somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রদীপ হালদার
আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

ভগবান শিব সাধনা

০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনের তোয়াক্কা না করে
ভূতপ্রেত দেখতে আজ আমরা গভীর জঙ্গলে।
গাছগাছালি আর ঝোঁপঝাঁড়ে ভর্তি
গভীর রাতে আমরা মাত্র তিনজন সঙ্গী।
এ গল্প কথা নয়, চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করতে চাই
একজনের হাতে ক্যামেরা বাকি দুইজনের হাতে টর্চ লাইট
এইটুকু আমাদের একমাত্র সম্বল।
না আছে আমাদের ঝাঁকফুঁক মন্ত্রপাঠ
না আছে আমাদের পিঠে দোনালা বন্দুক।
বিহারী টিলা পাহাড়ের জঙ্গলে
ভূতপ্রেতের কেমন উপদ্রব স্বচক্ষে দেখতে।
বুকে আছে সাহস, মুখে আছে ঈশ্বরের নাম
দেখি কত শক্তি তোমাদের তোমরা ভূতপ্রেত জিন শয়তান।
যা ঘটার ঘটবে, তবু যাবো আমরা এগিয়ে
লড়তে নয় বিশ্বাসটাকে গড়তে।
কি আছে ওখানে কারা করে চীৎকার
কত ক্ষমতা তাদের তার হিসাবনিকাশ।
আমরা তিনজন মানুষ আজ গভীর জঙ্গলে
ঈশ্বরের ওপর ভরসা রেখে আমরা চলেছি এগিয়ে।
সফল হওয়া না হওয়া আমার হাতে নাই
ঈশ্বরের ইচ্ছায় এগিয়ে যাওয়া এইকথা বলে যাই।
গাছগাছালি এমনভাবে রেখেছে ঘিরে
চলার পথটুকু পর্যন্ত নাই সেখানে।
কাঁটাগাছে ভর্তি, উপায় নাই যেতে হবে
আমরা চলেছি হামাগুড়ি দিয়ে।
যাওয়া বড় কঠিন, তবু থামলে চলবে না
আমাদের যেতে হবে ভেঙে সব বাধা।
বাঁশ ঝাঁড়ের মধ্যে ঢুকে আর পারছি না আমরা এগোতে
বাঁশ ঝাঁড় যেনো আটকে রেখেছে তার বাহু প্রসারিত করে।
ভয়াবহ বাঁশ ঝাঁড় ভেদ করে চলেছি এগিয়ে সামনে
কোথায় আর যাবো পথ অবরুদ্ধ ভয়ঙ্কর ঝোঁপঝাঁড়ে।
পাহাড়ের টিলায় এখনো পারি নি উঠতে
তার আগেই আটকে গিয়েছি নিবিড় ঝোঁপঝাঁড়ে।
হঠাৎ কানে ভেসে আসে বিশ্রী আওয়াজ
বুঝতে অসুবিধা হয় না এ ভূতপ্রেতের আওয়াজ।
আওয়াজ শুনে শুনে অভ্যস্ত আমরা
আজ আর সহসা বুক কেঁপে ওঠে না।
খুব কাছ থেকে আসছে পরিচিত সেইসব ভয়ানক আওয়াজ
কেমন করে গাছপালার বাইরে যাবো আমরা আছি ভাবনায়।
ঝোঁপের মধ্যে গিয়েছি আটকে, পথ কোথায়
পথ তো নাই, পথ তৈরি করে হাঁটার চেষ্টায়।
ঝোঁপঝাঁড় দুই হাতে সরিয়ে আমরা যাচ্ছি এগিয়ে
পোকামাকড় সাপ যাই থাকুক ভয় ভীতি দমিয়ে।
কাঁটাগাছের ভেতরে গিয়েছি আটকে
ভয়ানক আওয়াজ নাই এইমুহূর্তে।
ভূতপ্রেত জিন শয়তান দূরের কথা
কাঁটাগাছ ভেদ করে আমাদের এগিয়ে যাওয়া।
হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম পেলাম এবার ফাঁকা পথ
কোথায় আছে সেই ভূতপ্রেত জিন শয়তান।
যেখানে কখনো মানুষ ঢোকে না সেখানে
আমরা ঢুকেছি তিনজনে সত্যকে উপলব্ধি করতে।
কারা থাকে রাতের বেলায় জঙ্গলে
কাদের চীৎকার শোনা যায় এসেছি জানতে।
আ আ করে কে চীৎকার করে
কিছুই তো দেখা যায় না ক্যামেরার আলোতে।
হেঁটে যাই সামনে কোথাও কিছু নাই
ভূতপ্রেত সব গেলো কোথায়?
আমরা তিনজন মানুষ এসেছি এত রাতে
সব চেষ্টা বৃথা গেলো শেষে,
ভূতের দেখা কি আর ভাগ্যে জুটবে।
ভূতপ্রেত কোথাও নাই, নাই সাড়াশব্দ
এত পরিশ্রম করে সব চেষ্টাই বৃথা হলো।
কুড়ি মিনিট বাদে এবার শুনলাম ভয়ার্ত আওয়াজ
নাই ডাল ভাঙার শব্দ, নাই শব্দ হাঁটাচলার।
গেলো সব কোথায়, ভূতপ্রেত কি নাই
নাকি আমরা তিনজন ভূতপ্রেত হয়ে ঘুরছি জঙ্গলে তাই।
আগুনের গোলা নাই, নাই ভূতের উপদ্রব এলাম কোথায়
সারা রাত পরিশ্রম করে বৃথা গেলো সব চেষ্টাই।
সাহস আছে বুকে, ভূতপ্রেত নাই কাছে
প্রতিরাত আসি দেখা পাই, আজ কি হলো তবে।
সবাই কি পালিয়েছে আমাদের তিনজনের ভয়ে
নাকি ভূতপ্রেতেরা আজ মুখ বন্ধ করে আছে।
না সেসব কিছু নয়, কোনো এক ভূত দিয়েছে আওয়াজ
বাকি ভূতেরা গেলো কোথায়, কোথায় তাদের আওয়াজ।
ভূত খুঁজতে খুঁজতে আধঘণ্টা হয়ে গেলো
দেখতে পেলাম না কোথায় গেলো সাদা মূর্তি গুলো।
হঠাৎ একজনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো মাটিতে
কে ধাক্কা দিলো সেটা দেখা গেলো না দুচোখে।
এখন থেকে থেকে ভূতপ্রেতের আওয়াজ আসছে
সাদা কালো কোনো মূর্তিতেই কেউ এলো না সামনে।
গভীর জঙ্গলে গাছপালা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না
ভূত দেখার প্রত্যাশায় এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
সাদা মূর্তির অস্তিত্ব ধরা পড়েছে ক্যামেরায়
সন্তর্পণে সেও চলেছে এগিয়ে বুঝতে অসুবিধা নাই।
ক্যামেরার আলো সাদা মূর্তির দিকে ঘোরাতে
আমাদের দুইজন পড়ে যায় অন্ধকারে।
গোঙানির শব্দে দেখা যায় দুইজন পড়ে মাটিতে
ভূতপ্রেত শয়তান সুযোগের সদব্যবহার করেছে।
আগুনের গোলা উঠেছে জ্বলে
ভূতপ্রেতের চিরাচরিত আওয়াজ চতুর্দিকে।
দুইজন সুস্থ হয়েছে একটু সময় লেগেছে
আলো ছাড়া অন্ধকারে কি ঘটে বোঝা গেলো শেষে।
ওই তো সাদা মূর্তি বলার সাথে সাথে লুকায়
আরে ওই তো ভূতপ্রেত জিন শয়তান।
দূরে জ্বলে আগুনের গোলা
ভয় কি রে আয় না তোরা।
লুকিয়ে লুকিয়ে কত খেলা খেলবি আর
আমরা তো হয়েছি ভূতপ্রেত জিন শয়তান।
মানুষের ক্ষমতা নাই লড়াই করার
যারা বলে লড়াই করবো তারাই বড় শয়তান।
আওয়াজ দিয়েছে ভূতপ্রেত জিন শয়তান
মানুষের কণ্ঠস্বর বুঝতে অসুবিধা নাই।
ক্যামেরার আলো নিভিয়ে ফেলি টর্চের আলো
কে দূরে ওই সাদা মূর্তি তোমরাই এবার বলো।
সবকিছু সাজানো তাই কি কখনো হয়
ভূতপ্রেতের সাথে মোকাবিলা করা কত কঠিন হয়।
এবার যাক ফেরা, আর নয় এখানে
অনেক হয়েছে ফেরা যাক ঘরে।
তোমরা ভূত থাকো এখানে
লুকিয়ে ঝোঁপের আড়ালে।
তুমি তো আসবে না সরাসরি আমার সামনে
হাতে যে ধরা আছে ক্যামেরাটাকে।
কি করে আসবে তুমি আমার আলোর সামনে
তোমরা তো লুকিয়ে খেলবে, ভূতপ্রেত হয়েছো যখন জীবনে।
ফেরার পথে ভূতপ্রতের আর নাই কোনো হুঙ্কার
হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে তারা এতো ভূতেরই অহঙ্কার।
হঠাৎ ভূতের আওয়াজ কানে এসে যায়
আমরা ফিরে যাচ্ছি তোমাদের পেছনে পড়ে নাই।
একি হলো ভূতপ্রেত সামনে এসে আওয়াজ দেয়
আরে ওই তো একটা সাদা মূর্তি দেখা যায়।
তোমরা ভূতপ্রেত জিন শয়তান
আমরা দেখেছি এ চোখের ভুল নয়।
চলে যেতে হবে এ জায়গা ছেড়ে
আর একমুহূর্ত নয় এখানে।
আরে আর একটা সাদা মূর্তি
আলো ফেলতেই বসে পড়ে দেখি।
এ জঙ্গল রাতের বেলায়
মানুষের পক্ষে নিরাপদ নয়।
আমি প্রদীপ জ্বলে যাই
ভূতপ্রেতের এ কাহিনী নতুন নয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×