এই তো গোলো ইমোশন , দেশপ্রেম কে আবার আখ্যা দিয়েছি জটিল ইমোশন বলে । ডঃ ইউনুস নোবেল পাইছেন গত ১৩ ই অক্টোবর। দেশের নাম উঠেছে একজন বিতর্কিত মানুষের ঘারে ভর দিয়ে দেশ বিদেশে। ওনার নোবেল প্রাপ্তির বিপক্ষে কথা বলতে গেলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে দেশপ্রেম নিয়ে সংশয়। প্রত্র পত্রিকা তাই দেশ প্রেমের ধুয়ো তুলেছে এবং তুলছে ডঃ ইউনুস কে মগডালে তুলে ফ্লাশের পর ফ্লাশ মেরে মেরে। টিভি নামক জবরজং সব মিডিয়াও সুযোগ পেয়েছে দেশ প্রেম দেখানোর।
গুনিজনেরা বলছেন বিদেশিরা কি ভুল বুঝেছে? অন্য দেশে ওনার গরীব কে গরীব করার ( সরি দারিদ্র নিরসনের) অব্যবসায়ী ব্যবসা র মডেল ফলো করছে কি ওরা ভুল করে? , যাদের দেশ প্রেম নাই তারাই কুৎসা রটাচ্ছে।
হ! বিদেশিদের দিকে মাথা ঘুরিয়ে আমরভ নিজের দিশে কে ভালবাসতে হবে। তাইনা। কেন নিজের দেশে বসে বসে দেখতে পাই যে , চড়া সুদের ভারে কোমড় গুজো করে হাঁটা ঋণাসক্ত মানুষগুলোরে। দেখি যে সুন্দর ব্যবসার আড়ালে নিজস্ব আর্থিক শান্তি নিয়ে শান্তির কিসুন্দর মহার্ঘ্য পেয়ে যায় একজন বহিবিশ্বের মাঝে। সেই ব্যক্তির আপন শান্তির পর্দার আড়ালে অশানিত তে , দারিদ্রে এখনও কষ্ট পাওয়া মানুষগুলোর মনের অশান্তি দেখার মত ক্যামেরা কি বহিবিশ্বের নাক উঁচু দের আছে। থাকলেই কি আর না থাকলেই কি? আমার এত কাছে দেশের ভিতরে ১৪ কেটি মানুষের মেক্সিমাক ই অশান্তির কুঠারে মাথা রেখে দুমুঠো খায় দায় নিত্য , সে তো আমি আপনারা দেখি। পকেটে ১ টাকা নিয়ে আমি ১০০টাকার ফুটানি দেখালেই কি দেশ উদ্ধার হবে, দেশপ্রেম হবে ?
ডঃ ইউনুস নাকি আবার এও বলেছেন নোবেল পাওয়ার পর। ...্তু১৩ই সেপ্টেম্বরের আগের আর পরের বাংলাদেশ এক দেশ না। ্থ হ তাইই তো। নোবেল পাওয়ার পর আমরা দেশেপ্রেম সো করার জটিলতায় ভুগতেছি।
নোবেল পাইছে তাও আবার শান্তিতে , আহা ! আমরা গর্বিত। হয়ে গেল দেশ প্রেম। ওদিকে চুলোয় হাড়ি আছে চাইল নাই। হেগোর দিকে তাকাইলে -- ওতো দুএকটা বিচ্ছন্ন ঘটনা। দেশপ্রেম নাই তাই ওসব বলে বেড়াই। টিপিক্যাল ভাবলেশহীন, আত্ম উন্নয়ন লিপ্সু ও পারদর্শী পলিটিশিয়ান তো দেশে ছড়ানো ছিটানো। ভালই পলিটিকস শিখে ফেলছি আমরা।
দেশে চরম রাজনৈতিক সংকট। এক নেত্রী স্ব্বপরিবারে উমরায় , আরেকজন আমেরকিা। সংলাপের কলে চাবি ঘুরিয়ে গেছেনা। ভীষণ দেশপ্রেম। কাল দেশের কি হবে মাথা ঘামানোর সময় নেই, আজ গদিতে ঘুনে পোকা কেন , মার মার। হে দেশের অপমান, দেশপ্রেম নাই।
নদীতে একজন বাঁধ দিয়েছে অনেক টাকা খরচ করে বর্ষায় । না দিলে জমিতে পানি ঢুকছিল হরহর করে। বেশ ভাল । ভীষণ দেশপ্রেমিক। শীতকাল । পানি কমে গেছে। এখন নদীর পানি আর জমিতে আসতে পারেনা। জমিতে সেচও হয়না। চাষ বন্ধ। এখন কি হবে। সব চাষী মিলে তারে বলল বাঁধ ভাঙ্গ। না সে ভাঙবেনা। তার খরচ হয়েছে অনেক টাকা। সরকাররেও বাঁধের জন্য রাজী করাতেও অনেক তেল পয়সা গেছে। সে অনঢ়। বাঁধ আগলে রাখা ই তার কাছে দেশ প্রেম হয়ে দাঁড়ালো।
কিন্তু ঐ হালার পুত বুঝলনা বাঁধ ভাঙলে পানিতে যে পরিমাণ চাষাবাদ হবে ওমন আরও দশটা বাঁধ দেয়া যাবে। চাষীরা সরকার রে বুঝাইতে চাইল। সরকার কয় বাঁধ ভাঙার নিয়ম নাই। সবাই দেশপ্রেমিক। আইন প্রেমিক। চাষীরা ও শান্তি প্রিয় দেশপ্রেমিক। রাগে যে লোক বাঁধ দিয়েছিল তার বাড়ীর গেটে বড় করে লিখে দিল তার নতুন নাম কে, এম, বাঁধবাঁচান।
২১/১০/২০০৬( মেজাজ বেশী খারাপ হয়েছিল প্রভাতে তাই)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ রাত ৮:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



