somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

DOVE চার্চের কোরান পোড়ানোর পরিকল্পনায় ক্ষ্যেমা দান

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমেরিকার ফ্লোরিডার গেইন্সভিল শহরের এক চার্চ ক্ষুদে হলেও পরিকল্পনা করেছিল বিশাল। এই ৯/১১ এর দিনে নবম বার্ষিকীতে কোরান পোড়ায়ে ঐ দিনের হামলা এবং মৃত্যুর স্মরণ করবেন তাঁরা। তাঁদের শোককে প্রতিহিংসার আগুন বানিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে দিবে এই হলো পরিকল্পনার সারকথা। কিন্তু বিধি বাম। সেই রামও নাই, অযোধ্যাও নাই। বেআক্কেলে ও বেহিসাবী ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে আমেরিকার দশা এখন দাঁতনখভাঙ্গা বুড়ো সিংহের মত। ওয়র অন টেরের উত্তেজনায় এই সিংহের উত্তেজিত হতে মন চায় কিন্তু সাথেসাথে ভিতরের গড়বড়ে মালমশলা, কামাইধান্দা ডলারের হিসাবের কথা মনে পড়ে সমস্ত উত্তেজনার মুখে যেন ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে সব উত্তেজনাকে উত্থানরহিত হিমশীতল করে ফেলে রাখে। ফলাফলে প্রথমে আফগানিস্তানের মার্কিন কমান্ডার জেনারেল পেট্রায়াসের আমেরিকান সৈন্য মারা যাবার হুশিয়ারী, পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেটসের অনুনয়-বিনয় এরপরে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ওবামার নিন্দা এবং সবশেষে এফবিআই এর খানাতল্লাশি ও দৌড়ানী দেবার পর ঐ ক্ষুদে চার্চের প্রধান টেরি জোনসকে বাগে আনা সম্ভব হয়। তিনি কোন মতে মুখ বাচিয়ে কোরান পোড়ানোর পরিকল্পনা থেকে পিছু হটার ঘোষণা দেন। দুনিয়া হাঁফ ছেড়ে বড় শ্বাস নেয়।

গত প্রায় মাসখানেক ধরে এ ঘটনায় মিডিয়া প্রতিক্রিয়াগুলো লক্ষ্য করছিলাম। এধরণের প্রতিক্রিয়ামুলক এক প্রতিবেদনের দিকে চোখ আটকেছিল আমার যার অনুবাদ করে এখানে এখন পাঠকের সাথে তা শেয়ার করব। প্রতিবেদনের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটা চার্চের বিরুদ্ধে চার্চের অবস্হান মুলক। প্রতিবেদন লেখক নিজেই খ্রীষ্টিয় মেথডিষ্ট চার্চের সঙ্গে যুক্ত তবে একাডেমিক থিওলজিষ্ট বা ধর্মতত্ত্ববিদ। পাঠককে খেই ধরিয়ে দেবার জন্য, প্রথমে লেখক ও তাঁর মেথডিষ্ট চার্চ নিয়ে একটা সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে নিব এরপর, মুল অনুবাদ পাঠে নিয়ে যাব।

মেথডিষ্ট চার্চ বা মেথডিজমঃ
দুনিয়া জুড়ে প্রটেষ্টান্ট মুভমেন্টের সময়ে, ১৭২৯ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটা গ্রুপের হলি ক্লাব নামে সংগঠিত হয়েছিল। তাঁরা নতুন কায়দায় খ্রীষ্টিয় ক্রিয়াকর্মাদি ও ধর্মীয় পাঠ-পড়াশুনার শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের সে তৎপরতার খুবই সাচ্চা নিয়ম মাফিক মেথডিষ্ট তৎপরতা বলে তাঁরা মনে করত, বিধায় পরবর্তীতে তা মেথডিষ্ট ধারার চার্চ নামে আবির্ভুত হয়েছিল। এদের তৎপরতার বৈশিষ্টসুচক দিক হলো, এরা একাদেমিক এবং সেই একাদেমিক তৎপরতাকে আমাদের মাদ্রাসার মত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার রূপ দিয়ে ফেলতে পেরেছিল। আরও পরে ১৯৬৮ সালে আর এক খ্রীষ্টিয় ফ্যাকড়া বা ধারা Evangelical United Brethren church এর সাথে যুক্তভাবে মার্জ হয়ে নতুন নাম United Methodist Church ধারণ করে। আমেরিকাসহ ৫২ টা দেশে বর্তমানে প্রায় ১২৫ টার মত প্রাতিষ্ঠানিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আর ১৪টা সেমিনারী (খ্রীশ্চান ধর্মতত্ত্ব পড়াশুনার স্কুল) United Methodist Church এর অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে। সেইসাথে এদের দুইটা প্রকাশনা সংস্থাও আছে।
এমন এক সেমিনারী হলো আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার ডারহাম শহরের ডিউক ইউনিভার্সিটির অধীনে পরিচালিত Duke Divinity School । এখানে যার লেখা আমি আপনাদের সামনে অনুবাদ করে হাজির করছি তিনি Duke Divinity School এর সদ্য নিয়োজিত ডীন Richard B. Hays।
এখানে অনুবাদের সময় আক্ষরিক অনুবাদের বদলে ভাবের অনুবাদের দিকে মনোযোগ দেয়া হয়েছে। এতে ভুলত্রুটির সব দায় আমার। পাঠক মুল ইংরেজি পাঠের সাথে মিলিয়ে পড়তে চাইলে নীচের লিঙ্ক থেকে মুল লেখা সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
লেখাটা খ্রীষ্টিয় ধর্মতাত্ত্বিকের হাতে সে বয়ানে লেখা। একথা মনে রেখেও একটা ম্যাসেজ টেক্সট হিসাবে পাঠক পাঠ নিতে পারেন।
_________

ডাবলু ডাবলু জে ডি? কোরান পোড়ায়েও না
যেখানে বই পোড়ানো হয়
দেখো, শেষে একদিন সেখানে তাঁরা মানুষও পোড়াবে
- হেইনে

শুক্রবার ১৩ আগষ্ট ২০১০
ডারহাম, নর্থ ক্যারোলিনা – ফ্লোরিডার গেইন্সভিল এর এক ছোটখাট চার্চ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর কোরানের কপি পোড়ানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। তামাশাটা হলো, ঐ চার্চের নাম Dove World Outreach Center, [Dove শব্দের খ্রীষ্টিয় অর্থ গডের পবিত্র ভাবের (spirit) প্রকাশ, অথবা অন্য অর্থে, সংঘাতের পথ এড়িয়ে চলা শান্তির সমর্থক -অনুবাদক]। এভাবে তারা নয় বছর আগের ওয়াশিংটন ও ন্যুইয়র্ক এ টেররিষ্ট আক্রমণের ঘটনাকে প্রতিহিংসা মাখিয়ে স্মরণ করতে চায়। ঘটনাচক্রে, এই খবর যখন আমার কানে আসে তখন আমি এক কনফারেন্সে যোগ দিতে জর্মানির বার্লিনে – আর সেকারণেই এখবর আমাকে প্রবল বেগে নাড়া দিয়েছিল।

ঐ দিনই আগে, আমি বার্লিনের হাম্বোল্ডথ ইউনিভার্সিটির উল্টোদিকে বেবেলপ্লাৎস নামে এক চৌরাস্তার গোলচত্তরে দাড়িয়েছিলাম। বেবেলপ্লাৎস এর মাঝখানে রাস্তার পাড়ের সাথে ভাল করে আটকানো এক স্বচ্ছ আয়তকার আলোছড়ানো স্ফটিক আছে। ওর কাঁচের ভিতর দিয়ে তাকালে আপনি দেখবেন নীচের মেঝেতে অনেকগুলো বই রাখার তাক কিন্তু তাকগুলো সব একেবারে খালি।

সাদামাটা তবে নড়াচড়া করা এই স্মৃতিস্মারকটা ১৯৩৩ সালের ১০ মে স্মরণে। ঐদিন নাজী প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী জোসেফ গোয়েববলস ইহুদি লেখকদের বই পুড়ানোর এক উৎসব আয়োজন করেছিল, অবশ্য ঐ বইগুলোর সাথে অন্য লেখকদের রচনাকাজও অন্তর্ভুক্ত ছিল যেগুলোকে ‘ভুল’ চিন্তাভাবনা বলে হিটলার আগেই ঘোষিত করেছিল। অতি উচ্ছসিত কুখ্যাত রাজনৈতিক পুলিস বাহিনী SS এবং হিটলারী তরুণদের সমাগমে ঐদিন বই পুড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল , প্রায় ২০,০০০ বই সেই বিভীসিকার দিনে বেবেলপ্লাৎসের চত্তরে পুড়ানো হয়েছিল জর্মানির বাঘা বিদ্যানদের ছত্রছায়ায়।
[SS মানে সিকিউরিটি স্কোরার্ডন, জর্মান শব্দ Schutzstaffel এর সংক্ষিপ্ত রূপ। - অনুবাদক]

সে সময়ের বেবেলপ্লাৎসের চত্তরে এক পাথর খন্ডে বাণী খোদাই করে লেখা থাকতে দেখা যেত। ওটা জর্মান কবি হেইনরিখ হেইনের একটা বাণী। বাণীটা এরকম, “যেখানে বই পোড়ানো হয় দেখো, শেষে একদিন সেখানে তাঁরা মানুষও পোড়াবে”। হেইনে এই বাণী রচনা করেছিলেন ১৮২০ সালে। এর ১১৩ বছর পর, তাঁর এই অন্তর্দৃষ্টি ফলেছিল। এবং নাজীদের হাতে, সেদিন বই পুড়ানোর মচ্ছবে হেইনের নিজের লেখা রচনাকর্মও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বার্লিনের জনগণের দুঃখজনক সেই পুরানো পাপের লজ্জার স্মরণস্মৃতি, সদ্য দেখা শেষ করার পরেপরেই ফ্লোরিডার পরিকল্পিত বই-পুড়ানোর সংবাদ শুনে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। এই পরিকল্পিত অঘটন আমাদের সময়ের ক্রুদ্ধ ক্ষোভের চিহ্ন ও লক্ষণ মনে করে আমি ভীত হয়ে পড়েছিলাম।

আমেরিকার বহু খ্রীশ্চান লিডার তাৎক্ষণিকভাবে ফ্লোরিডার ক্ষুদে চার্চের ঘৃণ্য অসুস্থ খায়েসের পরিকল্পনার সাথে সংসর্বতা নাই জানিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছেন। সাউথ ব্যপ্টিষ্ট কনভেনশনের এথিক্স ও ধর্মীয় মুক্তি কমিশনের পরিচালক রিচার্ড ল্যান্ড এই পরিকল্পনাকে “কদর্য রুচিহীন ও মগজশুণ্য” কাজ বলে মন্তব্য করেছেন।

বিভিন্ন সংবাদ রিপোর্টগুলোও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বহুবিধ কারণ দেখিয়েছেঃ মুসলমানদের বই পোড়ানো আমেরিকার নিজ আদর্শ বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা বিরোধী; এই তৎপরতা সারা বিশ্বে খ্রীশ্চান ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে; ক্রীশ্চানরা যদি কোরান পোড়ায় তবে শিঘ্রী আমরা দেখব মুসলমানেরাও বাইবেল পোড়াচ্ছে। (এই শেষ পয়েন্ট টা মনে হচ্ছে গোল্ডেন রুলের উপযুক্ত বাস্তব প্রতিফলঃ কারও সাথে কোন খারাপ আচরণ কর না, কারণ যদি তুমি তা কর তাহলে ঠিক যে রাস্তা তুমিই দেখিয়েছ সেই রাস্তা অনুসরণে তুমি এবার পাটকেল খাবে।)

আসলে ঘটনা হলো, যীশুর অনুসারীদের কাছে তাদের শত্রুরও বই না পোড়ানোর পক্ষে আরও গভীর কারণ আছে, এই কারণ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের মত অবিচ্ছেদ্য।

যীশুর ঘনিষ্ট সহচর পল, করিন্থ নগরীতে গস্পেলের বিরোধীদের মোকাবিলা করছিলেন; তিনি জোর দিয়ে বলছিলেন, “যে অস্ত্র দিয়ে আমরা লড়ি তা বাস্তব দুনিয়ার অস্ত্র নয়"”। সহিংসতার পথ অবলম্বনের বদলে খোলাখুলি সত্য বয়ান পথ অবলম্বন করে তিনি “তর্কে পরাস্ত” এবং “অপ্রতিরোধ্য চিন্তার প্রতি আকর্ষণ” তৈরি করেছিলেন।

তাঁর কাছে, বলপ্রয়োগ অথবা ছলাকলার উপায় অবলম্বনের মানে হলো, যে শক্তির তিনি মোকাবিলা করছেন তাকেই নিজের ফাঁসির দড়ি হিসাবে নেয়া। তাঁর কালাম কেবল মাত্র পরিস্কার ও প্রশান্তির উচ্চারণেই পথেই নিজের আত্মরক্ষা করতে পারে। ন্যাশনাল হিসপ্যানিক খ্রীশ্চান লিডারশীপ কনফারেন্সের এঞ্জেল নুয়েন্থস যেমন তাঁর অনুভব প্রকাশ করে বলেছেন, "স্বর্গীয় গুণে ভালবাসতে পারা হলো খ্রীশ্চানিটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র"”।

একইভাবে, সমারিতান গ্রাম যীশু ও তাঁর অনুসারীদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাঁদের প্রতি যীশুর প্রতিক্রিয়া বিষয়ে সেন্ট লুকের গস্পেলে (আক্ষরিক অর্থ, প্রশ্নাতীত সত্য। যীশুর জীবন ও শিক্ষা সম্পর্কে শিষ্য লুকের বয়ান। ) যেমন এক কাহিনী আছে। শিষ্য-সহচর জেমস ও জন যীশুকে জিজ্ঞাসা করেছিল, “লর্ড, আপনি কী চান আমরা আগুন কে হুকুম দেই যে সে স্বর্গ থেকে এসে এঁদের পোড়ায়ে ফেলুক?” কিন্তু যীশু তাঁদের নাকচ করে বললেন (লুকের গস্পেলের কিছু প্রাচীন পান্ডুলিপি মতে), “না, তোমরা জান না, তোমরা কী ভাবের (spirit) অন্তর্গত” (লুক ৯; ৫১-৫৬)

আমি ভয়ে শঙ্কিত যে, Dove World Outreach Center এর আমার খ্রীশ্চান ভাই বোনেরা জেমস ও জন এর মত; এঁরা জানে না তাঁরা কী ভাবের অন্তর্গত। যদি তাঁরা কোরান পোড়ায় তবে তাঁরা গোয়েববলসের ভাব অনুসরণে আচরণ করবে। ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে এই রাস্তার গন্তব্য কোথায়। যদি তাঁরা যীশুর কথা শুনতে চায়, তবে মানবে এই রাস্তা শত্রুর বিরুদ্ধে স্বর্গ থেকে আগুন কে নেমে আসার জন্য দোয়া করা নয়। বরং এই পথ হলো, সত্যের পক্ষে খোলাখুলি বয়ান করে গস্পেল (প্রশ্নাতীত সত্য) এর উপর দখল অর্জন – ধৈর্য ও সহনশীলতার ভাব এর পক্ষে তৎপর হও, নষ্ট থেকে ভালোর পথে ফেরৎ আস, যারা তোমাকে আঘাত করেছে তাঁদের জন্য দোয়া কর। এটাই যীশুর ভাব(spirit)।

আমি দোয়া করি, গেইন্সভিলার নাগরিকদেরকে যেন আগামীতে কোনদিন বার্লিনের বেবেলপ্লাৎস এর মতন কোন স্মৃতিস্মারক বানাতে না হয়।

Richard B. Hays is the dean of Duke Divinity School.
Click This Link
১৪টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×