আমার ছোটবেলার একটা অতিপ্রিয় জিনিসের নাম হল “সূতাবুড়ি”। খুব-ই হাস্যকর একটা নাম যদিও, কিন্তু আমার ছোটবেলার রোমাঞ্চকর স্মৃতিগুলোর এক বিশাল অংশই হল এই ‘বুড়ি’দের নিয়ে। খুব সম্ভবত পাশের বাড়ির রায়হানদের কাজের মেয়ে আমাকে বলেছিল এই সূতাবুড়ির ‘জ়ীবনকথা’।তখন আমি ক্লাস ওয়ান বা টু-এ পড়ি। চাঁদের বুড়ি চাঁদে বসে বসে যে চরকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সূতা কাটে সেটা আমি ঐ মেয়ের কাছেই মনে হয় প্রথম শুনেছিলাম। আর সূতাবুড়ি হল বুড়ির ফেলে দেয়া বাড়তি সূতা। ব্যাপারটা আমাদের বয়সী সবার মাঝেই ভীষণ উত্তেজনার ছিল। হাজার হলেও চাঁদ থেকে আসা জিনিস!
তখন রীতিমত প্রতিযোগীতা চলত কে ক’দিন ক’টা সূতাবুড়ী ধরতে পারল এই নিয়ে। সে এক বিরাট মজার ব্যাপার। ক্লাস শুরুর আগে, শেষের পরে, উপরের ক্লাসের ছেলে-মেয়েদের টিফিনের সময় খেলার ফাঁকে কোন একখান সূতাবুড়ির দেখা মিললেই সবার মধ্যে হৈ হৈ পড়ে যেত।
স্বাভাবিকভাবেই শক্ত-পোক্ত ছেলেরা সবার আগে সবচেয়ে বেশি ‘বুড়ি’ ধরতে পারত। তবে ইস্কুলের আপার ছেলে ছিলাম বলে আমার কদর ছিল একটু আলাদা। তাই আমাকে এমনি এমনিই তারা বিশাল বিশাল সূতাবুড়ি দিয়ে দিত। আমার তো মনে হয় আপার ছেলেকে এটা-সেটা দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে রীতিমত তালাতালি হত।
আমার কলেজজীবনের এক বন্ধু ফয়সাল ক’দিন আগে বলেছিল “আসলে Campus Life enjoy করার ব্যাপারটা depend করে তুমি কতটুকু importance পাচ্ছ তার উপর”।
ঠিকই বলেছে, এজন্যই তো প্রাইমারী স্কুলের জীবনটাই এখন পর্যন্ত আমার জীবনে কাটানো সবচেয়ে ভালো সময়।
এই ছবিতে দলা পাকানো যে জিনিসটা সেখা যাচ্ছে সে জিনিসটার নাম হল “সূতাবুড়ি”। খুব-ই হাস্যকর একটা নাম যদিও, কিন্তু আমার ছোটবেলার রোমাঞ্চকর স্মৃতিগুলোর এক বিশাল অংশই হল এই ‘বুড়ি’দের নিয়ে। খুব সম্ভবত রায়হানদের বাড়ির কাজের মেয়ে আমাকে বলেছিল এই সূতাবুড়ির ‘জ়ীবনকথা’।তখন আমি ক্লাস ওয়ান বা টু-এ পড়ি। চাঁদের বুড়ি চাঁদে বসে বসে যে চরকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সূতা কাটে সেটা আমি ঐ মেয়ের কাছেই মনে হয় প্রথম শুনেছিলাম। আর সূতাবুড়ি হল বুড়ির ফেলে দেয়া বাড়তি সূতা। ব্যাপারটা আমাদের বয়সী সবার মাঝেই ভীষণ উত্তেজনার ছিল। হাজার হলেও চাঁদ থেকে আসা জিনিস!
তখন রীতিমত প্রতিযোগীতা চলত কে ক’দিন ক’টা সূতাবুড়ী ধরতে পারল এই নিয়ে। সে এক বিরাট মজার ব্যাপার। ক্লাস শুরুর আগে, শেষের পরে, উপরের ক্লাসের ছেলে-মেয়েদের টিফিনের সময় খেলার ফাঁকে কোন একখান সূতাবুড়ির দেখা মিললেই সবার মধ্যে হৈ হৈ পড়ে যেত।
স্বাভাবিকভাবেই শক্ত-পোক্ত ছেলেরা সবার আগে সবচেয়ে বেশি ‘বুড়ি’ ধরতে পারত। তবে ইস্কুলের আপার ছেলে ছিলাম বলে আমার কদর ছিল একটু আলাদা। তাই আমাকে এমনি এমনিই তারা বিশাল বিশাল সূতাবুড়ি দিয়ে দিত। আমার তো মনে হয় আপার ছেলেকে এটা-সেটা দেওয়ার জন্য তাদের মধ্যে রীতিমত তালাতালি হত।
আমার কলেজজীবনের এক বন্ধু ফয়সাল ক’দিন আগে বলেছিল “আসলে Campus Life enjoy করার ব্যাপারটা depend করে তুমি কতটুকু importance পাচ্ছ তার উপর”।
ঠিকই বলেছে, এজন্যই তো প্রাইমারী স্কুলের জীবনটাই এখন পর্যন্ত আমার জীবনে কাটানো সবচেয়ে ভালো সময়।
সে যাই হোক সূতাবুড়ির কতগুণের কথা যে তখন কাজের মেয়ে বা স্কুলের বড় আপুদের কাছে শুনতাম, ভাবলে এখন অবাক হয়ে যাই।
চুলবর্ধক, রোগনাশক আরো কত কি!!
এখন আর ধরা হয় না সূতাবুড়ি, মাথার উপর দিয়ে উড়ে গেলেও না।
বরং নিজের-ই ইচ্ছা হয় উড়াল দিতে, সূতাবুড়ির মত, চাঁদ থেকে মাঠে, মাঠ থেকে বিকেলবেলার মিষ্টিরোদমাখা ছাদে......।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



