যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড-ফাঁসির দাবিতে শুরু হওয়ায় আন্দোলনকে সমথন জানাই মন থেকে। শাহাবাগের পাশাপাশি সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানেও চলছে সংহতিমূলক আন্দোলন। এ আন্দোলন শুধু একটা ইস্যুতে সীমাবদ্ধ না রেখে আরও কিছু জনগুরুত্বপূণ ইস্যুকে সামনে এনে বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করতে চাই। ইস্যুগুলোঃ
১. শুধুমাত্র চৌদ্দশিকির মধ্যে আটক মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নয়, যারা বাইরে এমনকি মন্ত্রীসভায়, স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধীদেরকেও বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দেওয়ার জোরাল দাবী জানাই। কিছু অপরাধীদের শাস্তি হবে আর কেউ বহাল তবিয়তে বাইরে দিব্বি ঘুরে বেড়াবে জাতীয় পতাকা নিয়ে আমরা তা দেখতে চাইনা। তাদের অবশ্যই এখনই এই মুহূতে আটক করতে হবে তা না হলে আমরা ঘরে ফিরব না। আমরা শাহবাগ ছাড়ব না। আমরা একদিকে কষ্ট করব আর যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জাতীয় পতাকা নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াবে? রক্ত দিয়ে আদামের দাবি আদায় না হওয়া পযন্ত রাজপথ ছাড়ব না এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
২. যুদ্ধপরাধ ইস্যু জাতি আর বেশি দিন দেখতে চায়না। এনিয়ে যেন আর কেউ রাজনীতি করার সুযোগ না পায়।
৩. হলমাক হোতা তানভীর আর ডেসটিনি হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যাতে বাংলাদেশে জীবনে আর কেউ কখনও এমন সাহস না পায়। তা না হলে আমরা কখনও দূনীতির করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাবনা।
৪. আমি এক এনজিওতে প্রকল্পে কাজ করছি। আমাদের প্রকল্প এলাকার মধ্যে এক উপজেলা চেয়ারমান (আওয়ামী নেতা) তার এলাকায় কমরত সব এনজিও প্রতিনিধিদের ডেকে রীতিমত বড় অংকের চাঁদা দাবি করেছে আর বলছে উপরের নিদেশ সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আন্দোলন হবে তাই খরচের জন্য চাইছি। এটাকি প্রচ্ছন্ন চাঁদাবাজি নয়কি। আবার আন্দোলন কি সরকারের চাপের দ্বারা করানো হচ্ছে? যেখানে আমরা সবাই স্বতস্ফূতভাবে অংশগ্রহন করছি সেখানে তারা চাঁদা নিয়ে ব্যস্ত আছে। বিষয়টাকে কি সরকার নেতৃত্ব দিচ্ছে? কেন যেন একটু সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে।
৫. যে আবুলের জন্য পদ্মা সেতু হল না তার কি কিছুই হবে না এ বাংলায়? এভাবে তারা অনন্তকাল বাংলায় টিকে থাকবে? আর আমাদের স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে? আমরা শুধু আফসোস করব?
৬. বিশ্বজিতের মত নিরীহ মানুষগুলো রাস্তায় মার খেয়ে মরে যাবে আর আমরা চেয়ে চেয়ে থাকব? পুলিশ ও ময়না তদন্ত বলবে তার শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। হায় অভাগা বাঙালী আমরা!
৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। দেখুন শাহবাগসহ সারা দেশে যেভাবে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করছে সেখানে ছাত্ররাজনীতি কি খুবই দরকার? তা না হলে ছাত্রলীগের মত খুনী সন্ত্রাসী সৃষ্টি হবে যারা ক্যাম্পাসগুলোতে গত কয়েকবছর রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
৮. শেয়ারবাজার কেলেংকারীর সাথে যারা জড়িত, যারা লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছে তাদেরকেও আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
৯. ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মযাদা দিয়ে আথিকভাবে অস্বচ্ছ্বল মুক্তিযোদ্ধাদের স্বচ্ছ্বলতা নিশ্চিত করতে হবে। কোন মুক্তিযোদ্ধাকে আর রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নিবাহ করার খবর আর আমরা শুনতে ও দেখতে চাইনা। তবেই না আমাদের আন্দোলন সফলতার মুখ দেখবে।
১০. সকল প্রকার নিয়োগ স্বচ্ছ্বতার ভিত্তিতে অবশ্যই হতে হবে এবং সেটা অবশ্যই বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা কমিয়ে মেধার ভিত্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ৩২/৩৫ করতে হবে।
১১. ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ঢাকার উপর চাপ কমিয়ে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য নগরীর দুনাম ঘুচাতে হবে।
১২. দেশের স্বথবিরোধী সব ধরনের সিদ্ধান্ত (বিশেষ করে পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে) বাতিল করতে হবে।
১৩. তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য সকল বিদেশী কোম্পানীর সাথে করা চুক্তি বাতিল করতে হবে। দেশী কোম্পানী বাপেক্স ও পেট্রোবংলাকে শক্তিশালী করতে হবে।
১৪. বাংলার মাটিতে নারী সহিংসতা আর নারী নিযাতন কবে বন্ধ হবে? তারা কি স্বাধীনভাবে চলাফেরা আর নিশ্বাস নিতে পারবেনা? পরিমলরা কি পার পেয়ে যাবে? তাদের নিঃশত ফাঁসি চাই।
অনেক দাবির কথা বললাম। আপনার কাছে আরও ভাল দাবি থাকলে জানান দেন। গণ দাবীতে মুখরিত করে তুলি বাংলার আকাশ। সুখী সমদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে সহযোগী হই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




