গল্প-শেষের লগ্ন এখন
সূর্য ডোবার পালা
তোর সামনেই ইতিহাসের লক্ষ চিতা জ্বালা,
তোর কানেতেই শতাব্দীদের বুক-ফাটা চীৎকার
তোর চোখেরই সামনে পড়ে রক্তজমা হাড়।
তোর নুপূরের শব্দে ওরা নাচের সাড়া খোঁজে
তোর চলনে - তোর বলনে - কামের ভাষাই বোঝে
তোর চাহনি, তোর বিভঙ্গ
তোর পিপাসা, তোরই রঙ্গ
সবই ওদের চুমুক দিয়ে নেশায় ডোবার ফুর্তি।
মোহিনী! তুই এবার দেখা অসুর-দলন-মূর্তি!
বাহুবলের গর্ব ধরে
সারা জগৎ খর্ব করে
জয়োল্লাসে নরদানব আকাশে ডাক ছাড়ে,
জমাটবাঁধা পেশীর ঝলক শরীরে তার বাড়ে
লৌহকঠিন বুকের ছাতি ফোলায় অহঙ্কারে।
তোর রূপেতে মত্ত হয়ে ডুবতে ওরা জানে
মাতাল হয়ে আঙুল বাড়ায় তোর শরীরের পানে
তোর দু’খানি চক্ষু চপল
তোর বাহু, তোর ওই পদতল
ওদের কাছে এই সবই তো নিছক উদরপূর্তি।
মোহিনী! তুই আজকে দেখা অসুর-দলন মূর্তি!!
মাটির ’পরে শরীর লুটায়
পদাঘাতে বুক ভেঙে যায়
পৌরুষের ওই গর্ব চাপা তোর ও নুপূর-পায়,
ভলক ভলক রক্তবমি এক এক পায়ের ঘায়
তোর দু’পায়ে পিষ্ট হয়ে কাতর ক্ষমা চায়।
তোর নাচেতেই মৃত্যু লেখা অত্যাচারীর যত
অহঙ্কারীর লোহার দেহ তোর পায়েতেই নত
অপ্সরী তুই, তোর সবলা
পায়ের চাপেই অসুর দলা
যা পারেনি দেবতা, তা দেবীর কাছে স্ফূর্তি।
মোহিনী! তুই দেখা রে তোর অসুর-দলন মূর্তি!!!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩০