ক্রপ সারর্কেল কি?
ক্রপ সার্কেল হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে তৈরি এক ধরনে নকশা বিশেষ। এই নকশা মূলতো গোলাকৃতিরই হয়ে থাকে। তবে কদাচিত গোল ছাড়াও অন্যান্য সেপেরও হতে দেখা যায়। এই নকশাগুলি বিস্তির্ন ফসলের মাঠে তৈরি করা হয়। বিস্তির্ন ফসলের মাঠে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ফসল মাড়িয়ে নিয়ে এই নকশা তৈরি করা হয়।
অনেকের ধারনা এই নকশাগুলি ভিন্নগ্রহের প্রাণীরা তাদের উপস্থিতি জানানোর জন্য রাতের আধারে তৈরি করে রেখে যায়। অনেকেই আবার দাবি করেন যে তারা নিজেরাই দেখেছেন যে চোখের সামনে হঠাত করেই দ্রুততার সাথে এই নকশা গুলি তৈরি হতে শুরু করে অল্প সময়েই তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আবার অনেককেই বলতে শোনা যায় এই সমস্ত নকশাগুলির কাছাকাছি মাত্রারিক্ত রেডিয়েশান থাকে, যা কিনা UFO বা ফ্লাইং সসারের আগমণের বড় প্রমাণ। (যদিও এটা কখনো তেমন জোড়ালো ভাবে প্রমান তারা করতে পারেনি।)
কিন্তু অতিউৎসাহী কিছু সত্যান্যাসী তাদের প্রচেষ্ঠায় দেখিয়ে দিয়েছেন যে এই সমস্ত নকশাগুলি কোনো ভিন্নগ্রহের প্রাণীর রেখেয়াওয়া সংকেত নয়, বরং তা নেহায়েতই কিছু মানুষের তৈরি। একদল লোক চাইলেই রাতের আধারে কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যেই তৈরি করে ফেলতে পারেন একটি দৃষ্টি নন্দন ও জটিল ফসলি নকশা। এই বিষয়টি বিবেচনা করলে আমরা ফসলি নকশা কে ফল্স নকশা বললেও ভুল হবে না।
এই নকশাগুলি সাধারনত গম, যব, রাই, ভুট্টা ইত্যাদি ফসলের মাঠে তৈরি করা হয়। আগেই বলেছি ক্রপ সার্কেল যে শুধু গোল হয় তা নয়, তাই ক্রপ সার্কেলকে ক্রপ ফরমেশন-ও crop formations বলা হয়ে থাকে।
ঠিক কবেযে প্রথম এই নকশা দেখা যায় তা কিই সঠিক ভাবে বলতে পারবে না। তথ্য উপাত্য থেকে দেখা যায় মাত্র ১৯৭০ সাল থেকে বর্তমাণ সময় পর্যন্ত তথ্য রয়েছে। ১৯৭০এর আগের কোনো তথ্য নেই। এই সময়ের মধ্যে মোটামুটি ২৬টি দেশে এই ধরনের কনশার দেখা পাওয়া গেছে।এই সমস্ত দেশের রিপোর্ট অনুয়ায়ী প্রায় দশ হাজার ক্রপ সার্কেল দেখা গেছে, যার ৯০ ভাগই দেখা গেছে শুধু দক্ষিণ ইংল্যান্ডে। আরেকটি লক্ষ্যনিয় বিষয় হচ্ছে “প্রায় প্রতিটি নকশাই তৈরি হয়েছে প্রাচীন কোনো নিদর্শনের কাছাকাছি”, যেমন স্টোনহ্যাঞ্জ (Stonehenge) এর কাছে।
Stonehenge
একটি সমিক্ষাতে দেখা গেছে ২০০৩ সালে ইউকেতে তৈরি নকশাগুলির প্রায় অর্ধেকই তৈরি হয়েছে Avebury এর ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে।
Avebury
সাধারনত দেখা গেছে নকশাগুলি রাতে তৈরি হয়। শুধু তাই নয় দেখা গছে এক রাতেই এই নকশাগুলি তৈরি হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু নকশা দিনেও তৈরি হতে দেখা গেছে।
সত্যিকার অর্থে এই নকশার তৈরির কৌশল অনেক আগেই গবেষকরা আবিষ্কার বা শনাক্ত করে ফেলেছেন। কয়েকজন লোকোর একটি গ্রুপ খুব সহজেই এবং অল্প সময়েই (এক রাতেরও কম সময়ে) এইমন নকশা তৈরি করে ফেলতে পারে। একটি লম্বা দড়ি আর কিছু বিভিন্ন সাইজের কাঠের তক্তা হলেই কাজ চলে যায়। দড়ির এক মাথাতে একটি তক্তা বেঁধে নিয়ে অন্যমাথা একটি ফসলের মাঠের নির্দিষ্ট স্থানে আটকে রেখে, তক্তার সাহায্যে ফসলগুলিকে মাটির সাথে নুয়িয়ে/শুয়িয়ে দিয়ে খুব সহজেই একটি বৃত্ত তৈরি করে ফেলা যায়্ এভাবে বিভিন্ন সাইজের তক্তা নিয়ে আর দড়ির দৈর্ঘ্য কমিয়ে বাড়িয়ে নানান মাপের বৃত্তের চমৎকার সব নকশা তৈরি করে ফেলা যায় কয়েক ঘন্টাতেই। তাছাড়া শুধু মাত্র লন রোলার ব্যবহার করেও চমৎকার কনশা তৈরি করা সম্ভব। আরো আছে প্রথমে সুতা বেঁধে নকশা তৈরি করে একটি দড়ির দুই প্রান্ত একটি তক্তার দুই পাশে বেঁধে নিয়ে সেই তক্তা দিয়ে পায়ের সাহায্যে ফসর মাড়িয়েও নকশা তৈরি করা যায়। নিচে কিছু ছবি দিচ্ছি, দেখতে পাবেন কি করে তৈরি করা হচ্ছে ফসলি নকশা।
প্রথমেই নকশা ঠিক করে ফেলতে হবে।
এটাই হচ্ছে সেই তক্তা, যা দিয়ে নকশা তৈরি হবে।
এভাবে ফসল শুয়িয়ে দিতে হবে।
এই নকশাটাই তৈরি হলো এতোক্ষণে।
এটি ৭৮০ ফুট একটি ফসলি নকশা, এটাতে ৪০৯টি বৃত্ত রয়েছে। John Lundberg এটি তৈরি করেছেন ইংল্যান্ডের Milk Hill এ এটি তৈরি হয় ২০০১ সালে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যত যাই বলাহোক না কেনো, এই সমস্ত নকশা তৈরি করতে ইটি বা ভিন্ন গ্রহের প্রাণীদের লাগে না। আমরা মানুষেরাই তৈরি করে ফেলতে পারি। আমি তথ্য উপস্থাপন করলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব যার-যার নিজের।
কারা তৈরি করছে এই নকশাগুলি- মানুষ না এলিয়েন?
এবার কিছু ফসলি নকশার ছবি দেখুন
১।
[img|http://floating-world.org/images/inbox/crop-circles.jpg
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
সূত্রঃ উইকি
ছবি : google মামা
এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।
আলোচিত ব্লগ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
যেহেতু জন্মসূত্রে মা বাবার কাছ থেকে ধর্ম হিসেবে ইসলাম পেয়েছেন তাই হয়তো নিজেকে মুসলিম হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন কিংবা কোন কারণে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আপনি কী মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তোমাকে আমার ভাল্লাগে না X#(
তোমাকে আমার ভাল্লাগেনা
এক্কেবারেই ভাল্লাগে না,
দেখলে পরে নামটা তোমার
বিরক্তিতে কুচকে কপাল
চোখটা ফেরাই অন্যদিকে।
কি অসহ্য তোমার নামে,
গা জ্বলে যায় বোকামীতে,
বোকার মতন বকবকানী,
গাঁক গাঁক গাঁক গকগকানী।
যাচ্ছো করেই কবে থেকেই!
লজ্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ড: ইউনুস কি কাজের থেকে কথা বেশী বলছেন?
ড: ইউনস অবশ্যই কাজের থেকে কথা বেশী বলছেন, ইহা শেখ হাসিনা সিনড্রম; তিনি এই ধরণের ১টি পদ বরাবরই চেয়ে আসছিলেন ; এতদিন পরে, ৮৪ বছর বয়সে পেয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বেকুব জাতি ড. মুহম্মদ ইউনূসের বক্তব্য বুঝতে পারল না
বেকুব জাতি ড. মুহম্মদ ইউনূসের বক্তব্য বুঝতে পারল না। তার অফিস থেকে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হল! এই ব্যাখ্যা পেয়ে আমরা ধন্য! কত গভীর একটা ভাব প্রকাশ করলেন অথচ তার সাক্ষাতকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখ হাসিনা পরবর্তী দেশ শাসনে সবচেয়ে যোগ্যব্যক্তি কি তারেক রহমান?
আমরা যেহেতু ভোট দিতে চাই, সেহেতু ভোট দেওয়ার লোকতো আগে থেকেই খুঁজে রাখা দরকার। আমার জামাইয়ের মতে শেখ হাসিনা পরবর্তী দেশ শাসনে সবচেয়ে যোগ্যব্যক্তি তারেক রহমান। কেউ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন