ভারতের সাথে মিডল ওর্ডারে বাজে দক্ষতা প্রদর্শনের পর অনেক মানুষের মুখে হা হুতাশ ছিল- দেখো আয়ারল্যান্ডের সাথে ঠিকই হাইরা বইবো...
সেই সব মানুষগুলারে জ্যোতিষ ভাবার কোন দরকার নেই, তারা কেবল পূর্ব ইতিহাস থেকে ভয়ের আশংকা করেছিল মাত্র। আমাদের সোনার টুকরো আশরাফুল বাহিনীর নাদান বালক গুলা আশংকাকে বাস্তবতায় নিমজ্জিত করে বুক চেতিয়ে সাঁতার কাটলো আজ অকুল পাথারে।
সেদিনই কিছু লেখার বাসনা উচ্চকিত হৈছিল মনে, সেদিন মানে ভারতের সাথে হারার পর। আশায় ছিলাম..আয়ারল্যান্ড কে তো গুড়িয়ে দেবেই।

কিন্তু হতাশ আমরা ১৫ কোটি বাংগালী। আর সামান্য সংখ্যাক মানুষের দেশ আয়ারল্যান্ডের অনেক নাগরিকই হয়তো এই জেতার খবরে কোন আগ্রই রাখেনা। তবুও ওরা যেতে , বারবার বিশ্বকাপে আমাদের লজ্জাকে আকাশচুম্বি করে দিয়ে।
আসলে বলতে গেলে বেশী বলা হয়ে যাবে, তবুও বলব আমাদের এই টীম টা ২০-২০ এর কোন আদর্শ টীম হয়নি। পুরো দলে মাত্র ফুলফেজ অলরাউন্ডার একমাত্র সাকিব আর little bit মাহমুদউল্লাহ।
তাও মাহমুদউল্লাহার হাতে নেই বাউন্ডারী পার করানোর মত কব্জির জোড়, নেই মুশফিকের হাতে, নেই রকিবুলের হাতে, ব্যটিং পারে না রুবেল...
অন্যদেশের দল গুলোর দিকে তাকান...মারদাঙ্গা ব্যাটসম্যান একটার পর একটা।
বলতে পারেন ...আমাদের মারদাঙ্গা যে গোটা কয়েক বিচ্ছূ ছিল তারা তো নিষিদ্ধ ...কেন আফতাব, কাপালী আর শাহরিয়ার নাফিসরে নাকে খত দেয়াইয়া রাষ্ট্রের স্বাথে ধইরা আনা যাইত না...সরকার চাইলে ঠিকই ওরা আসতে বাধ্য হইত।
তবে ওরা এলেও তেমন কিছু হতো বলা যাবে না, পূর্বের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড এর সাথে সেই হার তার নিদর্শন। তবুও টীম টারে তখণ টি২০এর টীম মনে হতো...এখনকার মত ন্যারাচিতে টীম মনে হতো না।

আসলে আইরিশ ভীতি অন্তরে আমাগোর সোনারটুকরাগো ঢুকে গেছে। অথবা কত কয়েকদিনে অনেকগুলো ম্যাচ খেলতে খেলতে আর হারতে হারতে অভ্যাস আর কাহিল পেয়ে বসেছে।
আসলে পর্যালোচনা করে কিছু হবে না,মনে দুঃখটাই একটু বিলানো ছাড়া।
সবচেয়ে কাজের কাজ হয় ..আশরাফুলরে আন্দামানে তিনমাসের জন্য নির্বাসনে পাঠানো...তাতে যদি বেচারার হুশ হয়...সেও মানুষ ..এত গর্ব গর্ব ঢং এ ব্যাট করার কোন দরকার নেই।
টি২০ বিশ্বকাপ দেখার যে তীব্র আগ্রহ জন্মেছিল...শালা আজ মাঠেই মরা গেলো...আর কোন খেলা প্রাণে সেই বারতা আনবে..আমরা যে নিলাম আজ বিদায় ...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


