রাজনৈতিক মতাদর্শের অমিল উপাচার্যের আমলে ৩০ শিক্ষকের নিয়োগ স্থগিত করে পরবর্তীতে সেই নিয়োগ বাতিল করে দেয়ায় আরও শোচনীয় অবস্থার সম্মুখীন হতে হল খুবির ছাত্র-ছাত্রীদের। সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার পর ২রা ডিসেম্বর যখন সিন্ডিকেট বসে তখন রহস্যজনকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আসা এক জরুরী ফ্যাক্স বার্তায় নিয়োগ স্থগিত করার ঘোষনা আসে। ঝুলে থাকে শিক্ষক নিয়োগ। দুনীতির অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হল উপাচার্যকে। উপাচার্য পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে সবকিছুতেই যেন নিজের ইচ্ছেমত বিশেষ করে নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী নতুন লোক আনতে হবে আর বড় বড় দায়িত্বে বসাতে হবে। এমন মনমানসিকতা নিয়ে পরিবর্তন শুরু হয়। শুরু হল সমাজবিজ্ঞান স্কুলের ডীন এবং সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম, খুব সুন্দর করে সাজাতে শুরু করেছিলেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনকে। ছাত্রদের প্রাণের দাবি মাষ্টার্স চালুর বিষয়টি প্রায় সমাপ্ত করেছেন তিনি। একান্ত ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্ব সম্মানে অব্যাহতি চেয়ে বিদায় নিতে হল তাকে। তার পরবর্তী শিকার ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. আইয়াজ হোসেন চিশতীকে। একদিন চিঠি দেয়া হল ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, হলের প্রভোষ্টবৃন্দ, ডীনবৃন্দ, ডিসিপ্লিন প্রধানগন, অধ্যাপকবৃন্দদের নিয়ে জরুরী বৈঠকের। কিন্তু পরবর্তীতে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, হলের প্রভোষ্টবৃন্দদের বাদ দিয়ে নতুন আর একটি চিঠি দেয়া হয়। জানত না চিশতী স্যার। চলে আসেন বৈঠকে। আসা মাত্র অপমান শুরু করলেন উপাচার্য সাইফু্দ্দিন শাহ্। আপনি কেন এসেছেন? কে আপনাকে আসতে বলেছে? জাতীয় প্রশ্ন। বেরিয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে এভাবে বের করে দেওয়া! ছিঃ ছিঃ ছিঃ তাও আবার একই ডিসিপ্লিনের সহকর্মী।
কে সইতে পারে বলেন? ক্ষোভে বেরিয়ে এলেন। পরক্ষনেই জানতে চাওয়া হলে সাইফুদ্দিন বললেন আমি ইচ্ছা করেই করেছি। এসে পদত্যাগপত্র জমা দিতে গেলেন কিন্তু অফিস বন্ধ হ্ওয়ায় সেদিন আর জমা হয় নি। হল পরের দিন। এভাবে কি রাজনৈতিক মতাদর্শের অমিল ব্যক্তিগুলোকে সইতে হবে অপমান? চলে যেতে হবে ক্যাম্পাস ছেড়ে?
আর এ সব নোংরা শিক্ষক রাজনীতির শিকার হচ্ছে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীরা। পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




