somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এমএলএম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আইন অদৃশ্য ‘গাছ’ বেচলে শাস্তি

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এমএলএম ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে চলতি সপ্তাহে পাস হচ্ছে ডাইরেক্ট সেল আইন। কোনো এমএলএম কোম্পানি আইনের কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদ- এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে এমএলএম ব্যবসায় অদৃশ্য গাছ জাতীয় ব্যবসা নিষিদ্ধ হচ্ছে। এ ধরনের কোনো অনৈতিক কাজ করলেই দেয়া হবে শাস্তি। একই সঙ্গে আইন পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমানে যেসব কোম্পানি ডাইরেক্ট সেল ব্যবসায় জড়িত,



তাদের আইন জারির ৯০ দিনের মধ্যে নিবন্ধকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এ সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস, বাংলাদেশের (আইসিএবি) মতামত নিয়ে আইনের খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় এটি পেশ করা হয়েছে। এটি পাস হলে এবং আইনটি কার্যকর হলে দেশের এমএলএম ব্যবসায় শৃঙ্খলা আসবে।




সূত্র জানায়, দ্রুত ধনী হওয়ার লোভ দেখিয়ে এমএলএম ব্যবসা করছে অর্ধশতাধিক এমএলএম কোম্পানি। এমএলএম আইন পাস হলে দ্রুত ধনী হওয়ার লোভ দেখিয়ে আর মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা করা যাবে না এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করা যাবে না কাউকে। এমএলএমের নাম ভাঙিয়ে বিক্রি করা যাবে না কোনো অবস্তুগত বা অলীক পণ্য। সময়ের ধারাবাহিকতা বা পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিপণনযোগ্য হবে এমন পণ্য বা সেবাও নিষিদ্ধ করা হবে।



এমএলএমে শুধু বস্তুগত পণ্য বিক্রি করা যাবে এবং এসব পণ্যে মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এ মোড়কে আবার পণ্যের উৎপাদক, পরিমাপ, ওজন, সর্বোচ্চ খুচরামূল্য, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে।আইনটি পাস হলে এটি হবে ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১২। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা আইনের এ খসড়ায় ১৩টি অধ্যায়, ৫০টি ধারা ও দুটি তফসিল রয়েছে। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর পিরামিডসদৃশ বিক্রয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে।



আইনটির খসড়ায় বলা হয়েছে, ভারত, চীন, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এমএলএম ব্যবসা পরিচালনার সুনির্দিষ্ট কঠোর আইন বা নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশে তা নেই। অথচ এ ধরনের ব্যবসা বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে। নেপথ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর একশ্রেণীর ক্ষমতাধর কর্তার সহযোগিতা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।সূত্র জানায়, যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (রেজসকো)



থেকে নিবন্ধন নিয়ে এবং এমনকি নিবন্ধন ছাড়াও অনেকে এমএলএম ব্যবসা করছে। এগুলোয় কোনো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে তারা হয়রানি ও প্রতারণা করছে জনগণের সঙ্গে। অনেক কোম্পানি গচ্ছিত অর্থ আত্মসাৎ করেও মানুষকে সর্বস্বান্ত করছে। এ অবস্থায় এমএলএম ব্যবসাকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা জরুরি। খসড়ায় বলা হয়েছে, ১০ বছর আগে ১৬টি থাকলেও ২০১০ সাল নাগাদ ৭০টি কোম্পানি



এমএলএম রেজসকোতে নিবন্ধিত। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রেজসকো বর্তমানে নিবন্ধন বন্ধ রেখেছে।
দেশে বর্তমানে এমএলএমের নামে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, সমবায় সমিতি, পর্যটন ও হলিডে প্যাকেজ, আবাসন ও বনায়নের পাশাপাশি ভেষজ এবং হারবাল, কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ এবং গৃহস্থালি ও নিত্য ব্যবহার্য পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা হচ্ছে।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×