অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : বাঁশপাতি, পত্রিঙ্গা, সুইচোরা, নরুন চোরা।
Common Name : Green Bee-eater
Binomial name : Merops Orientalis
সবুজ বাঁশপাতি বাংলাদেশের সহজ লভ্য একটি ছোট আকারের শিকারী পাখি। এই পাখি জলের ধারে বন-জঙ্গলে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। । ‘ট্রিউ ট্রিউ’ করে তীক্ষ্ম শব্দে ডাকে।
সবুজ বাঁশপাতির ইংরেজি নাম Green Bee-eater, তবে পোকামাকড় ধরে খেলেও এটি মূলত মৎস-শিকারী পাখি। ছোট ছোট মাছ ধরে এরা খায়। বিশেষ করে চাষের জমিতে যখন অল্প জল জমে সেখানে তাকা ছোট মাছ শিকার করে এরা দলবেঁধে।
সবুজ বাঁশপাতি লম্বায় প্রায় ৮ ইঞ্চির মতো হয়। এদের গড়ন ছিপছিপে । এদের গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল সবুজ বলেই নাম হয়েছে “সবুজ বাঁশপাতি” । সবুজের মাঝে মস্তক ও পৃষ্ঠদেশের ঊর্ধাংশে সোনালি পালক রয়েছে এদের। ঠোট সুচালো ও কৃষ্ণবর্ণ এবং একটু বাঁকানো।
সবুজ বাঁশপাতির চোখের দুই পাশে 'কাজলরেখা' রয়েছে, যা ঘাড়ের সঙ্গে মিশে গেছে। পাখিটির চিবুক ও গলায় কাছে রয়েছে নীল ছটা আর গলার নিচে আছে মালার মতো কালো টান। সবুজ বাঁশপাতির লেজের মাঝ বরাবর দুটি পালক দুই ইঞ্চি পরিমাণ বর্ধিত। উজ্জ্বল সবুজ রং আর এই লেজের বর্ধিত পালকের কারণে খুব সহজেই এদের চেনা যায়।
পাখিরা সাধারণত গাছে তাদের বাসা বানায়, কিন্তু সবুজ বাঁশপাতি গাছে বাসা বাধতে জানে না। এরা নদীর কূলে বা খাড়া মাটির ঢালে গর্ত করে বাসা বানায়। গর্তের গভীরে স্ত্রী পাখিটি ধবধবে সাদা রংয়ের ৫ থেকে ৭টি ডিম পারে। স্ত্রী-পুরুষ দুজনেই ডিমে তা দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ২১ থেকে ২৭ দিন সময় লাগে।
ছবি তোলার স্থান : মশাখালী, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৫/১২/২০১৬ ইং
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
পাক-পাখালি - ০১
পাক-পাখালি - ০২
পাক-পাখালি - ০৩
পাক-পাখালি - ০৪
পাক-পাখালি - ০৫ : পায়রা
পাক-পাখালি - ০৬
পাক-পাখালি - ০৭ : চড়াই
পাক-পাখালি - ০৮ : ফিঙ্গে
পাক-পাখালি - ০৯ : সবুজ বাঁশপাতি
পাক-পাখালি - ১০ : চড়াই
পাক-পাখালি - ১১ : বন বাটান
পাক-পাখালি - ১২
পাক-পাখালি - ১৩
পাক-পাখালি - ১৪
পাক-পাখালি - ১৫ : পায়রা
পাক-পাখালি - ১৬ : চড়াই
পাক-পাখালি - ১৭ : গাংচিল
পাক-পাখালি - ১৮ : সাদা ময়ূর
পাক-পাখালি - ১৯
পাক-পাখালি - ২০ : কাক
পাক-পাখালি - ২১
=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০