বিজয় সরণির সিগনাল টা দিয়ে রোজ পার হই.......আর রোজ মনটা খারাপ হয়ে যায়। ব্যাপারটা নতুন কিছু না। সবাই ই খুব পরিচিত এই বিষয়টার সাথে। তবুও আজকে নতুন করে একটা প্রশ্ন দ্বন্দে ভুগছি...
সিগনালের মোড়ে ফুল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকা ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গুলিকে রোজ দেখি। তাদের চুল আর জামাকাপড়ের মত ফুল গুলোর অবস্থাাও থাকে আরো করুণ। এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর রূক্ষ পরিবেশের আঁচ যতখানি না তাদের উপর পড়ে.....ততটাই যেনো ওদের হাতে থাকা শুকনো গোলাপ গুলোর উপর ও এসে পড়ে.....তবুও ফুল হাতে নিয়ে নিরন্তন ছুটতে থাকা গাড়ির জানালা গুলোর সাথে সাথে। পিচ্চি মেয়ে গুলো এতো মায়া করে বলে..."আপা লন না ফুল, খালি দশ ট্যাকা!" এতো খারাপ লাগে আমার। মনে হয়..আহারে বেচারা। অনুরোধ করা ছাড়া আর কী বা করতে পারে ওরা এই দশ টা টাকা পাবার জন্য! পৃথিবীর আর কোনো কী শক্তি আছা ওদের কাছে! নিয়ে নেই ফুল গুলি। মনে মনে ভাবি...ফুল কিনছি না...একটা শিশুর জন্য কিছু তো করছি আমার সাধ্যের ভেতর। প্রায় ই কিনি টুকটাক। তাই বলে রোজ তো আর কেনা হয় না। শেষে দেখা যাবে আমার ও ওদের সাথে ফুল বিক্রী করতে হচ্ছে!
সেদিন টা ছিল তেমনি একটা দিন। বৃষ্টি মাথায় করে বাস থেকে নেমে সিগনালের সামনে দাড়িয়েছি আর পিচ্চি গুলো কে দেখছি। একজন এসে ফুল দিতে চাইল.. ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে না করে দিলাম। এমন সময় দেখি কে যেনো পেছন থেকে এসে একটা বেলী ফুলের মালা আমার গলার উপর দিয়ে খিল খিল করে হাসছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখি ওদের ই আরেক সঙ্গী..আরেকটা পিচ্চি মেয়ে, বছর দশেক হবে। হাত একদম খালি। ঐ একটাই ফুল ছিল হয়ত। আমাকে বলছে, আপা আপনার গিফট। শুনে আরও অবাক হয়ে তাকালাম। "সত্যি?"। বলল "হ্যা টাকা দেয়া লাগব না"। ব্যাগের দিকে হাত বাড়িয়েও কেনো জানি থেমে গেলাম। খুব খারাপ লাগল কেনো জানি। মনে হল আমি যদি টাকা দেই মেয়েটার এই উপহার টাকে আমি ছোটো করে ফেলব। যদিও টাকার ওদের অনেক প্রয়োজন জানি..তবুও নিজেকে কেনো জানি অনেক ছোট মনে হতে লাগল। কৃতঙ্গতা প্রকাশের সবচাইতে নিম্ন মানের মাধ্যম মনে হয় আমার এই টাকাকে। আমি ওর এই ছোট্ট উপহারের বদলে না হয় এরপর একদিন ওর কাছ থেকে সব ফুল গুলো কিনে নেব। তাই সব ভালবাসা সব উপকার আর উপহারের মূল্য টাকা দিয়ে কেনো পরিমাপ করতে হবে। কেনো জানি খুব লজ্জা লাগে নিজের কাছে। মনে হয় আমি যেনো টাকা দিয়ে সব কিনে নিতে চাইছি। আমার চিন্তাাটা আর কাজটাকি ভুল হয়েছিল?????
আমার এক বন্ধুকে ঘটনাটা বলতেই খুব মন খারাপ করল সে। বলল "ও তো টাকা নিতে না চাইতেই পারে। তুমি ওকে জোড় করে দিলে না কেনো?" যদিও আমার চিন্তাটার কথা শুনে ও পরে সায় দেয়....... তবুও আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল ওর কথাটা শোনার পর থেকে। অনেক কান্না পাছিল। শবে বরাতের রাতে মেয়েটার জন্য দোয়া ও করেছি অনেক। তাও মনে হচ্ছিল বারবার... আমার এই চিন্তাটা ভুল ছিল না তো ?
আলোচিত ব্লগ
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন