এমএলএম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে চলতি সপ্তাহে পাস হচ্ছে ডাইরেক্ট সেল আইন। কোনো এমএলএম কোম্পানি আইনের কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদ- এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে এমএলএম ব্যবসায় অদৃশ্য গাছ জাতীয় ব্যবসা নিষিদ্ধ হচ্ছে। এ ধরনের কোনো অনৈতিক কাজ করলেই দেয়া হবে শাস্তি। একই সঙ্গে আইন পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমানে যেসব কোম্পানি ডাইরেক্ট সেল ব্যবসায় জড়িত,
তাদের আইন জারির ৯০ দিনের মধ্যে নিবন্ধকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এ সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস, বাংলাদেশের (আইসিএবি) মতামত নিয়ে আইনের খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় এটি পেশ করা হয়েছে। এটি পাস হলে এবং আইনটি কার্যকর হলে দেশের এমএলএম ব্যবসায় শৃঙ্খলা আসবে।
সূত্র জানায়, দ্রুত ধনী হওয়ার লোভ দেখিয়ে এমএলএম ব্যবসা করছে অর্ধশতাধিক এমএলএম কোম্পানি। এমএলএম আইন পাস হলে দ্রুত ধনী হওয়ার লোভ দেখিয়ে আর মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা করা যাবে না এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করা যাবে না কাউকে। এমএলএমের নাম ভাঙিয়ে বিক্রি করা যাবে না কোনো অবস্তুগত বা অলীক পণ্য। সময়ের ধারাবাহিকতা বা পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিপণনযোগ্য হবে এমন পণ্য বা সেবাও নিষিদ্ধ করা হবে।
এমএলএমে শুধু বস্তুগত পণ্য বিক্রি করা যাবে এবং এসব পণ্যে মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এ মোড়কে আবার পণ্যের উৎপাদক, পরিমাপ, ওজন, সর্বোচ্চ খুচরামূল্য, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে।আইনটি পাস হলে এটি হবে ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১২। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা আইনের এ খসড়ায় ১৩টি অধ্যায়, ৫০টি ধারা ও দুটি তফসিল রয়েছে। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর পিরামিডসদৃশ বিক্রয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে।
আইনটির খসড়ায় বলা হয়েছে, ভারত, চীন, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এমএলএম ব্যবসা পরিচালনার সুনির্দিষ্ট কঠোর আইন বা নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশে তা নেই। অথচ এ ধরনের ব্যবসা বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে। নেপথ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর একশ্রেণীর ক্ষমতাধর কর্তার সহযোগিতা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।সূত্র জানায়, যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (রেজসকো)
থেকে নিবন্ধন নিয়ে এবং এমনকি নিবন্ধন ছাড়াও অনেকে এমএলএম ব্যবসা করছে। এগুলোয় কোনো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে তারা হয়রানি ও প্রতারণা করছে জনগণের সঙ্গে। অনেক কোম্পানি গচ্ছিত অর্থ আত্মসাৎ করেও মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। এ অবস্থায় এমএলএম ব্যবসাকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা জরুরি। খসড়ায় বলা হয়েছে, ১০ বছর আগে ১৬টি থাকলেও ২০১০ সাল নাগাদ ৭০টি কোম্পানি
এমএলএম রেজসকোতে নিবন্ধিত। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রেজসকো বর্তমানে নিবন্ধন বন্ধ রেখেছে।
দেশে বর্তমানে এমএলএমের নামে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, সমবায় সমিতি, পর্যটন ও হলিডে প্যাকেজ, আবাসন ও বনায়নের পাশাপাশি ভেষজ এবং হারবাল, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ এবং গৃহস্থালি ও নিত্য ব্যবহার্য পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা হচ্ছে।
এমএলএম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আইন অদৃশ্য ‘গাছ’ বেচলে শাস্তি
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।