বাংলাদেশের কু্খ্যাত প্রতারক মিরপুরের ডোল্যান্সার রোকন সত্যি সত্যি প্রমাণ করে গেল যে এই দেশের আহাম্মক মানুষগুলোর নিকট থেকে কত সহজে টাকা মেরে উধাও হওয়া যায়। ডোল্যান্সার নামের তথাকথিত এক আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে সে শুরু করেছিল এমএলএম ব্যবসা। ইতিমধ্যে সে ৭০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অবশেষে ফুররুত দিয়েছে! এবার লোভী বাঙালী শিক্ষা পেলে হয় যে বড়লোক হবার শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই! যাহোক রোকন তল্পিতল্পা নিয়ে পগার পার হয়েছে। সে শুক্রবার থেকে পলাতক। শত শত প্রতারিত হওয়া লোক মিরপুরে তার শশুরবাড়ি ঘিরে রেখেছে।
খবর:
লাখ লাখ গ্রাহককে পথে বসিয়ে ইন্টারনেটে উপার্জনের নামে চালিয়ে যাওয়া এমএলএম কোম্পানি ‘ডোল্যান্সার’ -এর মালিক রোকন ইউ আহাম্মেদ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। টাকা হারানো প্রতারিত গ্রাহকরা রোকনকে না পেয়ে শুক্রবার রাত থেকে রাজধানী মিরপুরের পীরেরবাগে তার শ্বশুর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছেন। টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কয়েকশ’ গ্রাহক সেখানেই অবস্থান করছিলেন। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েছে প্রতারক রোকন।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রতারিত শত শত গ্রাহক পীরেরবাগে রোকনের শ্বশুরের ভাড়া করা ২৩২/২ নম্বর বাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একদল চলে গেলেও অন্যদল যাওয়া-আসা করছেন। কয়েকজন গ্রাহক গতকাল শনিবার রোকনের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। কলাবাগান এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি অফিস খুলে এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটির ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮শ’রও বেশি গ্রাহক রয়েছেন। প্রতারিতরা জানান, ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ঘরে বসে আয় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে গড়ে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে টাকা নেয়া হয়েছে। নতুন গ্রাহক ধরার জন্য এখানে রয়েছে এমএলএম এর সেই পরিচিত ‘ডান-হাত’ ‘বাম-হাত’ নামক কৌশল।
মূল খবর : পড়তে এখানে ক্লিক করুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





