শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিলে সবাই উপকৃত হবে, বিশেষ করে মুক্তিযু্দ্ধের সাথে জড়িতরা ও মুক্তিযু্দ্ধের পক্ষের লোকেরা; কারণ, কোন কারণে যদি হাসিনাকে কেহ সরায়ে দেয়, স্বাধীনতার পক্ষের লোকেরাই বেশী বিপদে পড়বেন; কিন্তু উনি পদ ছাড়লে তা ঘটবে না। হাসিনার প্রতি দেশের অর্ধেকের বেশী মানুষের আস্হা আছে এখন: খালেদা বেগমের প্রতি মানুষের আস্হা কমাতে মানুষ হাসিনার প্রতি ঝুঁকছে; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে মানুষ যথাযথ সম্মান করে না। প্রধানমন্ত্রীর পদ, সন্মানী পদ, এবং বিশ্বের সবার নজরে পড়ে এ পদটি; গত ভোটে খালেদাকে পরাজিত করার দরকার ছিল; কিন্তু শেখ হাসিনার বিজয়ও বিশ্ব সন্মানের চোখে দেখছে না: তারা খালেদা বেগমের জংগী কানেকশন দেখে শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেয়া ঠিক মনে করেছে; কিন্তু তার আইয়ুবী টাইপের আজগুবি নির্বাচন নিয়ে এখনও চিন্তিত; কারণ, তারা জানে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন-আমুদে: মানুষ নির্বাচন থেকে তেমন কিছু আশা করে না, কিন্তু নির্বাচন ভালোবাসে।
বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচন প্রিয়তাকে আমেরিকা উস্কানী দেবে মনে হচ্ছে; শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিলে মানুষ তাকে নিয়ে মাথা ঘামাবে না, নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে; তাতে আমেরিকার উৎসাহ কমে যাবে।
শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের সভাপতির পোস্ট হয়তো আর চেড়ে দেয়া সম্ভব হবে না: ৩৪ বছর পর ঐ পদ কে নেবে? রাশিয়ার কম্যুনিস্ট পার্টির কোন সেক্রেটারীও হাসিনার মত দীর্ঘ সময় পার্টি প্রধান ছিলেন না; হাসিনা বোধ হয়, এ স্বভাবটা উনার বাবা থেকে পেয়েছেন; উনার বাবা প্রধানমন্ত্রী হলেন, প্রেসিডেন্ট হলেন; কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতির পদটি ছাড়লেন না; হয়তো সেটাই মুল কারণ যে, উনার মৃত্যুর পর, আওয়ামী লীগ চুপচাপ বসেছিল; তদুপরি, শেখ সাহেবের ছায়ায় থাকতে থাকতে আওয়ামী লীগে আর নেতা গড়ে উঠেনি; শেখ হাসিনার বেলকায়ও তাই; আসলে৫ বছরের বেশী সভাপতির পদে থাকা অন্যায় ও ভয়ংকর ভুল, কৌশলে নতুনদের পথ বন্ধ করে দেয়া।
নির্বাচন-আমুদে বাংগালী, আমেরিকা ও মোদীর থেকে উসকানী আসার কথা ভেবে, বর্তমান সরকারকে নিরাপদ রাখার জন্য শেখ হাসিনার উচিত প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেয়া, এবং বাহির থেকে সব তত্বাবধান করা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৮