দিগন্ত শেষে কোন এক দেশে
ছিল এক রাজকন্যা,
রূপেতে যেমন গুনেতে তেমন
ছিল সে অনন্যা।
রাজার অনেক ধন বড় তার মন
ফেরেনা কেউ খালি হাতে,
রানীর বড় মান থাকতে দেহে প্রাণ
গলে না কিছু হাত হতে।
এক দিন রাজা ডেকে মন্ত্রী-প্রজা
বলে, "কর আয়োজন,
দেশ যত আছে পাঠাও সবার কাছে
আমার নিমন্ত্রন।
একমাত্র মেয়ে দিতে হবে বিয়ে
না থাকে যেন ত্রূটি",
রাজ্যের জনতা আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা
আনন্দে খা্য় লুটোপুটি।
একদিন যবে বিশ্রামে সবে
রাজকন্যা সরবর তীরে,
ছা্য়াসুশীতল সরবর জল
সমীরন বহে ধীরে।
হঠাৎ কোথা হতে যুবক লাঠি হাতে
দাড়ায় এসে সামনে,
বলিষ্ঠ দেহ নেই সন্দেহ
অপলক দৃষ্টি নয়নে।
রাজকন্যা কহে, "তুমি বাপু কেহে?
কেমনে আসিলে হেথায়"?
উত্তরে যুবক, "আমি মেশপালক
পিয়াস মেটাতে চাই"।
"তবে করে জল পান কর প্রস্থান,
এখানে কেন দাড়িয়ে"?
"দেখছি আমার জীবন বুঝেছি মরণ
এসেছে কাছে ঘনিয়ে"।
"এমন কেন বল কোথায় কি হল
পারিনি তো কিছু বুঝতে"?
"জানিনে স্বর্গ কোথা কি সূখ আছে সেথা
কেমন আনন্দ অনুভূতে!
আজকে যে ক্ষণে চেয়েছি তব পানে
ভুলেছি জলের পিপাসা,
যতবার দেখি ফেরাতে নারি আঁখী
ভরে মন, হারায় সকল ভাষা"।
"আমি রাজার কুমারী বল কি গুণ বিচারী
করব তোমায় বরণ?
জানে যদি রাজা জান কি হবে সাঁজা?
নিশ্চীৎ মরণ"!
"এ সাধের জীবন সময়-ভেলায় ভ্রমণ
মৃত্যু- চির বিশ্রাম,
জন্মেই কেহ হয়না রাজা নাইবা কেহ জন্মেই প্রজা,
এ সবই কর্মের পরিনাম।
সত্য-সততা নির্ভয়-একাগ্রতা
এইই আমার বল,
যদি কর সম্মতি নিবেদন করি রাজার প্রতি
নই ভীরু আমি, নই দুর্বল।"
"পাত্র তুমি মন্দ নও তবু বলি, কেন চাও
আমায় বিবাহ করতে?
কত নারী ভবে তবে কি রাজ্যলোভে-
পারবে কি বুঝায়ে বলতে?!
"আমি নই ভিখারী না দয়া গ্রহণ করি,
শ্রমে উপার্জণ করে খাই।
যা দেখে হয় মনে পেয়েছি খুঁজে জীবনের মানে
তা হৃদয় দিয়ে জয় করতে চাই।"
"তবে শোন অচীন কুমার আজ হতে এ মন তোমার,
আন অধীকার পিতা হতে।
শুনি আজ মোর গানে বাজে তব সুর তানে,
মোর পথ হারায়েছে মিশে তব পথে।"
"হে রাজার কুমারী মম প্রাণেশ্বরী
শোন বলে যাই,
তুমিহীনা জীবন আর রাজদণ্ড মরণ
আজ সমান উভয়।
তারপর......
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





