মা, সপ্তমবার জন্ম নিয়েছি তোমার গর্ভে
মা, আমি খুশি, তোমাকে মা বলে ডেকে।
মা, আমি এসেছি মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দীর দেহ তুলতে
কিন্তু মা, কখনোই তুলবো না, আমার ছোট্টবেলাতে।
মা, আমি বড় হয়ে তুলতে চাইবো মণীন্দ্র নন্দীর দেহটাকে
মা, ঐ সময়ে কেউ আর বিশ্বাস করবে না আমাকে।
মা, ছোট্টবেলায় মণীন্দ্রর দেহ তোলা ভীষণ সহজ
কিন্তু বড় হয়ে ঐ একই দেহ তোলা ভীষণ কঠিন।
মা, সবাই এখন বিশ্বাস করে, আমি শিশু বলে
কিন্তু বড় হলে, কেউ আর বিশ্বাস করবে না আমাকে।
কোন প্রমাণ পত্র লাগে না ছোট্টবেলায়
অথচ এই মানুষই প্রমাণ চাইবে, আমার বড়বেলায়।
মা, শৈশবে মণীন্দ্রর দেহ তুললে
বড় হয়ে আমাকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
সেই প্রশ্নগুলো নাইবা বললাম তোমাকে
আমি বড় হয়ে তুলতে চাই মণীন্দ্র নন্দীকে।
মা, কত রকমের ঘটনা ঘটবে
সেই সময়কার পৃথিবীতে।
মা, কঠিনতম লড়াইতে
আমাকে জিততে হবে।
তবেই তো মানুষ আমাকে
জাতিস্মর বলবে।
কাশিমবাজার রাজবাড়ির মাটি থেকে
আমি প্রদীপ তুলবো মণীন্দ্র নন্দীকে।
আমার রাজবাড়ির উত্তরাধিকার বিরোধিতা করতে পারে
তবুও আমি মণীন্দ্রর দেহ তুলবো রাজবাড়ির মাটি থেকে।
সবাই মৃত্যুকে ভয় করে
আমি করি না, মৃত্যুর পরেও থাকবো পৃথিবীতে।
যারা যুক্তিবাদী আছে
আমি প্রদীপ, প্রশ্ন করছি তাদেরকে।
যুক্তি আর তর্ক করে
সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না পৃথিবীতে।
আমি সেই রাজা কৃষ্ণনাথ রায় বলছি
কাশিমবাজার রাজবাড়ি, আমার রাজবাড়ি।
পৃথিবীর সব মানুষকে
প্রশ্ন করছি এই মুহূর্তে।
আমি প্রদীপ, মণীন্দ্র নন্দীর দেহ তুলবো
মণীন্দ্রর জন্যে, আমি প্রদীপ জ্বলছি, তোমরা সবাই মিলে দেখো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৫