""নামাজঘরে জুতা নিয়ে ঢুকেছি, কই আল্লাহ আমাকে কী করেছে?"" বললেন চিটাগং নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষিকা অঞ্জলী দেবী।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
হিজাব পরতে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ছাত্রীরা। হিজাব পরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষিকাদের নির্যাতনের পর গতকাল থেকে তারা আন্দোলনে নেমেছে। এদিকে ছাত্রীদের নামাজ পড়তে বাধা দেয়াসহ কর্তৃপক্ষ গতকাল নামাজকক্ষ তালাবদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্রেস কোডের বাইরে তাদের কিছুই করার নেই। যদিও সরেজমিন দেখা গেছে, হিজাব ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ড্রেস কোড মানা হচ্ছে না।
গতকাল সকালে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ছাত্রী হিজাব পরে কলেজ হোস্টেলের সামনে অবস্থান নেয়। উপস্থিত ভীতসন্ত্রস্ত ছাত্রীরা সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।ছাত্রীরা তাদের ওপরচলমান বিভিন্ন নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তারা অভিযোগ করেন, হিজাব এবং নামাজ পড়ার কারণে তাদের ক্লাস, পরীক্ষা এবং ওয়ার্ডে ডিউটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানান, নার্সিং কলেজ নিয়ে কয়েক দিন আগে দৈনিক আমার দেশ-এ এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষের নির্যাতন আরও বেড়ে গেছে। ছাত্রীদের দাবি, মুসলমান হিসেবে তাদের হিজাবপরার অধিকার রয়েছে, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের হিজাব পরতে দিচ্ছে না।
নামাজ পড়া নিয়েও কর্তৃপক্ষ ঝামেলা করছে। তারা জানান, গতকাল সকালে অধ্যক্ষের নেতৃত্বে কয়েক জন শিক্ষিকা তাদের নামাজঘর তালাবদ্ধ করে রাখে। এ সময় শিক্ষিকারা সেখানে রাখা বিভিন্ন ধর্মীয় বই, হিজাব পরা ও নামাজ পড়া নিয়ে কটূক্তি করেন।অঞ্জলী দেবী নামে এক শিক্ষিকা জুতা পরা অবস্থায় নামাজঘরে প্রবেশ করে তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নামাজঘরে জুতা নিয়ে ঢুকেছি, কই আল্লাহ আমাকে কী করেছে?’ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ তাদের বলেছেন নার্সিং করলে নামাজ পড়তে হয় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ফোন করেতাদের সন্তানদের বহিষ্কারের হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।এতে অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেকটা বাধ্য হয়ে হিজাব ছাড়া ক্লাস করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের নোটিশ বোর্ডে, নীতিমালা অনুযায়ী হিজাব পরা ছাত্রীদের ক্লাস এবং ওয়ার্ড ডিউটি থেকে একরকম নিষিদ্ধকরেছে। হিজাব পরা ছাত্রীদের ক্লাস এবং পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে সরেজমিনে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ যে ড্রেসকোডের কথা বলে হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তা অনেক ছাত্রীই মেনে চলে না।
কলেজের ড্রেস কোডেরবিভিন্ন নিয়ম ভঙ্গ হলেও শুধু কেন হিজাব বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের আপত্তি—জানতে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বারবার তিনি ড্রেসকোডের দোহাই দিয়ে হিজাব পরতে না দেয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। অন্যদিকে কলেজের মেট্রন মিনারা খানম জানান, হিজাব পরা মেয়েদের মেডিকেল কলেজে ডিউটি দিতে বিএমএর আপত্তি আছে।
সরেজমিনে ইনস্টিটিউট ঘরে আসা এক মিডিয়াকর্মী জানায়, কলেজ কর্তপক্ষ যে ড্রেস কোর্ডের কথা বলে হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সে ড্রেস কোডও ছাত্রীরা মেনে চলছে না। ড্রেস কোডে মেয়েদের পেছনে বেল্ট সম্বলিত কালো সু পরিধানের কথা বলাহলেও পুরো ক্যাম্পাসে সু পড়া ছাত্রীর দেখা মেলেনি। কলেজ ড্রেস কোর্ডে কোমরে বেল্ট পড়ার বিষয়টি থাকলেও কোন ছাত্রীকে সেটি পড়তে দেখা যায়নি। এমনকি মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডিউটিরত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদেরও ড্রেস কোডের এসব বিষয় পালন করতে দেখাযায়নি।
শুধুমাত্র হিজাব পালনের ক্ষেত্রেই কতৃপক্ষের ড্রেসকোডের দোহাইএ লজ্জা রাখবেন কোথায় বন্ধুরা?
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।
আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.
গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন
=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=
©কাজী ফাতেমা ছবি
বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন