প্রসেসরের টিডিপি বা থার্মাল ডিজাইন পাওয়ার একটি জটিল বিষয়, এতটাই জটিল যে আমার পক্ষেও এটা সঠিকভাবে হয়তো ব্যখ্যা করা সম্ভব নয় কারণ আমি এর ইংরেজী সংজ্ঞা বুঝলেও তা বাংলায় ভাষান্তর করতে গিয়ে বার বার আটকে গিয়েছি। স্বাভাবিক ভাষায় বলতে গেলে একটি তাপ শক্তির একটি গণক যা কুলিং সিস্টেমকে প্রসেসর থেকে সরিয়ে ঠান্ডা রাখারা জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এটি স্বাভাবিকভাবে ওয়াটে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
আমি দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টেলের ৬৫ ওয়াট টিডিপির বিভিন্ন প্রসেসর ব্যবহার করে আসছি। ২০১৮ সালে অষ্টম প্রজন্মের কোর আই৭-৮৭০০ ব্যবহার করার পর আমি, ২০২০/২১ সালের দিকে নবম প্রজন্মের কোর আই৫, ৯৫০০ ব্যবহার করছিলাম। আমার কেসিংটি বেশ ছোট সাইজের হওয়াতে তাপের ইস্যুটা বরাবরই আামায় মাথায় ছিলো। তাই কিছুটা ভেবে চিন্তে ইন্টেলের "টি" সিরিজের একটা প্রসেসর ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ এই প্রসেসরগুলোর টিডিটি সাধারণত ৩৫ ওয়াটের হয়ে থাকে।
বেশীরভাগ সময়ই আমি পিসিতে হালকা অফিশিয়াল কাজ করি, পাশাপাশি মাঝে মাঝে কিছু ভিডিও এডিটিং এর কাজ করি। মূলত হালকা ধরনের কাজই বেশী করা হয় বলে উচ্চ তাপ রিলিজ করে এই ধরনের প্রসেসর আমার প্রয়োজন পড়ে না। সম্প্রতি ই-বে থেকে অল্প দামে কিছুটা ব্যবহৃত নবম প্রজন্মের কোর আই৫, ৯৫০০টি প্রসেসরটি ক্রয় করে তা ব্যবহার করতে শুরু করেছি। বায়োস থেকে ইন্টেলের টারবো বুস্ট বন্ধ করে দিয়েছি যেহেতু সেটার প্রয়োজন আমার নেই। ফলাফলটা দাঁড়ালো বেশ চমৎকার।

মাল্টি টাস্কিং করার পরেও প্রসেসরের তাপমাত্র ৩৩-৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এক হিসেবে বলতে গেলে গড়-পড়তা মানুষের শরীরের তাপমাত্রার চেয়েও কম। যারপরনাই বিষয়টি নিয়ে আমি ভীষণ খুশি। যদিও ভিডিও এডিটিং-এর ক্ষেত্রে কিছুটা ভাটা পড়েছে তবুও তা আমার জন্য উল্লেখ করার মতো তেমন কোন বিষয় নয়।
প্রতিদিন গড়ে ১২/১৪ ঘন্টা পিসি অন থাকে তাই, পিসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও বেশ জরুরী। বাংলাদেশ গরম প্রধান দেশ আর বিদ্যুৎ বিলের কথা মাথায় রেখে আপনিও ইচ্ছে করলেই ডেস্কটপ পিসিতে এই প্রসেসরগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে এই প্রসেসরগুলো ব্র্যান্ডেড পিসি ছাড়া রিটেইলে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে চেষ্টা করে দেখতে দোষ কোথায়?!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


