পরদিন সকাল বেলা ঘুমথেকে উঠে নাস্তা করেই আবারও পলহেনা বীচে গেলাম
বীচের সামনে নৌকা ।
ঐদিন অনেক রোদ ছিল বলে বীচটা আরও সুন্দর লাগছিল
রোদের মধ্যেই জামা কাপড় খুলে পানিতে নেমে গেলাম
রোদের কারণে পানি আরও বেশী স্বচ্ছ দেখাচ্ছিল
এই ডাইভিং গগলস্ টা চোখে লাগিয়ে পানির নীচের জগৎ দেখতে লাগলাম
পানির নীচে কখনও কখনও জেলী ফিস গুলো গগলস্ এর গ্লাসে এসে বাড়ি খেতে লাগলো
পানির নীচে কোথাও কোথাও জীবন্ত কোরাল, বালি, ঘাস, বালির মধ্যে ছোট ছোট গর্ত এসব দেখা যাচ্ছিল
পানির নীচে থেকে উপরের তল টা দেখতে অসাধারণ লাগলো
এরপরে সুনেত ওর কাজ শেষ করে এল। আমরা একটা হালাল ফুডশপ থেকে লান্চ প্যাক নিয়ে সাগড় পাড়ে বসে লান্চ করলাম। তারপর গলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
কিন্তু এতক্ষণ রোদে থাকার কারণে সারা শরীরে তীব্র জালা হতে লাগলো। কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে নিলে কাধে জালাপোড়া করছিল। পরে ব্যাগ হাতেই নিলাম।
গলে যেতে রাস্তা টা সাগরের পাড় দিয়ে । একপাশে রোদ্রের মধ্যে হালকা নীল পানি আর হলুদ বালু আর গার সবুজ গাছপালা। কোথাও কোথাও সাগর একেবারে রাস্তা ঘেষে আবার কোথাও কোথাও গাছের আড়ালে । না দেখে এই সৌন্দর্য কখনই বোঝা যাবেনা।
চলতে চলতে দেখলাম ওরা তিনজনই ঘুম। আস্তে আস্তে আমারও চোখ লেগে যাচ্ছিল
অবশেষে ১ঘন্টার ও একটু বেশী সময় পরে গলে পৌছলাম। এই সেই ঐতিহাসিক গল ফোর্ট
ফোর্ট দেখে উত্তেজিত হয়ে সব ক্লান্তি ভুলে সবার আগে আগে হাটা শুরু করলাম
প্রায় ৪০০ বছর আগে পর্তুগীজ রা এই ফোর্ট বানিয়েছিল
ফোর্টের সামনেই গল ক্রিকেট স্টেডিয়াম
ফোর্টের প্রবেশ মুখ
ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে নিজেকে সেই সময়কার কোন যোদ্ধা মনে হচ্ছিল
ফোর্টের দেয়াল
চারপাশে অনেক যুদ্ধের ঝন ঝন, সৈন্য দের আর্ত চিৎকার কল্পনা করছিলাম
সুরঙগ
উপরে উঠার সিড়ি
ফোর্টের উপর থেকে গল ক্রিকেট স্টেডিয়াম
প্রায় সন্ধা নামি নামি
তখনও অনেক লোক ছিল
ফোর্টের পাশে সাগর
অনেক দূর পর্যনত সাগর দেখতে অসাধারণ লাগছিল
এই ঘরে নাকি বন্দী করে রাখা হত
ফোর্টের পাশে নিচে অনেক বড় বড় পাথর দেখালম
সাগর পারে ফোর্টের দেয়াল
নীচে একটা কবর দেখলাম। নীচে গিয়ে দেখার কোন সিড়িটা লক করা ছিল। পরে বাসায় এসে জেনেছি ঐটা নাকি বদরের যুদ্ধের কোন এক সাহাবীর (রা: ) কবর
সাগর পারে ফোর্টের দেয়াল
ততক্ষণে সারা শরীর একেবারে ভেংগে পড়ছে
এইখানে নাকি অস্ত্র রাখা হত।
অবশেষে ফোর্ট ডি গল জয় করলাম
কিন্তু তখনও আরো একটা যুদ্ধ বাকি
তিন ঘন্টা জার্নি করে কলোম্ব যেতে হবে। তারপরে ১ ঘন্টা পরে বাসায়....
বাসে উঠে ক্লান্ত শরীর টা সিটে এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করতেই আবারও সেই ঝন ঝন যুদ্ধ কল্পনায় চলে এল
আগের পর্ব একটু কষ্ট করে আগের পোষ্টে দেখুন
আলোচিত ব্লগ
বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?
রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন