার কথা প্রথমেই না বলা ভালো। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কোনোভাবেই আশঙ্কামুক্ত থাকছে না। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুত, গ্যাস, জ্বালানী সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি থেকে আমরা কোনোক্রমেই বের হয়ে আসতে পারছি না। আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটবেন উপায় নেই। সেখানেও দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে সুবিধাভোগিরা। বিনা পুঁজিতে বিশাল লাভের খাতে নিরাপদ লগ্নি। মাঝখানে একদিন এক মন্ত্রীর ঘোষণা শুনলাম রাজধানীর রাজপথ ও ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করা হবে। শুনে আশাও জেগেছিল। আশঙ্কাও হয়েছিল। কেননা যিনি ঘোষণা দিয়েছেন আসলে সেটা তো তার কাজ নয়, তার মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। হলোও তাই। ভুল নাম্বারে ডায়াল করলে যা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও একই কথা জানালেন। আসল নাম্বারে ডায়াল করেই কাজ হয় না। আর ভুল তো ভুলই। যানজট, মশা ইত্যাদি তো আছেই। এছাড়া প্রতিদিন মানুষের নানারকম প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির পার্থক্যই বাড়ছে।
আশঙ্কার কথা বলছিলাম কারণ, বেশ কিছু দিন ধরে শুনছি মাত্র দশ হাজার টাকায় ল্যাপটপ পাওয়া যাবে। সেই থেকেই আশায় আছি। কবে কিনতে পারবো। তবে সেসময় অর্থও হাতে থাকতে হবে অবশ্যই। দ্রব্যমূল্যে যে দাম আর বসবাসের যে খরচ বাড়ছে দিন দিন তাতে ল্যাপটপের কি হবে জানি না। তবে নিঃসন্দেহে আশার কথা যে, মাত্র দশ হাজার টাকায় ল্যাপটপ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ আর মালয়শিয়ার যৌথ কারিগরি সহায়তায় ১২ ও ১৫ হাজার টাকার ল্যাপটপ একই সাথে আগামী মার্চের আগেই বাজারে আসছে। দারূণ খবর। আমি আশাবাদী অল্প দামে পাওয়া যাবে ও দেশের জিনিস বলে। সার্ভিস সহ অন্যান্য সুবিধাও হয়তো হাতের নাগালে থাকবে সহজলভ্য হবে। অধিকমাত্রায় মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির সাথে আরো বেশি করে যুক্ত হতে পারবে।
মনে পড়ে টেলিটক নিয়ে হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছিল। অনেক অনেক সুবিধা, অনেক খরচ কম, দেশি মালিকানা, দেশের টাকা দেশেই থাকছে, ভালো সেবার মান ইত্যাদি নানারকম গল্প দিয়ে আশাবাদী করা হয়েছিল জনগণকে। জনগণ হুজুগে হোক আশায় হোক ঝাঁপ দিয়ে ছিল টেলিটকের গাঙে। আমাদেরও একটি টেলিটক সিম আছে।
কিন্তু এখানেও আবার সেই আশঙ্কা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না কি যে সমস্যা টেলিটক ক্রমেই সমস্যা জর্জরিত হচ্ছে। আশঙ্কা না করাই ভালো, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো এটারও হয়তো অচিরেই লালবাতি আমরা দেখতে পাবো। বাজারে তো ইতোমধ্যে এয়ারটেল এসেছে আমাদের টাকা তাদের দেশে নিতে। আরো আনুষাঙ্গিক নিজস্ব চাহিদা পূরণ করতে। তাদেরকে হয়তো বেশি সহযোগিতা করতে গিয়ে এখন আরো বেশি কাটছাট করতে হবে নিজেদের ক্ষেত্রে। আমরা আবার কোনো কোনো জায়গায় একটু বেশি উদার কিনা। আর সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্র তো আর বাড়ছে না, যা আছে তার মধ্যে থেকেই একজনকে বাড়ালে অন্যজনকে তো কমাতেই হবে।
আশা নিরাশার মাঝেই আমাদের চলতে হবে, এটা ঠিক। তবে সম্ভাবনাগুলোকে যখন নিজেরাই করি তখন অন্যক্ষেত্রে আশাবাদী হতে কষ্ট লাগে। কাজেই ল্যাপটপ না জানি আবার কোন গর্তে আটকা পড়ে। হয়তো বাজারে আসবে তারপর যেই লাউ সেই কদু। তবে আমরা আশঙ্কামুক্ত থাকতে চাই। আশঙ্কা বনাম দশ হাজার টাকায় ল্যাপটপ জানি না শেষ পর্যন্ত কে টিকে থাকবে। অন্যান্য সময়ের মতো এবারও আমরা আশাবাদী হয়েই রইলাম।
আশঙ্কার কথা প্রথমেই না বলা ভালো। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কোনোভাবেই আশঙ্কামুক্ত থাকছে না। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুত, গ্যাস, জ্বালানী সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি থেকে আমরা কোনোক্রমেই বের হয়ে আসতে পারছি না। আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটবেন উপায় নেই। সেখানেও দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে সুবিধাভোগিরা। বিনা পুঁজিতে বিশাল লাভের খাতে নিরাপদ লগ্নি। মাঝখানে একদিন এক মন্ত্রীর ঘোষণা শুনলাম রাজধানীর রাজপথ ও ফুটপাতগুলো হকারমুক্ত করা হবে। শুনে আশাও জেগেছিল। আশঙ্কাও হয়েছিল। কেননা যিনি ঘোষণা দিয়েছেন আসলে সেটা তো তার কাজ নয়, তার মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। হলোও তাই। ভুল নাম্বারে ডায়াল করলে যা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও একই কথা জানালেন। আসল নাম্বারে ডায়াল করেই কাজ হয় না। আর ভুল তো ভুলই। যানজট, মশা ইত্যাদি তো আছেই। এছাড়া প্রতিদিন মানুষের নানারকম প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির পার্থক্যই বাড়ছে।
আশঙ্কার কথা বলছিলাম কারণ, বেশ কিছু দিন ধরে শুনছি মাত্র দশ হাজার টাকায় ল্যাপটপ পাওয়া যাবে। সেই থেকেই আশায় আছি। কবে কিনতে পারবো। তবে সেসময় অর্থও হাতে থাকতে হবে অবশ্যই। দ্রব্যমূল্যে যে দাম আর বসবাসের যে খরচ বাড়ছে দিন দিন তাতে ল্যাপটপের কি হবে জানি না। তবে নিঃসন্দেহে আশার কথা যে, মাত্র দশ হাজার টাকায় ল্যাপটপ পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ আর মালয়শিয়ার যৌথ কারিগরি সহায়তায় ১২ ও ১৫ হাজার টাকার ল্যাপটপ একই সাথে আগামী মার্চের আগেই বাজারে আসছে। দারূণ খবর। আমি আশাবাদী অল্প দামে পাওয়া যাবে ও দেশের জিনিস বলে। সার্ভিস সহ অন্যান্য সুবিধাও হয়তো হাতের নাগালে থাকবে সহজলভ্য হবে। অধিকমাত্রায় মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির সাথে আরো বেশি করে যুক্ত হতে পারবে।
মনে পড়ে টেলিটক নিয়ে হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছিল। অনেক অনেক সুবিধা, অনেক খরচ কম, দেশি মালিকানা, দেশের টাকা দেশেই থাকছে, ভালো সেবার মান ইত্যাদি নানারকম গল্প দিয়ে আশাবাদী করা হয়েছিল জনগণকে। জনগণ হুজুগে হোক আশায় হোক ঝাঁপ দিয়ে ছিল টেলিটকের গাঙে। আমাদেরও একটি টেলিটক সিম আছে।
কিন্তু এখানেও আবার সেই আশঙ্কা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না কি যে সমস্যা টেলিটক ক্রমেই সমস্যা জর্জরিত হচ্ছে। আশঙ্কা না করাই ভালো, অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো এটারও হয়তো অচিরেই লালবাতি আমরা দেখতে পাবো। বাজারে তো ইতোমধ্যে এয়ারটেল এসেছে আমাদের টাকা তাদের দেশে নিতে। আরো আনুষাঙ্গিক নিজস্ব চাহিদা পূরণ করতে। তাদেরকে হয়তো বেশি সহযোগিতা করতে গিয়ে এখন আরো বেশি কাটছাট করতে হবে নিজেদের ক্ষেত্রে। আমরা আবার কোনো কোনো জায়গায় একটু বেশি উদার কিনা। আর সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্র তো আর বাড়ছে না, যা আছে তার মধ্যে থেকেই একজনকে বাড়ালে অন্যজনকে তো কমাতেই হবে।
আশা নিরাশার মাঝেই আমাদের চলতে হবে, এটা ঠিক। তবে সম্ভাবনাগুলোকে যখন নিজেরাই করি তখন অন্যক্ষেত্রে আশাবাদী হতে কষ্ট লাগে। কাজেই ল্যাপটপ না জানি আবার কোন গর্তে আটকা পড়ে। হয়তো বাজারে আসবে তারপর যেই লাউ সেই কদু। তবে আমরা আশঙ্কামুক্ত থাকতে চাই। আশঙ্কা বনাম দশ হাজার টাকায় ল্যাপটপ জানি না শেষ পর্যন্ত কে টিকে থাকবে। অন্যান্য সময়ের মতো এবারও আমরা আশাবাদী হয়েই রইলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




