23 তারিখ ঢাকায় গিয়ে কখন কি করি, কার জন্য কি শপিং করি, ভাবনা প্যাচ খেয়ে যাচ্ছিলো । ওদিকে আবার 25 তারিখ রাতের টিেিকট কাটালাম ঢাকায় বাসার থেকে লোক পাঠিয়ে। টিকেট ছিলনা। কপাল ভাল একজন ফেরত দিয়ে গেল সোহাগে আমি ফোন করার সময়...ওটাই কাটতে পাঠালাম বাসা থেকে। ভীষণ ক্রাইসিস। সব দলে দলে সাগর দর্শনে আসছে মনে হয় ছুটিতে।
অনেক ভেবে তাড়াতাড়ি যাবার জন্য বিমানের টিকিট করলাম 22 তরিখ বিকেল 4ঃ20 এ। কক্সবাজার থেকে সপ্তাহে দুইবার বিমান ছাড়ে, রবিবার বিকেলে আর বৃহস্পতিবার সকালে। ভাড়া একটু বেশি , হোক ঢাকায় গিয়ে অন্তত একদিন সময় বেশী পাওয়া তো যাবে।
22 তারিখ এল , সকালে ওফিস করে, বিকেলে সময় মতো এয়ারপোর্টে হাজির। ওমা 20 মিনিট অপেক্ষা করার পর কোন লজ্জা শরম নেই, কোন অলটার্নেট ব্যবস্থার কথা নেই, ব্যস বলে দিল টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে ফ্লাইট ক্যানসিল। বেশ কয়েকজন যাত্রী , বলুন তো সবার কি করুন হাল। কি অদ্ভুদ দায়িত্ব কান্ডজ্ঞান হীন আমাদের বিমান বাংলাদেশ। একজন ফরেনার ছিল। ঢাকায় তার আগামীকাল বিদেশে যাবার প্লেন ধরার কথা। কি হীন ভাবমূুর্তি আমাদের দেশের তার কাছে। পয়সাও ফেরত দিলনা সাথে সাথে , আগামীকাল দেবে ওফিস আওয়ারে। আমরা না হয় পরে নিলাম। ঐ ব্যাটা ফরেনার কি করবে বলুন তো?
যা হোক গ্রীন লাইনে রাত 9 টায় টিকেট পেলাম। ঐ ফরেনার কে দেখলাম উঠতে আমার পেছনের সিটে। ঐ ব্যটার সাথে এবার দুটো ফটকা চাইপ বাংগালী ছেলে দেখলাম। 16/17 বছর বয়স হবে। ওনাকে গাইড করছে। আমার পেছনের সিঠে তার লম্বা পা রাখতে সমস্যা হচ্ছে দেখে আমার পাশের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ভদ্রলোক ওনাকে পাশের সিঙ্গেল খালি সিটে বসতে বললেন। উনি যে উত্তর দিলেন তাতে ভদ্রলোক পাশের তো চুপ করলেন ই আমিও হতবাক। অভ্যস্ত নই তো শুনতে। ঐ ফরেনার বয়স্ক লোকটি বলেছিল, নো নো , হি ইস মাই বয় ফেরেন্ডে ( পাশের চ্যাংরা ছেলেটা কে দেখিয়ে) , আই হেভ টু সিট উইথ হিম।
প্লেনে যে উদ্দেশ্যে যাওয়ার প্লান সেই সময় তো বাঁচলইনা, বরং আরও দেরী ই হলো। হায় কপাল। কপালে যে খারাবি আরও ভয়ংকর ছিল তখন কি আর জানতাম। রাত তিনটায় সেহরী করলাম চৌদ্দগ্রামে অফবিটে। স্পষ্ট দেখলাম 3ঃ30 এ গাড়ী ছাড়ল। ...ঘুমালাম। ঘুম ভাঙল সকালে 7টায় তখন ও আমরা কুমিল্লার মধ্যে।
ঘড়িতে 10 তখনও আমরা কুমিল্লা দাউদকান্দিতেই। দাউদকান্দি ব্রীজ পর্যন্ত আসতে চৌদ্দগ্রাম হতে লাগল পাক্কা সাত ঘন্টা , মাত্র 1 ঘন্টা পথ খুব বেশী হলে একচুয়ালী। সে কি বিশাল জ্যাম রাাস্তার দু পাশে। অকল্পনীয়। ব্রীজ এর পর অবশ্য আর জ্যাম পাইনি। যাহোক শেষ পর্যন্ত বাসায় পেঁৗছালাম যখন ঘড়িতে বাজে 11ঃ40। হায়রে বাংলাদেশ , নাকি হায়রে কপাল।
.........
সন্ধ্যায় চাঁদ নিয়ে রাজনীতির খেল দেখতে হলো আবার সেই রোযা শুরুর মত। আরেকবার কপাল চাপরালাম। 25 তারিখ ঈদ । 25 তারিখ আমার রিটার্ণ টিকেট কাটা আছে। ঈদের রাতে আবার সেই লম্বা পথ দিতে হবে পাড়ি। আহা! কপালে আমার ঝাঁটার বাড়ি।
একটা লাভ হয়েছে 24 তারিখ হয়তো শপিং টপিং কিছু করা যাবে।
আচ্ছা সারা পৃথিবীতে একদিনে ঈদ করলে সমস্যা টা কোথায়।
আজও অনেকে এ দেশে ঈদ করেছে , কাল ও করবে(মুফতি আমিনী বলেছেন)। আর আমরা নিরীহরা করব পরশুদিন। কি সেলুকাস ধর্ম তত্ত্ব আমাদের দেশে!!!!!!
@পথিক!!!!!!!/ঢাকা

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

