somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেকআপ বক্স (প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত

০৫ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাবর আলী পার্ট টাইমের সাংবাদিক, নিজে তাই পরিচয় দেন, কলামিস্ট, আসলে মতামত পাতায় চিঠি লেখেন, ফুল টাইম চাকরিজীবী, সরকারী অফিসের ছা-পোষা কেরানী। সমাজের যেকোন বিষয় নিয়েই মতামত পাতায় তার কড়া মন্তব্য মাঝে মাঝে ছাপা হয়। এসএসসি পরীার গ্রেডিং সিস্টেম, একমুখী-বহুমূখী শিা থেকে শুরু করে প্রবাসিদের সমস্যা নিয়েও তিনি লেখেন। যদিও তার বিবাহযোগ্য মেয়ে বাবলি এসএসসি পাশ করেছে গ্রেডিং ও একমুখী শিার আগে এবং তার আত্মীয়স্বজন কেউ প্রবাসে থাকে না। নিকট অতীতেও থাকার সম্ভবনা নেই। স¤প্রতি তিনি পতিতাদের দুখ দুর্দশা নিয়ে মর্মস্পর্শী একটা লেখা লিখেছেন। কিন্তু স্ত্রীর ভয়ে, কন্যার লজ্জায় সেটা ছাপতে দিতে সাহস করে উঠছেন না। বাবলি আবার বাবার লেখাগুলো সংগ্রহ করে রাখতে ভালবাসে। তার বাড়িওয়ালা প্রায়শ দেখা হলে বলেন ‘আরে ভাই, আপনি এত বড় সাংবাদিক। পত্রিকায় দেশের বড় বড় সমস্যার কথা লেখেন। ছাপা হয়। সমাধান হয়। আমাদের সমস্যার কথা লেখেন না কেন? পানি নাই, গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই। আছে শুধু মশা। এটা নিয়েই কড়া করে একটা লেখা দিয়ে দেন না। দেখবেন সরকারের টনক নড়ে একেবারে মাথার থেকে বেরিয়ে আসবে।’ বাড়িওয়ালা কি এটা প্রশংসা করে বলেন নাকি ব্রিদ্রুপ করেন বাবর আলী ঠিক ধরতে পারেন না।
বাবর আলী মিরপুর এক নম্বরের সনি সিনেমা হলের সামনে দাড়িয়ে আছেন। হলে মনপুরা নামের ছবি চলছে। ভালই চলছে মনে হয়। বেশ ভীড়। পর পর তিনটে লোকাল নয় নম্বর বাসের গেটে চারপাঁচজনকে বাদুর ঝোলা ঝুলতে দেখে বুঝতে পারলেন ওর ভিতরে ওটা তার কম্মো নয়। দশ নম্বর যেতে রিকশায় দশটাকা লাগে। বাসে দুই টাকা। এই দূর্মূল্যের বাজারে নিজের আরামের জন্য পাঁচগুন টাকা বেশি খরচ করার অর্থ হয় না। বাবর আলী অধের্য হয়ে উঠলেন। গোলচক্কর মসজিদের ইমাম সাহেবকে এশার নামাজের আগেই ধরতে হবে। একবার মসজিদে চলে গেলে কখন ফিরবেন তার ঠিক নেই। দেখা করাটা জরুরী। ইমাম সাহেবের সন্ধানে একটা সুপাত্র আছে। বিবাহযুগ্যি মেয়েকে সুপাত্রস্থ করতে না পারলে বাবা মায়ের জীবনের চাপ বাড়তে থাকে। চাপ থেকে ব্লাড প্রেশার। মেয়েটা শ্যামলা আর হালকাপাতলা হয়েই হয়েছে সমস্যা। বদের বদ ছেলেগুলো বিয়ের সময় দেখে রঙ আর স্বাস্থ্য। স্বাস্থ্যবতী হলে রঙের েেত্র একটু ছাড় পায়। গরিবের শ্যামলা মেয়েগুলোর প্রেমিক জোটে, বিয়ের পাত্র জোটে না। আর যৌতুক তো আছেই। শহরের কালচার উপঢৌকন। ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল উপঢৌকন। বাসার জন্য বিশাল স্ক্রিণের এলসিডি প্লাজমা টিভি, হোম থিয়েটার, ছেলের জন্য ল্যাপটপ।
চার নম্বর বাসটাও ছেড়ে দিলেন। এটার অবস্থা আরো খারাপ। পরপর মনে হয় বাসে ভীড় বাড়ছে। কাজ ফেরতা কান্ত মানুষগুলো ঘরে ফিরছে। বাসের আশা বাদ দিয়ে রিকশা নেবেন কিনা চিন্তা করে পেছনের রিকশাগুলোর দিকে তাকালেন। রিকশাওয়ালারা রিকশার সিটে বসে হলের গেটের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। শো ভাঙলে রিকশা ছাড়া উপায় থাকবে না। বেশি দাম হাঁকা যাবে। কয়েকটা রিকশাওয়ালা দুটা সোমত্ত মেয়ের সাথে রসিয়ে রসিয়ে কি যেন আলাপ করছে। বাবর আলীর বুক ধক করে উঠল। মেয়েগুলোর ঠোটের শস্তা রঙ ও পোশাকের বহরেই তাদের পরিচয় বলে দিচ্ছে। এরা সিনেমা হলের মেয়ে। হলের ছবি দেখতে আসা অসভ্য-অতৃপ্ত পুরুষদের এরা ছবি দেখার অন্ধকারে শারীরিক সঙ্গ দেয়। বিনিময়ে পেট চালানোর মত কিছু পয়সা হয়তো উঠে আসে। এই দুইটা মেয়ে হয়তো এই শোতে খদ্দের পায়নি। অপো করছে রাতের শেষ শোয়ের জন্য। ‘এই হতভাগা মেয়েদের নিয়ে পত্রিকায় একটা কিছু লেখা দরকার’ ভেবে সাবজেক্টকে ভাল ভাবে দেখার জন্য মেয়েদের দিকে এগিয়ে যান। বয়স্ক একটা খদ্দের ভেবে দুই মেয়েই রিকশাওয়ালা ছেড়ে তার দিকে মুখে আহবানের হাসি রেখে এগিয়ে আসে। তিনি চমকে ওঠেন। আর তখনই একটা বাস দাঁড়ায়। মনে হয় গুতোগুতি করে এটাতে ওঠা যাবে। না গেলেও উঠতে হবে। মেয়ে দুইটার চাহনি খারাপ।
তিনি দৌড়ে বাসে উঠে বুঝতে পারেন বাসটা তিনি ওঠায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আর একজন যাত্রীও বাসে উঠলে বাসটা ফেটে চৌচির হয়ে যাবে। খানখান হয়ে যাবে। গায়ে গা সেটে গরমে ঘামে মানুষ মুর্তির মত দাঁড়িয়ে আছে। পারলৌকিক বাস ছুটে চলছে নরকের পানে।
বাাসটা গজ বিশেক যেতেই তার পাশ থেকে একটা আওয়াজ ওঠে ‘পকেটমার। শালা পকেটমার। মোবাইল নিয়েছে কুত্তার বাচ্চা। ধরছি শালারে।’ পকেটমার শব্দটা শুনলে বাসের যাত্রীদের প্রথমেই নিজেদের পকেটের কথা মনে হয়। বাবর আলী প্যান্টের পিছন পকেটে হাত দিলেন। মানিব্যাগ ঠিক জায়গামতই আছে। আর মোবাইল ব্যবহারের সামর্থ্য তার নেই। বাসায় একটাই মোবাইল। মা মেয়ে ব্যবহার করে। ওটা ল্যান্ডফোনের কাজ করে।
মানুষের একটা ঢেউ তার গায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। সেই ঢেউয়ে স্রোতের শ্যাওলার মত তিনি পিছিয়ে পড়েন। যেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সেখানে বাসের মাঝখানে বেশ বড়সড় ফাঁকা হয়ে যায়। বাংলা কলেজ থেকে ওঠা কয়েকটা ছাত্র, যারা এখনও ভাড়া দেয়নি, পকেটমার ধরার সুবাদে ভাড়া দেয়ার চিন্তা বাদ দিয়েছে, তারা কাজ শুরু করে। ‘বাবাগো, মাগো’ কাতর ধ্বনির মাঝে মুষ্টিযুদ্ধের আওয়াজ ভেসে আসে। ছাত্রদের সাথে সাথে বাসের বেশ কিছু ষণ্ডামার্কা যাত্রী, বিভিন্ন কারণে যাদের মন বিপ্তি হয়েছিল, কাজে লেগে পড়ে। এদের কারোর ব্যবসায় লস-বিশ্বমন্দা, কারোর উর্ধ্বতনের উপর রাগ, কারো চাকরি যায় যায় অবস্থা, কেউ বেকার, কারোর প্রেমিকা ছুটে গেছে, কারো আগে একবার পকেটমার হয়েছিল, সবাই অগ্নিগিরির লাভার মত রাগের উদগীরণ ঘটাতে থাকে। সেই গলিত লাভা বজ্রমুষ্টি হয়ে পকেটমারের নাক-মুখ-চোয়াল-পিট-বুক-পেটের উপর উল্কাপিন্ডের ন্যায় ঝরতে থাকে। ‘বাবা মা’য় কাজ হবে না বুঝে পকেটমার সর্বশক্তিমানকে ডাকতে থাকে। ‘আল্লাগো, আমারে মাইরে ফেলল গো...’ বাক্য সম্পূর্ণ করার আগেই দমকা বাতাসের মত, শিলাবৃষ্টির মত আরেক দফা কিলঘুষির বৃষ্টি বাইশ তেইশ বছরের না খাওয়া-মাদকাসক্ত শরীরে ঝরে পড়ে। ঠোঁটের কোণ বেয়ে রক্তের কষ ঝরতে থাকে। থেতলে গেছে নাকের বারান্দা। আলু উঠেছে কপালে-চোখ ঢেকে ফেলেছে।
বাবরালী অবাক হয়ে দেখেন ছেলেটার চেহারা ঠিক পকেটমারের মতই। তখনই তার মনে হয় ছেলেটা পকেটমার হিসাবে ধরা পড়েছে বলে পকেটমারের মত চেহারা লাগছে। সেও পকেটমার হিসাবে ধরা পড়লে বাকি বাসযাত্রীদের কাছে তাকে পকেটমারের মতই লাগতো। আচ্ছা, ছেলেটা কি সত্যিই পকেটমার? নাকি ছাত্ররা কোন প্রতিপকে ফাঁসাতে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে। এরকম তো হামেশাই হচ্ছে। তার বুক দ্বিতীয়বারের মত ধক করে উঠল। সিনেমা হল মেয়েদের দেখার সময়ের মত। এখানেও পেট। পেটের জ্বালায় কেউ সিনেমাহলের সামনে সেজেগুজে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ পকেটমার হয়। তার মেয়েটার মাথার উপর তিনি আছেন বলে সিনেমা হলের সামনে সেজেগুজে দাড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে না। তার ছেলেটার মাথার উপর তিনি আছেন বলে টিউশনিতে যেয়ে হাতখরচ তুলছে। এই মেয়েদের মাথার উপর কেউ নেই। এই পকেটমার ছেলেটার মাথার উপর কেউ নেই। সরকারের কি থাকার কথা ছিল না? দুনীর্তিতে কত কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। তাই দিয়ে কি এই পকেটমার, এই মেয়েদের কর্মসংস্থান করা যায় না? এই েেত্র সরকারের ভুমিকা নিয়ে পত্রিকার পাতায় একটা কড়া মতামত পাঠাতে হবে।
পকেটমার ছেলেটা হঠাৎ ওপাশের এক ধাক্কায় বাবর আলীর গায়ের উপর এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। ছেলেটার মুখের রক্তের কষ, লালা লেগে গেল বাবর আলীর জামায়। গা ঘিনঘিন করে উঠল। তখনই দ্বিতীয় দফা মার শুরু হলো। হাতের কাজ শেষ। এখন পায়ের কাজ। মাঝখানে মানুষ ফুটবল রেখে কালোর্স-মেসি-রোনালদো ফ্রিকিক-লংশট-পেনাল্টিকিক হাঁকাতে থাকে। মারের মাধ্যমে একজন আরেকজনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতা। পকেটমার নিঃসাড় হয়ে পড়ে আছে। পেছন থেকে একজন বলল ‘ব্যাটায় ভং ধরেছে। এই সামান্য মাইরে হারামখোরগোর কিছু হয় না।’ পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে ড্রাইভার গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড় করাল। পেছন ফিরে মারপিটে ব্যস্ত যাত্রীদের বলল, ‘ওরে গাড়ির ভেতরে মাইরে ফেইলেন না। পুলিশী ঝামেলায় পড়তে হইব। ব্যাটা মরলে আজ আর গাড়ী যাইত না।’ সবারই যাওয়াটা জরুরী। ব্যাটা মরে যাওয়া যাতে বন্ধ না হয় এজন্য যাত্রীরা মার বন্ধ রাখল। পকেটমারের দিকে তাকিয়ে বাবরালীর বুকের ভেতরটা কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে যেতে থাকে। ড্রাইভার আবার সাউন্ড দেয় ‘আপনারা ওরে নিয়া থানায় যানগা। সামনেই মিরপুর থানা। আপনারা কয়েকজন নাইমা যান।’ কন্টাক্টরও গেটের কাছে দাড়িয়ে গলা মিলায় ‘অনেক মারছেন, আর না। ওরে গাড়িরতে বিদায় করেন।’ এপাশ থেকে ভাড়া না দেয়া এক ছাত্র কন্ট্রাকটারকে ধমকে ওঠে ‘চুপ থাক ব্যাটা পকেটমারের দালাল। এই হালারা পুলিশের মতন। সব চেনে। পকেটমারের সাথে এদের গোপন চুক্তি আছে।’ কন্ট্রাক্টর েেপ যায় ‘কি কইলেন? কি কইলেন আপনি?’ কন্ট্রাক্টরও এখন মার খাবে বুঝতে পেরে ড্রাইভার কন্ট্রাক্টরকে ধমক দেয় ‘তুই চুপ থাক মাদু। হেগো লাইগা কাইজায় যাস না। ভালো হবে না।’ মহিলা সিটে বসা ভয়ে সেঁেট থাকা যাত্রীরাও বলে ‘হয় ছেড়ে দেন। না হয় পুলিশে নিয়ে যান।’ কিন্তু কে কার গোয়ালে ধোঁয়া দেয়। সবারই গন্তব্যে যাওয়ার তাড়া আছে। আর থানায় নিয়ে কি নিজেরা ফ্যাঁসাদে পড়বে নাকি? ‘যথেস্ট মার হয়েছে’ বলে ওরা পকেটমারের ছিড়ে ন্যাতান্যাতা হওয়া জামার কলার ধরে টেনে তোলে। তারপর গেট দিয়ে নিচে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।
আর কি আশ্চর্যের ব্যাপার! সবার চোখের সামনে দিয়ে মরার মত পড়ে থাকা পকেটমার সেরা দৌড়বিদ বেন জনসনের মত দৌড়ে অন্ধকার গলির ভিতর মিলিয়ে যায়। গেটের কাছে দাঁড়ানো এক যাত্রী বলল ‘দেখলেন ভাই, হারামজাদাগো জান কেমন শক্ত। এত মাইরেও কিচ্ছু হয়নি।’ ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল। মোবাইলওয়ালা যাত্রী হাতে নাতে পকেটমার ধরা ছাত্রের হাত ধরে বলল ‘ভাই আপনারে যে কি বলে ধন্যবাদ দেব। আপনি ছিলেন বলেই আজ আমার মোবাইলটা রা পেল। আগেও একবার...’ পেছন থেকে কে যেন সাউন্ড দেয় ‘ধন্যবাদে কাজ হবে না। মিষ্টি খাইয়ে দেন।’ ছাত্রগুলো একসাথে বলে ওঠে ‘মিষ্টি খাওয়াতে হবে না। শালার ব্যাটারে মাইরে যে মজা পেয়েছি এককেজি মিস্টি খেলেও সে মজা পাওয়া যেত না। মাইরের উপর আরাম নাই।’ যাত্রীরা রসিক ছাত্রের কথায় হেসে ওঠে। গোটা বাসজুড়ে পকেটমারের গল্প শুরু হয়। যাত্রীরা নির্দিষ্ট সাবজেক্ট পেয়ে যে যার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে থাকে। একজন বলল ‘এখন শালার বানচোতগুলো আর মানিব্যাগ পকেট মারে না। ম্যানিবাগে আর এখন মাইনষের টাকা নাই। একটা মোবাইল মারতে পারলে ওদের একসপ্তাহের কামাই উঠে যায়। নিশ্চিত লাভ।’ সকলেই তার কথায় সায় দেয়। বাবর আলীর এদের কথা কানে ঢোকে না। শুধু পকেটমারের রক্তাক্ত মুখ ভেসে ওঠে। যে রক্ত তার বুকের কাছেও কিছুটা লেগে আছে।
পকেটমারের ঝামেলায় বাবর আলীর ভাড়ার দুটাকা বেঁচে যায়।
বাবর আলী দশ নাম্বার নেমে দেখেন ইমাম সাহেবের এশার জামাতের সময় হয়ে গেছে। ইমামদের আগেই মসজিদে যেতে হয়। এসেছেন যখন তখন একটু দেরী করে দেখা করেই যাওয়া ভাল। দশ নাম্বারের একটা কসমেটিকের দোকানের দিকে নজর যেতেই কাজের কথা মনে পড়ে গেল। তার স্ত্রী মেয়েটার জন্য একটা মেকাপ বক্স কিনে নিয়ে যেতে বলেছে। মেকাপের জোরে যদি পাত্রী দেখতে আসা ছেলেদের পাত্রী পছন্দ হয়। এতদিন সাধারণ সাজে কাজ হয়নি। বিউটি পার্লার থেকে সাজানোর সামর্থ্য নেই। কাজেই মেকাপ বক্স। ওটার কথা মনে করেই তিনি বেতন থেকে কষ্টে সৃষ্টে বাঁচানো আলাদা করে রাখা এক হাজার টাকা মানিব্যাগে নিয়ে বেরিয়েছেন।
কসমেটিকের কয়েকটা দোকান ঘুরে অনেক ঘেটেঘুটে একটা মেকাপ বক্স পছন্দ হলো। দাম সাতশ টাকা। তিনি ম্যানিবাগের জন্য প্যান্টের পিছনের পকেটে হাত দিলেন। ম্যানিবাগ হাওয়া। ভুল করে অন্য পকেটে রেখেছেন ভেবে দোকানের ফ্যানের নিচে ঘামতে ঘামতে সারা শরীর আতিপাতি করে ফেললেন। দোকানের ফচকে ছোড়া মেকাপ বক্সটা শোকেসে তুলে রাখতে রাখতে ফিচলে হাসি দিয়ে বলল ‘পকেটমাইরে ফাক করে দিয়েছে নাকি চাচা?
তিনি তার উত্তরে বিড়বিড় করে বললেন, ‘শুয়োরের বাচ্চাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত।’
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×