somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম মানুষ করে! প্রেম করে গরু ছাগল

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৃষ্টিকর্তা হয়তো সবার জন্য কাউকে না কাউকে সৃর্ষ্টি করেছেন কিন্তু তার মানে এই না যে সবাই প্রেম করবে। তাছারা প্রেম করার জন্য আলাদা দক্ষতার প্রয়োজন হয়।কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। যেমন রাতুল, কোই থেকে একটা মেয়ের আই ডি নেম নিয়ে এসে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালো তারপর তীর্থ কাকের মত বসে থাকা। খাওয়া বলতে কম্পিউটার ডেস্ক ঘুম বলতে কম্পিউটার ডেস্ক। কত কাঠ কয়লা পুরিয়ে মেয়েটার সাথে রিলেশন করেই ফেললো।দীর্ঘ দু মাস ধরে যে রিলেশন করলো ভাঙ্গতে দু সপ্তাহও লাগলো না।এইতো গতকাল এসে বলল,
- প্রেম মানুষ করে প্রেম করে গরু ছাগল।
আমি বললাম,
-তুইতো করছিস
-হুম, আমি গাধা ছিলাম তাই করছি।
- তারমানে এই রিলেশন টাও শেষ!
- আরে এত প্যারা ভাললাগে! কসম এ জীবনে আর প্রেম করবো না।
আমি জানি সে যদি হাজারটাও কসম কাটে তারপরও প্রেম করবে।নতুন কোন মেয়ে পেলেই প্রেম করবে। ব্যাটা ফাযিল,থাপড়ানো দরকার।
প্রেম করতে তেমন কিছু লাগেনা।শুধু মেয়েদের সামনে আবেগ গুলো খুলে দেখাতে হয়।তাহসানের মত হতে হয়না আবার আমার মত ভীতু হলেও হয়না।আমি দেখেছি, অনেক কুচকুচে কালো ছেলের সাথেও এই সুন্দরি মেয়েগুলো স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাটু পেটকা ছেলের কাঁধেও কিউটের ডিব্বা টাইপ মেয়গুলো দিব্যি হেশে হেশে ঢলে পরছে।অবশ্য এই কিউটের ডিব্বা টাইপ মেয়েগুলো একটু বোকাই হয়।অনেক সাহশ সঞ্চয় করে আমি যখন এই কিউটের ডিব্বা মেয়ে গুলোর সাথে কথা বলতে যাই, অটোমেটিক আমার হাত পেন্টের পেছনে চলে যায়, দেখি আমার মানিব্যাগ হলের রুটি গুলোর থেকেও পাতলা তখন সাহশগুলো কোথায় যে হারিয়ে যায়, কে জানে! তবে পকেটে টাকা না থাকলেও যে প্রেম করা যায় এটা আমাকে দেখিয়েছে সজীব।ব্যাটা দু দিন পরপর ফাঁকা পকেটে ডেটে যায়, ফিরে আসে হাত ভর্তি সপিং ব্যাগ আর খাবারের প্যাকেট নিয়ে।যেন ওর জন্য সব রেডি করায় ছিল। প্রত্যেক ডেটে নতুন নতুন মেয়ে, একটার প্রস্থানতো অন্য একটার পর্দাপন। ব্যাটা পারেও। আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে বলি
-ক্যমনে পারিস তুই? (এমন একটা ভাব করে যেন এর থেকে মজার কথা জিবনেও শোনেনি) হেশে হেশে বলে
-শোন এই মেয়েগুলোকে যখন তুই রিয়েল ভালবাসতে যাবি তখন তোকে টাইম দেবেনা, এদের সাথে খেলতে হয় আবেগ আবেগ খেলা।
সত্যি কি তাই, হয়তো! অন্তত রাজিব আর নিলুর রিলেশন দেখলেতো তাই মনে হয়।চার বছরের সর্ম্পক, একদম ও আমার জানরে ও আমার প্রাণরে টাইপ।ঝগড়া করে রাজিব ফোনটা বন্ধ করে রাখলেই নিলু একদম কেঁদে-কেটে অস্থির। ফোপাতে ফোপাতে এসে বলত, দেখনা ভাইয়া ঝগড়া হয়েছে বলে কি ফোন বন্ধ করে রাখতে হবে, ও কি আমাকে একটুও বুঝবে না!
যত্তসব ফালতু ইমোশন, ও বুঝবে কিনা ওকে গিয়ে বল, আমি ক্যান? আজব! এই আমি কতবার ওদের মিট করিয়েছি।তখনও কি জানতাম এই মেয়ে একদিন এসে বলবে
-ভাইয়া তোমার বন্ধুকে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে দিও। বাবা মা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে,আমি মানা করতে পারিনি। ছেলে আমেরিকায় থাকে।
আমি শুধু আবাক হয়ে শুনেছি কিছু বলতে পারিনি, যদিও অনেক কিছু বলার ছিল সব থেকে বড় কথা একটা থাপ্পর লাগানো দরকার ছিল। ফাযিল মেয়ে, বাবা মার পছন্দ মত বিয়ে করবি তো রিলেশন করছিলি ক্যান! কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারিনি।সত্যি বলতে কি, আমি এতটা শক কখনও হইনি,তখনও না যখন আমার শখের আন্ডারওয়ারটা হারিয়ে ফেলেছিলাম, এমনকি তখনও না যখন ফেল করায় বাবা আমাকে বাড়ি থেকে তারিয়ে দিয়েছিল।এইতো সেদিন রাজিবের সাথে দেখা।চুলগুলো এলোমেলো মুখটা যেন দারি-মুছের জঙ্গল।চোখের নিচে কালি পরেছে আমাবশ্যার অন্ধকারের চেয়েও কালো।সারা শরিরে ময়লা আর্বজনা।মনেহয় কোন গলির মোরে পড়েছিল।নেশা এখনো কাটেনি কেমন তালমাতাল হয়ে হাটছে।কাছে এসে বলল
:দোস্ত ১০০ টাকা দিবি,আমি তোকে পরে দিয়ে দেব। সত্যি বলছি দিয়ে দেব।
ইচ্ছা ছিল ওকে কিছু কথা শুনিয়ে দেই।আরে একটা মেয়ে চলে গেছে বলে এভাবে জীবনটা নষ্ট করে দিতে হবে! বেচেঁ থাকলে কত মেয়ে আসবে/যাবে, কিন্তু আমি বলতে পারিনি। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে কেমন যেন মায়া লাগলো,পকেট থেকে ১০০ টাকা বের করে দিলাম।ও টাকাটা নিয়ে চলে গেল, যাবার আগে বলে গেল
-দোস্ত তোর কাছ থেকে ফাও টাকা নেবনা, একটা উপদেশ দেই। মেয়েদের কাছ থেকে সব সময় দুরে থাকবি এরা খুব ভয়ংকর।যতই সুন্দর হোক কাছে যাবিনা সাবধান খুব সাবধান।
কখনও ভাবিনি এই ছেলেকে এভাবে দেখবো। প্রেম ভালবাসার ঐ মহত্‍ বুলি গুলো উপন্যাসের পাতায় ভাল মানায়।
মাঝে মাঝে মনে হয় প্রেম না করে বেশ ভালই আছি খাচ্ছি, ঘুরচ্ছি, আড্ডা দিচ্ছি। আর যাই হোক অন্তত শান্তিতে ঘুমাতেতো পারছি।পূর্ব আকাশে যখন মেঘ করে মনটা কেন যানি বিষন্ন হয়ে যায়।আকাঁশ ফুটো হয়ে যখন ঝুম বৃষ্টি নামে মনেহয়, ইশ্ এমন কেউ যদি থাকতো যার হাত ধরে বৃষ্টিতে ভিজতাম। তার গাল মুখ বেয়ে বৃষ্টির ফোটা চিবুকে পরতো আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখতাম।ঠিক তখনি কানের কাছে কে যেন ফিসফিস করে বলে,
'প্রেম মানুষ করে! প্রেম করে গরু ছাগল, এসব খেলা আবেগ আবেগ খেলা, এরা ভয়ংকর- সাবধান খুব সাবধান।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×